Thank you for trying Sticky AMP!!

মোদির ঘুম কেড়ে নিতে একজোট মায়াবতী-অখিলেশ

উত্তর প্রদেশে জোট বাঁধলেন বহুজন সমাজবাদী পার্টির (বিএসপি) প্রধান মায়াবতী ও সমাজবাদী পার্টির অখিলেশ যাদব। তবে কংগ্রেসকে কোনো ধরনের সুবিধা দেওয়ার কথা নাকচ করে দিয়েছেন এই দুই হেভিওয়েট নেতা। ছবি: এএফপি ও রয়টার্স

ভারতের আসন্ন লোকসভা নির্বাচনকে কেন্দ্র করে রাজ্যে রাজ্যে জোটবদ্ধ রাজনীতির নানা রং দেখা যাচ্ছে। এবার উত্তর প্রদেশে জোট বাঁধলেন বহুজন সমাজবাদী পার্টির (বিএসপি) প্রধান মায়াবতী ও সমাজবাদী পার্টির (এসপি) অখিলেশ যাদব। তবে কংগ্রেসকে কোনো ধরনের সুবিধা দেওয়ার কথা নাকচ করে দিয়েছেন এই দুই হেভিওয়েট নেতা।

এনডিটিভির খবরে বলা হয়েছে, আজ শনিবার জোটবদ্ধ হওয়ার ঘোষণা দেন অখিলেশ যাদব ও মায়াবতী। বহুজন সমাজবাদী পার্টির প্রধান মায়াবতী বলেন, ‘আমাদের অভিজ্ঞতা বলছে, কংগ্রেস কখনো আমাদের দিকে ভোট দেয় না।’ তিনি আরও বলেন, ‘হতে পারে, এটি কংগ্রেসের একটি ষড়যন্ত্র। এভাবেই তারা বিজেপির দিকে ভোট পাঠিয়ে দেয়। আমরা এর আগে কংগ্রেসের দিকে ভোট পাঠিয়েছি, কিন্তু তারা এমনটা করেনি। ১৯৯৬ সালে আমাদের এই অভিজ্ঞতা হয়েছে। ২০১৭ সালে সমাজবাদী পার্টিরও একই অভিজ্ঞতা হয়েছে।’

২০১৭ সালের নির্বাচনে কংগ্রেসের সঙ্গে জোট বেঁধেছিলেন অখিলেশ যাদব। কিন্তু সেই নির্বাচনে ভোটারদের আকর্ষণ করতে পারেনি ওই জোট। তাই এবার মায়াবতীর সঙ্গে জোট বেঁধেছে সমাজবাদী পার্টি। মায়াবতী আরও বলেছেন, সারা দেশে কংগ্রেসের মতো দলের সঙ্গে তারা আর জোটবদ্ধ হবেন না। গত বছর সমাজবাদী ও বিএসপির জোট থেকে দেখা গেছে, এতে করে দুই পক্ষই ভোটে লাভবান হয়।

অন্যদিকে অখিলেশ যাদব বলেছেন, ‘আমি আমার কর্মীদের বলতে চাই, মায়াবতীকে অপমান করলে তাতে আমাকেও অপমান করা হবে।’

এই নতুন জোট জানিয়েছে, আগামী নির্বাচনে ৮০টি আসনের মধ্যে ৭৬টি আসনে তারা প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবে। এর মধ্যে ৩৮টি করে আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবে বহুজন সমাজবাদী পার্টি ও সমাজবাদী পার্টি। কংগ্রেসকে ছেড়ে দেওয়া হবে মোটে ২টি আসন। নতুন জোট বলছে, তারা বিজেপিকে হারাতে চায়, কিন্তু কংগ্রেসকে কোনো সুবিধাও দিতে চায় না। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও বিজেপির সাধারণ সম্পাদক অমিত শাহর ঘুম কেড়ে নিতে চায় এই জোট।

কেন্দ্রে ক্ষমতাসীন ভারতীয় জনতা পার্টির (বিজেপি) কড়া সমালোচনাও করেছে মায়াবতী। তিনি বলেন, কংগ্রেসের মতো বিজেপিও প্রতিরক্ষা খাতের দুর্নীতিতে দোষী। বর্তমানে ভারতের পরিস্থিতি ১৯৭৫-৭৭ সালে জারি করা জরুরি অবস্থার চেয়ে ভিন্ন কিছু নয়। একে ‘অঘোষিত জরুরি অবস্থা’ বলে দাবি করেন মায়াবতী।

তবে কিছুদিন আগে মধ্যপ্রদেশ, রাজস্থান ও ছত্তিশগড়ে অনুষ্ঠিত রাজ্যসভা নির্বাচনে কংগ্রেসের সঙ্গে জোট বাঁধার সুর তুলেছিলেন মায়াবতী। আর এখন মায়াবতীর বক্তব্য, বিজেপি ও কংগ্রেস দুটি দলই নাকি সাপের মতো!

২০১৪ সালের লোকসভা নির্বাচনে উত্তর প্রদেশের ৮০টি আসনের মধ্যে ৭৩টিতে জয় পেয়েছিল বিজেপি ও আপনা দল-এর জোট। ওই নির্বাচনে সমাজবাদী পার্টি, বহুজন সমাজবাদী পার্টি ও কংগ্রেস প্রায় ধুয়েমুছে গিয়েছিল। তবে বিশ্লেষকেরা বলছেন, এ বছরের আসন্ন নির্বাচন উপলক্ষে সমাজবাদী পার্টি ও বিএসপির নতুন জোট বিজেপির জন্য মাথাব্যথার কারণ হয়ে দাঁড়াতে পারে। এরই মধ্যে গত মাসের রাজ্যসভা নির্বাচনে কংগ্রেসের কাছে হিন্দি গোবলয়ের তিনটি গুরুত্বপূর্ণ রাজ্যের নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলেছে বিজেপি।