Thank you for trying Sticky AMP!!

পশ্চিমবঙ্গের বাজারে মৌসুমের প্রথম ইলিশ

ফাইল ছবি

ভারতে ইলিশ মৌসুমে প্রথম নিলাম হয়েছে পশ্চিমবঙ্গের দক্ষিণ ২৪ পরগনার ডায়মন্ড হারবারের পাইকারি নগেন্দ্র মাছের বাজারে। নিষেধাজ্ঞা উঠে যাওয়ার পর গত সোমবার ইলিশ ধরতে সমুদ্রে যান জেলেরা। তবে পশ্চিমি ঝড়ের দাপটে উপকূলে ফিরে আসে প্রায় তিন হাজার ট্রলার। ঝড়বৃষ্টির মধ্যে ৩০০ ট্রলার কোনো রকমে কিছু মাছ ধরে ফিরে আসে। এর মধ্যে ৬০টি ট্রলার ২০ টন ইলিশ নিয়ে আসে। বাকিরা অন্য ৫০ টন মাছ নিয়ে আসে। সেই মাছ গত বৃহস্পতিবার নিলামে ওঠে।

২০ টন ইলিশের মধ্যে ১৬ টন বিক্রি হয়েছে ডায়মন্ড হারবারের নগেন্দ্র পাইকারি মাছের বাজারে। বাকি ৪ টন বিক্রি হয়েছে নামখানা কাকদ্বীপ, নিশ্চিন্তপুর পাইকারি বাজারে। এসব ইলিশের সাইজ ছিল ৫০০ থেকে ৮০০ কিলোগ্রামের মধ্যে। পাইকারি বাজারে বিক্রি হয়েছে প্রতি কেজি ৭০০ রুপি করে।

দক্ষিণ ২৪ পরগনার মৎস্যজীবী সংগঠনের নেতা বিজন মাইতি বলেন, ‘এবার ইলিশের জোগান থাকবে ভালো। ১৫ জুন সমুদ্রে গিয়ে মাত্র এক দিন মাছ ধরে ফিরে আসতে হয়েছে মৎস্যজীবীদের। কারণ বৈরী আবহাওয়া। ফিরে আসা ট্রলারগুলো দু-এক দিনের মধ্যে আবার সমুদ্রে যাবে মাছ ধরতে। আমরা আশা করছি, এবার প্রচুর ইলিশ মিলবে।’

গত সোমবার থেকে শুরু হয়েছে সমুদ্রে ইলিশ ধরার মৌসুম। মৌসুম চলবে আসন্ন দুর্গাপূজা পর্যন্ত।

পশ্চিমবঙ্গে এখন বড়-ছোট ট্রলার ও নৌযান মিলিয়ে ৯ হাজার জলযান ইলিশ ধরার সঙ্গে যুক্ত রয়েছে। এর মধ্যে বড় ট্রলার রয়েছে ৬ হাজার।

মৎস্য ব্যবসায়ী ও পশ্চিমবঙ্গের হিলসা ফিশ ইমপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি অতুল দাস প্রথম আলোকে বলেছেন, প্রতিবছর পশ্চিমবঙ্গের সমুদ্র থেকে ৩০ থেকে ৩২ হাজার টন ইলিশ পাওয়া যায়। গত বছর আবহাওয়া খারাপ থাকার কারণে মিলে ছিল ১০ থেকে ১২ হাজার টন ইলিশ। এবার করোনার লকডাউন ও আম্পানের তাণ্ডবের কারণে জেলেরা আগেভাগে সমুদ্রে মাছ ধরতে যাননি। এ কারণে এবার প্রচুর মাছ জন্মেছে সমুদ্রে।