Thank you for trying Sticky AMP!!

মহারাষ্ট্রের শারদ-দুর্গে বিজেপিভীতি

ভারতের লোকসভা নির্বাচনে মোদি–আতঙ্ক অনেকের মাঝে। এমনকি ভারতের মহারাষ্ট্রের এনসিপি নেতা শারদ পাওয়ারের দুর্গেও একই ছবি। কারণ বিজেপি পাওয়ারের বারামতী দুর্গ দখল করতে জানপ্রাণ লড়িয়ে দিচ্ছে। মহারাষ্ট্র থেকে এনসিপি অর্থাৎ রাষ্ট্রবাদী কংগ্রেস পার্টিকে নির্মূল করতে হলে বারামতী দখল করতে মরিয়া বিজেপি। তাই একের পর এক অস্ত্র প্রয়োগ করছে শাসক দল বিজেপি।

বারামতী কেন্দ্রে এনসিপির হয়ে এবারও নির্বাচন লড়ছেন শারদ–কন্যা সুপ্রিয়া শূলে। বাবার দুর্গের রক্ষাকর্তা তিনিই এখন। লোকসভা নির্বাচনকে ঘিরে চোখেমুখে তাঁর আত্মপ্রত্যয়ের ছাপ স্পষ্ট। কিন্তু তাঁর মনে কোথাও শঙ্কা উঁকি মারছে। কারণ গতবার অর্থাৎ ২০১৪-র লোকসভা নির্বাচনে রাষ্ট্রীয় সমাজ পক্ষের (আরএসপিএস) প্রার্থী মহাদেব জগন্নাথ জনকরকে সুপ্রিয়া হারিয়েছিলেন মাত্র ৬৯ হাজার ৭১৯ ভোটের ব্যবধানে। এই নির্বাচনে আরএসপিএসের সংগে হাত মিলিয়ে ছিল বিজেপি। অথচ ২০০৯-এর নির্বাচনে সুপ্রিয়া বিজেপির কান্টা নালাওয়াড়কে হারিয়েছিলেন তিন লাখের বেশি ভোটে। ২০১৪-র লোকসভা নির্বাচনে এই কম ব্যবধান শারদ–কন্যার চিন্তার বলিরেখা স্পষ্ট হওয়ার অন্যতম কারণ। এই পাঁচ বছরে পাওয়ারের দুর্গকে আঘাত হানতে বিজেপি তাদের অস্ত্রশস্ত্র আরও ধারালো করেছে, তা বলার অপেক্ষা রাখে না। বিজেপি বারামতী দখল করতে নানান নির্বাচনী কৌশল প্রয়োগ করছে। অমিত শাহসহ বিজেপির গুরুত্বপূর্ণ নেতারা এখানে এসে জোরদার প্রচারণা করছেন। এবারের লোকসভা নির্বাচনে বিজেপির প্রার্থী হিসাবে দাঁড় করিয়েছে কাঞ্চন কুলকে। কাঞ্চন বিজেপির শরিক দল রাষ্ট্রীয় সমাজ পক্ষের নেতা তথা বিধায়ক রাহুল কুলের স্ত্রী। তাই বিজেপির এই নেত্রী সুপ্রিয়াকে কঠিন লড়াইয়ের মুখে ফেলবে বলে অনেকে আশা করছেন।

তবে সুপ্রিয়া তাঁর বাবার সাম্রাজ্য রক্ষা করতে মরিয়া এখন। কোনো রকম ঝুঁকি নিতে চান না এই নেত্রী। বারামতী, দাউন্দ, ইন্দাপুর, খড়কওয়াসলা, ভোরসহ প্রায় সব বিধানসভা কেন্দ্রে আলাদা করে নির্বাচনী প্রচার করছেন সুপ্রিয়া। মোদি–আতঙ্কে শারদ–কন্যা কতটা আতঙ্কিত, তার জবাবে অত্যন্ত আত্মপ্রত্যয়ের সংগে তিনি বলেন, '২০১৪-তে মোদি হাওয়া ছিল ঠিকই। তবে এখন সেই হাওয়ার দাপট আর নেই। সাধারণ মানুষ বিজেপির ওপর ব্রীতশ্রদ্ধ। মহারাষ্ট্রের কৃষকদের ক্ষোভ বাড়ছে। ওরা চরম দুর্দশার মধ্যে আছে।’ এনসিপি সমর্থকদের মতে, সুপ্রিয়া বারামতীর জন্য প্রচুর কাজ করেছেন। আর অনেকে আশাবাদী এই কাজই তাঁকে এবারো নির্বাচনী বৈতরণী পার করে দেবে। সুপ্রিয়ার আর একটা বড় গুণ, খুব সহজে তিনি গ্রামের সাধারণ মানুষের সংগে মিশে যেতে পারেন।

মহারাষ্ট্রের নীরাতে গিয়ে স্বচক্ষে দেখা গেল শারদ কন্যার বিপুল জনপ্রিয়তা। এই নেত্রীকে একটু দেখার আশায় দূরদূরান্ত থেকে মানুষ ছুটে এসেছেন। নয় থেকে নব্বই সবারই তিনি কাছের মানুষ। এনসিপির অনেকেই মনে করেন যে সুপ্রিয়া বাবার যোগ্য উত্তরসূরি। আর তাঁর মাথায় আছে বাবা শারদ পাওয়ারের হাত।