Thank you for trying Sticky AMP!!

ট্রাম্পের মন্তব্যে মোদির চোখ ছানাবড়া!

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। ছবি: এএফপি

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প একবার ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে চরম বিস্মিত করেছিলেন। সেদিনের দুজনের বৈঠকে ফাঁস হয়ে গিয়েছিল ট্রাম্পের ভৌগোলিক জ্ঞান কত সীমিত। ট্রাম্প মোদিকে বলেছিলেন, ‘এটা এমন নয় যে চীন আপনার সীমানায়।’ এরপর আর মোদির বিস্মিত না হয়ে উপায় কী! কারণ, চীনের সঙ্গে ভারতের সীমান্ত বিরোধের কথা কে না জানে! সেখানে কিনা ট্রাম্প ভেবে বসেছেন, ভারতের সঙ্গে চীনের সীমান্ত নেই!

পুলিৎজার পুরস্কারজয়ী দুই মার্কিন সাংবাদিকের বইয়ে উঠে এসেছে ট্রাম্প ও মোদির সেদিনের সেই ঘটনা।

গত বুধবার ওয়াশিংটন পোস্টে প্রকাশিত এক প্রতিবেদনের কিছু অংশ উদ্ধৃত করে আজ শুক্রবার ভারতের গণমাধ্যম এনডিটিভির অনলাইন সংস্করণে বলা হয়েছে, পুলিৎজারজয়ী ফিলিপ রাকার এবং ক্যারল ডি লিওনিগের লেখা ‘এ ভেরি স্ট্যাবল জিনিয়াস’ বইয়ে তাঁরা বর্ণনা করেছেন ট্রাম্প ও মোদির বৈঠকের সেই ঘটনা। ৪১৭ পৃষ্ঠার ওই বইয়ে ট্রাম্পের এমন হাস্যরসাত্মক আরও ঘটনা উঠে এসেছে। ট্রাম্প ও রাশিয়া নিয়ে প্রতিবেদনের জন্য যে দলটি ২০১৮ সালে পুলিৎজার পুরস্কার পায়, তাতে এই দুই সাংবাদিক ছিলেন।

প্রেসিডেন্ট হিসেবে ট্রাম্পের ঘটনাবহুল তিন বছর পূর্তি উপলক্ষে প্রতিবেদনটি প্রকাশ করে ওয়াশিংটন পোস্ট।

ব্যবসায়ী থেকে রাজনীতিক বনে যাওয়া ট্রাম্প ২০১৬ সালে মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে জয়ী হন। আর তিনি দায়িত্ব নেন ২০১৭ সালের ২০ জানুয়ারি।

বইটিতে ট্রাম্প ও মোদির এক বৈঠক নিয়ে দাবি করা হয়, মোদিকে ট্রাম্প বলেছিলেন, ‘এটা এমন নয় যে চীন আপনার সীমানায়।’ তবে বৈঠকটি কবে হয়েছিল, সে সম্পর্কে ওয়াশিংটন পোস্টের প্রতিবেদনে উল্লেখ ছিল না। দুই লেখকই দাবি করেছেন, ভারত-চীন ভৌগোলিক অবস্থান নিয়ে ট্রাম্পের এমন তালগোল পাকানো দেখে ‘বিস্ময়ে বিস্ফারিত হয়ে ওঠে মোদির চোখ এবং মোদির চেহারায় এর স্পষ্ট ছাপ পড়ে।’

বইয়ে ট্রাম্পের এক সহযোগীকে উদ্ধৃত করে বলা হয়, সম্ভবত মোদি ওই দিনের বৈঠক ছেড়ে চলে যান এবং বলেন, ‘এই লোক (ট্রাম্প) আন্তরিক নন। আমি তাঁকে অংশীদার হিসেবে ভাবতে পারব না।’ ওই সহযোগী লেখকদের বলেন, ‘ওই বৈঠকের পর ভারতীয়রা যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে তাদের কূটনৈতিক সম্পর্ক থেকে এক কদম পিছু হটে যায়।’

চীন ও ভারতের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে সীমান্ত বিরোধ অমীমাংসিত অবস্থায় রয়েছে। ৩ হাজার ৪৮৮ কিলোমিটার দীর্ঘ প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখা (এলএসি) নিয়ে দুই দেশের মধ্যে বিরোধ চলে আসছে।