Thank you for trying Sticky AMP!!

পশ্চিমবঙ্গে করোনা: ১০ জুলাইয়ের পর সর্বোচ্চ শনাক্ত

করোনাভাইরাস

পশ্চিমবঙ্গে করোনা সংক্রমণের হার ঊর্ধ্বমুখী। গতকাল শনিবার রাতে পশ্চিমবঙ্গের স্বাস্থ্য দপ্তরের নিয়মিত বুলেটিনে বলা হয়, সবশেষ ২৪ ঘণ্টায় রাজ্যে নতুন করে আক্রান্ত হয়েছেন ৯৭৪ জন। গত ১০ জুলাইয়ের পর রাজ্যে এটিই সর্বোচ্চ সংক্রমণ, ওই দিন শনাক্ত হয়েছিল ৯৯৭ জন।

দুর্গাপূজার আগপর্যন্ত গোটা পশ্চিমবঙ্গে করোনা সংক্রমণের হার নিম্নমুখী গতিতেই চলছিল। মানুষের মনে ফিরেছিল স্বস্তি। তবে হঠাৎ সংক্রমণ বাড়তে থাকায় এ নিয়ে উদ্বেগ তৈরি হয়েছে।

গতকাল রাতে স্বাস্থ্য দপ্তরের বুলেটিনে আরও বলা হয়েছে, এখন পর্যন্ত রাজ্যে করোনায় সংক্রমিত হয়েছেন ১৫ লাখ ৮৫ হাজার ৪৬৬ জন, আর মারা গেছেন ১৯ হাজার ৪৫ জন। তবে এখনো রাজ্যের বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি হাসপাতাল ও ক্লিনিকে চিকিৎসাধীন ৭ হাজার ৭৩১ জন। সবশেষ ২৪ ঘণ্টায় সংক্রমণের হার ছিল ২ দশমিক ২৬।

রাজ্যের ২৩টি জেলার মধ্যে গতকাল মৃত্যুশূন্য ছিল ১৮টি জেলা, বাকি ৫ জেলায় মারা গেছেন ১২ জন। এর মধ্যে নদীয়ায় ২ জন, হুগলিতে ১, উত্তর ২৪ পরগনায় ৪, দক্ষিণ ২৪ পরগনায় ১ এবং কলকাতায় ৪ জন মারা যান।

কলকাতা পৌর করপোরেশন এলাকায় সংক্রমণের চিত্র একই। সেখানেও দেখা গেছে পূজার পর কলকাতায় সংক্রমণের হার ঊর্ধ্বমুখী। ১৪ অক্টোবর কলকাতায় সংক্রমিতের সংখ্যা ছিল ১০২। এর পরের দুই দিন ছিল যথাক্রমে ১২৭ ও ১০৮ জন। কিন্তু সেই সংখ্যা হঠাৎ বেড়ে যায় ১৭ অক্টোবর। এদিন শনাক্তের সংখ্যা ছিল ১৭৯। এর পরের দিনগুলোতে যা ক্রমাগত বাড়তে থাকে।

সবশেষ গতকাল রাতে প্রকাশিত সরকারি হিসাব অনুযায়ী, ২৪ ঘণ্টায় শনাক্তের সংখ্যা বেড়ে ৩১৯ দাঁড়িয়েছে।

কলকাতা পৌর করপোরেশন এলাকায় সংক্রমণের হার কিছুটা বেড়ে যাওয়ায় পৌর কর্তৃপক্ষও উদ্বিগ্ন। গতকাল এ নিয়ে বৈঠক করেছে তারা। বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয়, এবার পৌর এলাকায় একটি সেফ হোম ও একটি কোয়ারেন্টিন কেন্দ্র খোলা হবে। উত্তর কলকাতার হরে কৃষ্ণ শেঠ লেনে খোলা হবে ৬০ শয্যার সেফ হোম। আর ক্রিস্টোফার রোডে চম্পামণি মাতৃসদনে খোলা হবে কোয়ারেন্টিন কেন্দ্র।