Thank you for trying Sticky AMP!!

দিল্লিতে ফের কৃষক সমাবেশ

ঋণ মকুব ও ফসলের ন্যায্য দামের দাবিতে ফের দিল্লি এসেছেন কয়েক হাজার কৃষক। এই কৃষকেরা আগামীকাল শুক্রবার সংসদ অভিযানে শামিল হবেন। ছবি: রয়টার্স

ঋণ মকুব ও ফসলের ন্যায্য দামের দাবিতে ফের দিল্লি এলেন কয়েক হাজার কৃষক। একাধিক সংগঠনের ডাকে দিল্লি এসে এই কৃষকেরা রামলীলা ময়দানে অবস্থান শুরু করছেন। আগামীকাল শুক্রবার তাঁরা সংসদ অভিযানে শামিল হবেন। কৃষকদের দাবি, তাঁদের সমস্যা নিয়ে সংসদের বিশেষ অধিবেশন ডাকা হোক। কারণ তাঁদের অভিযোগ, বারবার প্রতিশ্রুতি সত্ত্বেও সরকার কৃষকদের সমস্যা দূর করতে ব্যর্থ।

প্রধানত বামপন্থী সংগঠন প্রভাবিত এই কৃষকেরা আজ বৃহস্পতিবার ভোরে আনন্দ বিহার স্টেশনে পৌঁছান। মধ্য প্রদেশের বুন্দেলখন্ড, উত্তর প্রদেশের পশ্চিমপ্রান্ত, রাজস্থানসহ বিভিন্ন রাজ্য থেকে মিছিল করে তাঁরা যান রামলীলা ময়দানে। এতে রাজধানীর কিছু এলাকার জনজীবনে ব্যাঘাত ঘটে। আগামীকাল কৃষকেরা মিছিল করে সংসদ ভবনে যাবেন। সংসদ মার্গে তাঁদের আটকানো হলে সেখানে বিক্ষোভ সমাবেশ শুরু হবে। এই সমাবেশে যোগ দেওয়ার জন্য কংগ্রেসসহ বিভিন্ন বিরোধী দলনেতাকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। চলতি বছরে এটি কৃষকদের চতুর্থ সমাবেশ।

কিছুদিন আগে মহারাষ্ট্রের নাসিক থেকে মুম্বাই পর্যন্ত লক্ষাধিক কৃষকদের মিছিল করেছিল বামপন্থী সংগঠনগুলি। এবারের সমাবেশের অন্যতম উদ্যোক্তাও তাঁরা। অল ইন্ডিয়া কিসান সংঘর্ষ কোঅর্ডিনেশন কমিটির আহ্বায়ক ও সিপিএম সদস্য হান্নান মোল্লা বলেন, জাতীয় কৃষি ঋণ মকুব কমিশন গড়ে তোলার জন্য তাঁরা রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দকে অনুরোধ করবেন। তাঁরা চান, কৃষক সমস্যা ও তার সমাধানে সংসদের বিশেষ অধিবেশন শুরু হোক।

কংগ্রেসের উদ্যোগে তাদেরই শাসন কালে ২০০৪ সালের নভেম্বর মাসে ভারতের সবুজ বিপ্লবের জনক এম এস স্বামীনাথনের নেতৃত্বে ‘ন্যাশনাল কমিশন অন ফার্মার্স’ গঠিত হয়েছিল। ফসলের ন্যায্য দাম, বাজার তৈরি, লাভজনক কৃষি ব্যবস্থা গড়ে তোলা ছিল ওই কমিশনের লক্ষ। কমিশনের সুপারিশগুলো আজও কেন্দ্রীয় সরকার কার্যকর করেনি। আন্দোলনকারী নেতারা বলেছেন, তাঁদের চাহিদা সামান্য। তাঁরা চান, ফসলের ন্যায্য দাম, ফসলের বিমা ও ন্যায্য সুদে ঋণ। খরা ও বন্যার মতো প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের দরুন ঋণ শোধ করতে না পারলে কাউকে যেন আত্মহত্যা করতে না হয়। কৃষককে যাতে অখুশি থাকতে না হয়, সরকার সেটাই নিশ্চিত করুক। নেতারা বলছেন, কৃষিভিত্তিক ভারতের কৃষক খুশি থাকলে দেশও আনন্দে থাকবে।