Thank you for trying Sticky AMP!!

নিরাপত্তা সন্তোষজনক না হওয়ায় ভোট পেছাল

শ্রীরাম তরণীকান্ত, ত্রিপুরার মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক। ছবি: প্রথম আলো

ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যের পূর্ব ত্রিপুরা লোকসভা কেন্দ্রের নির্বাচন পিছিয়ে দিল ভারতীয় নির্বাচন কমিশন। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি সন্তোষজনক না হওয়ায় এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে গতকাল মঙ্গলবার রাতে এক বিবৃতিতে জানায় নির্বাচন কমিশন।

পূর্ব ত্রিপুরা লোকসভা কেন্দ্রের ভোট গ্রহণের কথা ছিল ১৮ এপ্রিল। সে অনুযায়ী উত্তর–পূর্ব ভারতের আরও ছয়টি আসনের সঙ্গে গতকাল বিকেল পাঁচটায় শেষ হয় নির্বাচনী প্রচার। কিন্তু রাতেই ভারতের নির্বাচন কমিশন পিছিয়ে দেয় ভোটের নির্ঘণ্ট। গতকাল রাতে ত্রিপুরা মুখ্য নির্বাচন আধিকারিক শ্রীরাম তরণীকান্ত জানান, ১৮ এপ্রিলের বদলে ভোট হবে ২৩ এপ্রিল।

ভোট গ্রহণ পেছানোর পাশাপাশি নির্বাচনী প্রচারের সময়সীমাও বাড়ানো হয়েছে ৪৮ ঘণ্টা। তরণীকান্ত জানিয়েছেন, ভোটারদের মধ্যে আস্থা বাড়াতেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। ১৮ তারিখ ভোট গ্রহণের মতো অবস্থায় নেই পূর্ব আসনটি। তাই অতিরিক্ত বাহিনী মোতায়েন করে ভোট করতে চায় কমিশন।

সিপিএম ও কংগ্রেস—দুই বিরোধী দলই এই সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছে। তবে বিজেপির কোনো প্রতিক্রিয়া গতকাল রাতে পাওয়া যায়নি। দলের সাধারণ সম্পাদক রাজীব ভট্টাচার্য প্রথম আলোকে জানান, তাঁরা এ বিষয়ে পরে মতামত দেবেন।

পশ্চিম ত্রিপুরা কেন্দ্রে পুনরায় ভোট গ্রহণের দাবি তুলে ধরনা দেয় সিপিএম। এদিনই সাবেক বিধায়ক অশোক বৈদ্যের নেতৃত্বে বিজেপি ও তাঁদের জোটসঙ্গী আইপিএফটির বেশ কয়েকজন কর্মী–সমর্থক কংগ্রেসে যোগ দেন।

সিপিএমের পশ্চিম ত্রিপুরা জেলা সম্পাদক পবিত্র কর প্রথম আলোকে বলেন, অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য এটা খুবই জরুরি ছিল। পাশাপাশি তিনি পশ্চিম ত্রিপুরা কেন্দ্রেও পুনরায় ভোটের দাবি জানান।

ভোট পেছানোয় খুশি কংগ্রেসও। সোমবারই দিল্লিতে পশ্চিম ত্রিপুরা কেন্দ্রের কংগ্রেস প্রার্থী সুবল ভৌমিক নির্বাচন কমিশনের কাছে ১১ এপ্রিল ব্যাপক রিগিংয়ের অভিযোগ করেন। তাঁর দাবি, কম করে এক লাখ লোক ভোট দিতে পারেননি।