Thank you for trying Sticky AMP!!

ভারতে সংক্রমণ ঊর্ধ্বমুখী, আবার বাড়ল লকডাউন

ভারতে মৌসুমি শ্রমিকদের নিয়ে একটি বিশেষ ট্রেন যাবে বিহারে। সেই ট্রেন ধরতে হেঁটে স্টেশনে যাচ্ছেন শ্রমিকেরা। গতকাল তামিলনাড়ুর চেন্নাইয়ে। ছবি: এএফপি

ভারতে লকডাউন পুরোপুরি প্রত্যাহার করা হচ্ছে না। ফলে জনজীবনও সম্পূর্ণভাবে স্বাভাবিক হচ্ছে না। চতুর্থ দফার লকডাউনের মেয়াদ শেষ হওয়ার মুখে গতকাল শনিবার রাতে কেন্দ্রীয় সরকার বলেছে, পঞ্চম দফাতেও নিষেধাজ্ঞা বহাল রাখার নীতি গৃহীত করা হয়েছে। অর্থাৎ আগামী ৩০ জুন পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে লকডাউন। তবে কম সংক্রমিত এলাকায় ধীরে ধরে নিষেধাজ্ঞা তোলা হবে।

লকডাউনের ৭০ দিন অতিক্রান্ত। অথচ সংক্রমণ নিত্যদিন রেকর্ড গড়ে চলেছে। এক সপ্তাহ ধরে প্রতিদিন ভারতে সংক্রমিত হচ্ছে গড়ে সাত হাজারের বেশি। গত ২৪ ঘণ্টায় আক্রান্ত ৭ হাজার ৯৬৪ জন। এত কড়াকড়ি সত্ত্বেও সংক্রমণ কেন বেড়ে চলেছে, তার ব্যাখ্যা হলো, প্রতিদিন আরও বেশি মানুষের পরীক্ষা এবং আরও বেশি মাত্রায় নিষেধাজ্ঞার শিথিলতা। স্বাস্থ্য পরিষেবার সঙ্গে যুক্ত যাঁরা, তাঁদের সঙ্গে অর্থনীতিবিদদের এই সংঘাতের নিট ফল, লকডাউনের ৭০ দিনের মাথায় দেশের মোট সংক্রমিতের সংখ্যা ১ লাখ ৮১ হাজারের বেশি। এই উদ্বেগজনক পরিসংখ্যানের মধ্যে স্বস্তির বিষয় একটাই, সুস্থতার হারও ক্রমশ বেড়ে চলেছে। শুক্রবার এক দিনে সুস্থ হয়েছেন ১১ হাজারের বেশি। সুস্থ হওয়ার মোট সংখ্যা ৮৬ হাজারের বেশি।

সংক্রমণ মাত্রাছাড়া মহারাষ্ট্রে (৬২ হাজার ২২৮)। এই ঊর্ধ্বগামিতা কিছুতেই কমানো যাচ্ছে না। দ্বিতীয় স্থানে তামিলনাড়ু (২০ হাজার ২৪৬)। তৃতীয় স্থানে রাজধানী দিল্লি (১৭ হাজার ৩৮৬)। সংক্রমণ আরও বাড়ার আশঙ্কা করা হচ্ছে মৌসুমি শ্রমিকদের রাজ্যে রাজ্যে ফেরানোর সিদ্ধান্তে।

>

লকডাউনের পঞ্চম দফায় কম সংক্রমিত এলাকায় ধীরে ধীরে নিষেধাজ্ঞা শিথিল
সংক্রমিত এলাকাগুলোয় কড়াকড়ি বৃদ্ধি

সব রাজ্যের স্বাস্থ্যকর্মীরা লকডাউন কঠোরভাবে জারি রাখার পক্ষে হলেও কোনো সরকারেরই তা করার উপায় নেই অর্থনৈতিক কারণে। জীবন ও জীবিকার মধ্যে এই সংঘাতে কোনো একটিকে বেছে নেওয়া সরকারের পক্ষে সম্ভব নয়। তাই সীমিত সংখ্যায় হলেও শুরু হয়েছে বিমান ও ট্রেন চলাচল। তবে গতকাল একটি আশ্চর্যজনক ঘটনা ঘটেছে। এয়ার ইন্ডিয়ার মস্কোগামী উড়োজাহাজ মাঝ আকাশ থেকে ফিরিয়ে আনা হয়েছে। কারণ, চালক করোনায় আক্রান্ত। জানুয়ারি থেকে মার্চ পর্যন্ত তিন মাসে দেশের প্রবৃদ্ধির হার হয়েছে ৩ দশমিক ১ শতাংশ।

এই পরিসংখ্যান রীতিমতো উদ্বেগের। কারণ, ওই সময়ে লকডাউনের প্রভাব পড়েছিল মাত্র এক সপ্তাহের জন্য।