Thank you for trying Sticky AMP!!

পশ্চিমবঙ্গের পঞ্চায়েত নির্বাচন নিয়ে হাইকোর্টে ফের শুনানি আজ

পশ্চিমবঙ্গের পঞ্চায়েত নির্বাচন নিয়ে জটিলতা এখনো কাটেনি। গত মঙ্গল ও বুধবার এই নির্বাচন নিয়ে সরকারি ও বিরোধী দলের আইনজীবীদের সওয়াল-জবাব হয়েছে। এ নির্বাচন নিয়ে কোনো রায় ঘোষণা করেননি কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি সুব্রত তালুকদারের একক বেঞ্চ।

আজ বৃহস্পতিবার ফের শুনানির জন্য দিন ধার্য করেছেন বিচারপতি। দুদিনের সওয়াল-জবাবে এটা স্পষ্ট যে ঘোষিত সময়ে নির্বাচন হতে পারছে না।

নির্বাচন কমিশন এই নির্বাচন করার জন্য আগামী ১, ৩ ও ৫ মে তারিখ ঘোষণা করে। কিন্তু পঞ্চায়েত নির্বাচনের মামলা এখন সুপ্রিম কোর্ট থেকে হাইকোর্টে গড়ানোয় নির্বাচন আর নির্দিষ্ট তারিখে হতে পারছে না। এ পথে বাধা পঞ্চায়েত আইন। এখন তারিখ পরিবর্তন হচ্ছে।

বিরোধীদলীয় প্রার্থীদের মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ায় শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেসের বাধা ও সন্ত্রাসের অভিযোগে কলকাতা হাইকোর্টে বিজেপি, বাম দল ও কংগ্রেস মামলা করে। গত বৃহস্পতিবার কলকাতা হাইকোর্টের একক বেঞ্চ বিরোধীদের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে পঞ্চায়েত নির্বাচনের যাবতীয় কার্যক্রমের ওপর ১৬ এপ্রিল পর্যন্ত স্থগিতাদেশ জারি করেন।

হাইকোর্টের একক বেঞ্চের এই আদেশে সন্তুষ্ট হতে পারেনি তৃণমূল কংগ্রেস। ন্যায়বিচার পাওয়ার লক্ষ্যে বিচারপতির বিরুদ্ধে পক্ষপাতিত্বের অভিযোগ তুলে তারা এই আদেশের বিরুদ্ধে ডিভিশন বেঞ্চে মামলার শুনানি গ্রহণের আবেদন করে। সেই আবেদন গ্রহণ করে হাইকোর্ট মামলাটির শুনানি গ্রহণের জন্য হাইকোর্টের বিচারপতি বিশ্বনাথ সমাদ্দার ও বিচারপতি অরিন্দম মুখোপাধ্যায়ের সমন্বয়ে গঠিত ডিভিশন বেঞ্চে পাঠান।

১৬ এপ্রিল শুনানি হওয়ার পর ডিভিশন বেঞ্চ তৃণমূলের আবেদন খারিজ করে দিয়ে মামলাটি পাঠিয়ে দেন হাইকোর্টের বিচারপতি সুব্রত তালুকদারের একক বেঞ্চেই। হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চের এই নির্দেশ প্রকারান্তরে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং তাঁর দলকে জোর ধাক্কা দেয়। ফলে এই নির্দেশে অনেকটাই স্পষ্ট হয়ে যায়, নির্বাচনের তারিখ পরিবর্তন হচ্ছে।

এবার এই রাজ্যে গ্রাম পঞ্চায়েতের ৪৮ হাজার ৬৫০টি আসন, পঞ্চায়েত সমিতির ৯ হাজার ২১৭টি আসন ও জেলা পরিষদের ৮২৫টি আসনে নির্বাচন হচ্ছে।