Thank you for trying Sticky AMP!!

মোদির ওপর চাপ বাড়ছে

ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। ছবি: রয়টার্স

চিন্তা বেড়েছে বিজেপির। বাড়তি চাপও তাই তৈরি হচ্ছে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ওপর।

প্রথম দফার নির্বাচনে গতবারের চেয়ে ভোট কম পড়ায় বিজেপি নেতাদের বলিরেখা কিছুটা গাঢ় হয়েছে। উত্তর প্রদেশের পশ্চিম প্রান্তের আটটি কেন্দ্র থেকে ভোটাভুটির যে রিপোর্ট দীনদয়াল উপাধ্যায় মার্গের দলীয় সদর দপ্তরে এসে পৌঁছেছে, তা খুব একটা আশাপ্রদ নয়। এই অবস্থায় বিভিন্ন রাজ্য থেকে প্রধানমন্ত্রীর আরও বেশি জনসভার দাবি আসতে শুরু করেছে। কীভাবে সেই দাবি মেটানো যায়, শুরু হয়েছে সেই ভাবনা। চাপ বাড়ছে প্রধানমন্ত্রীর ওপর।

কৌশলগতভাবে এবারের নির্বাচন বিজেপি পুরোপুরি মোদিকেন্দ্রিক করে তুলেছে। দেশের সব রাজ্যে সব কেন্দ্রে নরেন্দ্র মোদির নামেই ভোট চাওয়া হচ্ছে। যেন তিনিই সব কেন্দ্রে বিজেপির একমাত্র প্রার্থী। নির্বাচনের প্রথম দফায় ১৮ রাজ্য ও ২টি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের ৯১ আসনে যে ভোট-ছবি বিজেপির দপ্তরে এসেছে, তাতে দেশের কোথাও মোদির নামে পাঁচ বছর আগের সেই উন্মাদনা দেখা যায়নি। বিজেপির চিন্তা এখানেই। এই চিন্তা আরও বাড়িয়েছে উত্তর ভারতে ভোটের হার কমায়।

বিজেপির ভোট পরিচালকদের এক সূত্র প্রথম পর্বের ব্যাখ্যা করে জানায়, ‘প্রধানমন্ত্রীর নামে হাওয়া নেই, এটা যেমন সত্য, তেমনই বিরুদ্ধেও হাওয়া দেখা যায়নি। এটা মেনে নিলে ভোটে জেতার প্রধান দায় এসে পড়ে ভোটের দিন সাংগঠনিক ক্ষমতার ওপর। দেখতে হবে সেই সাংগঠনিক দক্ষতা ঠিকমতো কাজ ​করেছে কি না।’ এর পাশাপাশি ওই সূত্র জানায়, ‘গতবারের তুলনায় বিরোধীরা এবার বেশি সংগঠিত। পক্ষে-বিপক্ষে হাওয়া নেই বলে এটাও ধরে নেওয়া যেতে পারে রাজ্যওয়ারি ইস্যু ভোটে বড় হয়ে উঠবে।’ উত্তর প্রদেশের ক্ষেত্রে ওই সূত্রটি জোর দিতে চাইছে সমাজবাদী-বহুজন সমাজের জোটের কার্যকারিতার ওপর। তাদের রিপোর্ট অনুযায়ী, অনেক আগে থেকে জোট হওয়ায় তা নিচুতলা পর্যন্ত পৌঁছেছে। তারা ভেবেছিল, মুজফফরনগরের দাঙ্গার দরুন জাট ভোট মুসলমান জোট প্রার্থীর দিকে সেভাবে যাবে না। কিন্তু তেমন কোনো খবর পশ্চিম–উত্তর প্রদেশের জাট ​ও মুসলমানপ্রধান অঞ্চল থেকে পাওয়া যায়নি। ফলে বিজেপি কিছুটা চিন্তিত।

নির্বাচন কমিশন চলছে মোদির নির্দেশে: নাইডু

প্রথম পর্বের ভোটের পর বিরোধীরা নির্বাচন কমিশনের ওপর চাপ বাড়ানো শুরু করেছে। অন্ধ্র প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী চন্দ্রবাবু নাইডু দিল্লি এসে মুখ্য নির্বাচন কমিশনারের সঙ্গে দেখা করে রাজ্যে দেড় শ বুথে পুনর্নির্বাচনের দাবি জানিয়েছেন। গতকাল শনিবার সংবাদমাধ্যমকে তিনি বলেছেন, দাবি মানা না হলে নির্বাচন কমিশনে ধরনায় বসবেন।

নাইডুর দাবি, ৩০ থেকে ৪০ শতাংশ ইভিএম গোলমেলে ছিল। ফলে মাঝরাত পেরিয়ে যাওয়ার পরেও কোনো কোনো বুথে ভোট নেওয়া হয়। নির্বাচন কমিশনের বিরুদ্ধে অসহযোগিতার অভিযোগ এনে তিনি বলেন, স্বশাসিত সংস্থা হওয়া সত্ত্বেও নির্বাচন কমিশন চলছে মোদির নির্দেশে।