Thank you for trying Sticky AMP!!

বাংলাদেশের সীমান্তবর্তী মুখ্যমন্ত্রীদের সঙ্গে রাজনাথের বৈঠক

বাংলাদেশের সঙ্গে ভারতের সীমান্তবর্তী পাঁচ রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীদের সঙ্গে বৈঠক করেন ভারতের কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রাজনাথ সিং। বৃহস্পতিবার বিকেলে পশ্চিমবঙ্গের রাজ্য সচিবালয় নবান্নে সীমান্ত নিরাপত্তা নিয়ে বৈঠকে ছিলেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ছবি: ভাস্কর মুখার্জি

বাংলাদেশের সঙ্গে ভারতের সীমান্তবর্তী পাঁচ রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীদের সঙ্গে বৈঠক করেছেন ভারতের কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রাজনাথ সিং। আজ বৃহস্পতিবার বিকেলে পশ্চিমবঙ্গের রাজ্য সচিবালয় নবান্নে সীমান্ত নিরাপত্তা নিয়ে এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।

বৈঠকে বাংলাদেশের সীমান্তসংলগ্ন ভারতের পাঁচ রাজ্যের সীমান্ত নিরাপত্তা নিয়ে আলোচনা হয়। বেলা তিনটায় বৈঠক শুরু হয়ে দুই ঘণ্টা ধরে চলে। বৈঠকে সীমান্ত নিরাপত্তা, জঙ্গি অনুপ্রবেশ, চোরাচালান, জাল নোট পাচার নিয়ে আলোচনা হয়।

বাংলাদেশ সীমান্ত-সংলগ্ন ভারতের পাঁচটি রাজ্য হলো পশ্চিমবঙ্গ, আসাম, ত্রিপুরা, মেঘালয় ও মিজোরাম। আজকের বৈঠকে এই পাঁচ রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর যোগদানের কথা থাকলেও যোগ দেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, আসামের মুখ্যমন্ত্রী সর্বানন্দ সোনওয়াল ও মিজোরামের মুখ্যমন্ত্রী লালথানওয়ালা। তবে ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী মানিক সরকার এবং মেঘালয়ের মুখ্যমন্ত্রী মুকুল সাংমা না এলেও তাঁদের প্রতিনিধিরা যোগ দেন। তা ছাড়া এই পাঁচ রাজ্যের মুখ্য ও স্বরাষ্ট্রসচিব, পুলিশের ডিজি এবং বিএসএফের শীর্ষ কর্মকর্তারা যোগ দেন।

এই পাঁচ রাজ্যের সঙ্গে ভারতের সীমান্ত রয়েছে ৪০৯৬.৭ কিলোমিটার। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি সীমান্ত এলাকা রয়েছে পশ্চিমবঙ্গে। পরিমাণ ২ হাজার ২১৭ কিলোমিটার। ত্রিপুরার রয়েছে ৮৫৬ কিলোমিটার, আসামের রয়েছে ২৬২ কিলোমিটার এবং মিজোরামের রয়েছে ১৮০ কিলোমিটার সীমান্ত। এর মধ্যে মাত্র অর্ধেক অংশে রয়েছে কাঁটাতারের বেড়া।

বৈঠক শেষে সংবাদ সম্মেলনে ভারতের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রাজনাথ সিং বলেন, ‘বাংলাদেশের কিছু জঙ্গি লুকিয়ে আছে ভারতের উত্তর-পূর্ব রাজ্যে। এরা জঙ্গি সংগঠন জোরদার করতে তৎপরতা চালাচ্ছে। বাংলাদেশের সঙ্গে আমাদের রয়েছে সুসম্পর্ক। বাংলাদেশের সাহায্য নিয়েই আমাদের জঙ্গি অনুপ্রবেশ রুখতে হবে। জোরদার করতে হবে আমাদের সীমান্ত এলাকা। বন্ধ করতে হবে অনুপ্রবেশ, চোরাচালান, নোট পাচার, কালোবাজারি।’ তিনি আরও বলেন, বৈঠকে সন্ত্রাসবাদ নিয়ে আলোচনা হয়েছে। সন্ত্রাসবাদীদের কঠোর হাতে মোকাবিলা করতে হবে। সন্ত্রাসবাদ রুখতে সীমান্তে নজরদারি বাড়াতে হবে। নজরদারি বাড়াতে প্রযুক্তির ব্যবহার করতে হবে। পাশাপাশি সীমান্ত এলাকার উন্নয়ন ত্বরান্বিত করতে হবে।

পরে রাজনাথ সিং মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে ১৫ মিনিট একান্ত বৈঠকও করেন সচিবালয়ে।