Thank you for trying Sticky AMP!!

পশ্চিমবঙ্গে ৩০ অক্টোবর পর্যন্ত আংশিক লকডাউনের মেয়াদ বাড়ল

ভারতের পশ্চিমবঙ্গে করোনা সংক্রমণ ও মৃত্যুর হার কমে এলেও রয়েছে তৃতীয় ঢেউয়ের আশঙ্কা। এ ছাড়া আসন্ন দুর্গোৎসব সামনে রেখে এখনই তুলে নেওয়া হচ্ছে না চলমান আংশিক লকডাউন। রাজ্যটিতে আগামী ৩০ অক্টোবর পর্যন্ত লকডাউনের মেয়াদ বাড়ানো হয়েছে।

গতকাল বৃহস্পতিবার পশ্চিমবঙ্গ সচিবালয় নবান্ন থেকে এক নির্দেশনায় আংশিক লকডাউনের মেয়াদ বাড়ানোর কথা জানানো হয়। আগের ঘোষণা অনুযায়ী, লকডাউন শেষ হওয়ার কথা ছিল ৩০ সেপ্টেম্বর।

নবান্নের নির্দেশনায় বলা হয়, আংশিক লকডাউন চলাকালে স্থানীয় সময় রাত ১১টা থেকে ভোর ৫টা পর্যন্ত বিনা প্রয়োজনে বাড়ির বাইরে বের হতে পারবে না কেউ। এ নিয়ম ভঙ্গ করলে ২০০৫ সালের বিপর্যয় মোকাবিলা আইন অনুযায়ী শাস্তি দেওয়া হবে। তবে দুর্গাপূজার কথা মাথায় রেখে ১০ থেকে ২০ অক্টোবর পর্যন্ত রাতে বাড়ির বাইরে বের হওয়ার ওপর কোনো নিষেধাজ্ঞা থাকবে না।

নির্দেশনায় আরও বলা হয়েছে, লকডাউন চলাকালে গণপরিবহন চালু থাকলেও লোকাল ট্রেন চলাচলের ওপর নিষেধাজ্ঞা থাকছে। তবে মেট্রোরেল যথারীতি করোনা নিয়ন্ত্রণের স্বাস্থ্যবিধি মেনে চালু থাকবে। প্রতিটি বাসে ‘মাস্ক ছাড়া প্রবেশ নিষেধ’ লেখা স্টিকার লাগাতে হবে। হাটবাজার ও শপিং মলেও মাস্ক ব্যবহার করতে হবে। ৫০ শতাংশ আসন খালি রেখে খোলা রাখা যাবে কোচিং সেন্টারগুলো। সরকারি ও বেসরকারি অফিসও ৫০ শতাংশ কর্মী নিয়ে চালু থাকবে। আইটি-সংশ্লিষ্ট সব অফিস পূর্ণ কর্মী নিয়ে চালু করা যাবে। করোনার সংক্রমণ না বাড়লে পূজার পর খুলবে সব স্কুল–কলেজ।

৩০ অক্টোবর পর্যন্ত সরকারি ও বেসরকারি অফিস চলবে সকাল ১০টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত। ব্যাংক খোলা থাকবে সকাল ১০টা থেকে বেলা ৩টা পর্যন্ত। হাটবাজার ও কাঁচাবাজার খোলা রাখা যাবে সকাল ৬টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত। অন্যান্য দোকানপাট খোলা থাকবে বেলা ১১টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত। বেলা ১১টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত খোলা থাকবে শপিং মল। পারলার ও সেলুন খোলা থাকবে বেলা ১১টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত। আর বার ও রেস্তোরাঁ দুপুর ১২টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত খোলা রাখার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

নির্দেশনায় বলা হয়, লকডাউন চলাকালে জিম খোলা যাবে ৫০ শতাংশ আসন নিয়ে। সিনেমা হল ও স্টেডিয়ামে ৫০ শতাংশ দর্শক আসন খালি রেখে চালু করা যাবে। টিকা নেওয়া থাকলে সকালে প্রাতর্ভ্রমণকারীদের ঢুকতে দেওয়া হবে পার্কে। এ সময় চালু থাকবে হোম ডেলিভারি, অনলাইন পরিষেবা ও অত্যাবশ্যকীয় পণ্য পরিষেবা। খোলা থাকবে ওষুধ ও চিকিৎসাসামগ্রীর দোকান।

এদিকে পশ্চিমবঙ্গের স্বাস্থ্য দপ্তর থেকে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় প্রকাশিত স্বাস্থ্য বুলেটিনে বলা হয়েছে, সর্বশেষ ২৪ ঘণ্টায় রাজ্যে নতুন করে ৭৪৯ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছে। একই সময়ে মৃত্যু হয়েছে ১৫ জনের। এর মধ্যে কলকাতায় আক্রান্ত হয়েছে ১৪৯ জন। আর মারা গেছে ৩ জন।