Thank you for trying Sticky AMP!!

বাংলাদেশে চা পাঠাতে চায় ত্রিপুরা

বাংলাদেশে চা রপ্তানি করতে চায় ত্রিপুরা। ছবি: সংগৃহীত

ভারতের ত্রিপুরা রাজ্য সরকার বাংলাদেশে চা রপ্তানি করতে চায়। ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব কুমার দেব এ ব্যাপারে উদ্যোগী হতে ভারতের বাণিজ্যমন্ত্রী সুরেশ প্রভুকে অনুরোধ করেছেন। তাঁর মতে, ত্রিপুরার চা–শিল্পের উন্নয়নে প্রতিবেশী বাংলাদেশে চা রপ্তানি বিশেষ জরুরি।

১০০ বছর আগে থেকে ত্রিপুরায় চা উৎপাদিত হচ্ছে। এখানকার চা গুয়াহাটি ও কলকাতার টি-মার্কেটে নিয়মিত পাঠানো হয়। কিন্তু ত্রিপুরা চা উন্নয়ন নিগম (টিটিডিসি) চাইছে, এখানকার চা বাংলাদেশের বাজার ধরুক। সিলেটের টি অক্সন সেন্টারেও অংশ নিতে চায় ত্রিপুরা।

ত্রিপুরার ৫৪টি বাগান থেকে সংগ্রহ করা পাতায় ২২টি কারখানায় বছরে গড়ে ৯০ লাখ কেজি চা উৎপাদন হয়। কিন্তু ঘরোয়া বাজারে চায়ের এত চাহিদা নেই। তাই ত্রিপুরার ভরসা রপ্তানিই।

টিটিডিসির চেয়ারম্যান সন্তোষ কুমার সাহা প্রথম আলোকে জানান, তাঁরা বাংলাদেশের বাজার ধরতে আগ্রহী। রাজ্যের ৮টি স্থলবন্দর দিয়ে বাংলাদেশে চা রপ্তানিতে বেশ কিছু সমস্যা রয়েছে। বাংলাদেশের আমদানি শুল্কও প্রতিবন্ধকতার সৃষ্টি করছে। তিনি আরও জানান, এ কারণেই ভারত সরকারের সঙ্গে তাঁরা মুখ্যমন্ত্রীর মাধ্যমে যোগাযোগ করছেন। টিটিডিসি চাইছে, দ্বিপক্ষীয় আলোচনার মাধ্যমে চা রপ্তানি নিয়ে যাবতীয় জটিলতা কাটুক।

সন্তোষ সাহার তথ্য অনুযায়ী, নিজস্ব উৎপাদন ছাড়াও বাংলাদেশ বছরে ৬৫ লাখ কেজি চা আমদানি করে। তাই সেখানে চায়ের বিপুল চাহিদা রয়েছে বলে তাঁরা মনে করেন। তিনি জানান, ভারতে একজন মানুষ বছরে গড়ে ৮০০ গ্রাম করে চা পান করেন। তাই ত্রিপুরার ৩৮ লাখ মানুষকে জোগান দিয়েও উৎপাদিত চা বাইরে রপ্তানি করা জরুরি হয়ে দাঁড়িয়েছে।

টিটিডিসির চেয়ারম্যান দাবি করেন, ত্রিপুরার সিটিসি চা ভারত বা বাংলাদেশের যেকোনো চায়ের তুলনায় ভালো। তাই এখন তাঁরা বাজার ধরতে মরিয়া।