Thank you for trying Sticky AMP!!

পশ্চিমবঙ্গে করোনার কোপে পদ হারালেন স্বাস্থ্যসচিব

পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ছবি: এএফপি

পশ্চিমবঙ্গে করোনার চিকিৎসা, মৃত্যু, আক্রান্ত এবং স্বাস্থ্য পরিষেবা নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে ক্ষোভ ছিল করোনার সঙ্গে যুক্ত চিকিৎসক, নার্স ও স্বাস্থ্যকর্মীদের। ক্ষোভ ছিল মূলত রাজ্যের স্বাস্থ্যসচিব বিবেক কুমারের বিরুদ্ধে। চিকিৎসক, নার্স, স্বাস্থ্যকর্মীরা বারবার এ নিয়ে অভিযোগ জানিয়ে আসছিলেন রাজ্য সরকার, বিশেষ করে মুখ্যমন্ত্রীর কাছে। রাজ্যের স্বাস্থ্য মন্ত্রকের দায়িত্ব মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জীর হাতে।

এ ছাড়া করোনায় মৃত ও আক্রান্ত সংখ্যা নিয়ে বিরোধ দেখা দেয় রাজ্যের স্বাস্থ্য মন্ত্রক ও রাজ্য সরকারের সঙ্গে। স্বাস্থ্যসচিব মৃত ও আক্রান্তের সংখ্যা দিতে থাকে তাতে কার্যত দেখা যায় রাজ্য সরকারের দেওয়া হিসাবের সঙ্গে গরমিল। স্বাস্থ্য দপ্তর মৃত ও আক্রান্তের সংখ্যা যা দেয়, রাজ্য সরকার তার থেকে কম দেয়।

এ নিয়ে মতপার্থক্যের কারণে আজ মঙ্গলবার সকালে রাজ্যের স্বাস্থ্যসচিবের পদ থেকে বিবেক কুমারকে সরিয়ে দেন মুখ্যমন্ত্রী। সেখানে আনা হয় রাজ্যের পরিবহন দপ্তরের সচিব নারায়ণ স্বরূপ নিগমকে। আর বিবেক কুমারকে নেওয়া হয় পরিবহন দপ্তরের সচিব পদে। আজই তা কার্যকর করা হয়।

এর আগে এই করোনাকে ঘিরে রাজ্যে রেশন ও ত্রাণে প্রচুর দুর্নীতির অভিযোগ ওঠে। রেশন নিয়ে রাজ্যের বিভিন্ন স্থানে বিক্ষোভ হয়। সড়ক অবরোধ হয়। দাবি ওঠে রেশন ডিলারদের দুর্নীতির বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের। এরই পরিপ্রেক্ষিতে রাজ্য সরকার ইতিমধ্যে সরিয়ে দিয়েছে রাজ্যের মুখ্য খাদ্যসচিবকেও।

এদিকে গতকাল রাজ্য খাদ্য দপ্তর থেকে এক বিশেষ রিপোর্টে বলা হয়েছে, গত ১০ দিনে এই রাজ্যের ৬৪৮ জন রেশন ডিলারের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। বিশেষ করে রেশনের চাল চুরি, মাপে কম দেওয়া, কালোবাজারে বিক্রি, রেশনের নামে চাল দলীয় নেতাদের হাতে তুলে দেওয়া ইত্যাদি অভিযোগের ভিত্তিতে এই ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।

রিপোর্টে বলা হয়েছে, গত ১ মে থেকে ১০ মে এই ১০ দিনে ৪৪৫ জন রেশন ডিলারকে শোকজ করা হয়েছে। সাসপেন্ড করা হয়েছে ৬৯ জন ডিলারকে। জরিমানা করা হয়েছে ২৯ জন ডিলারকে। আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে ৫১ জন ডিলারের বিরুদ্ধে। আর দুর্নীতির দায়ে গ্রেপ্তার করা হয়েছে ১৩ জন ডিলারকে।

ডিলার ছাড়াও রেশন দুর্নীতির সঙ্গে জড়িত থাকার জন্য গ্রেপ্তার করা হয়েছে আরও ৩০ জনকে।