Thank you for trying Sticky AMP!!

মোদির সফরে হরতাল, বিক্ষোভ উত্তর-পূর্ব ভারতে

নরেন্দ্র মোদি

নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল নিয়ে প্রবল ক্ষোভের মধ্যেই উত্তর-পূর্ব ভারত সফর করলেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। গতকাল শুক্রবার সন্ধ্যায় দুদিনের সফরে গুয়াহাটি এসে পৌঁছান প্রধানমন্ত্রী। শনিবার সকালে তিনি উড়ে যান চীন সীমান্তবর্তী অরুণাচল প্রদেশে। সেখানে বেশ কয়েকটি প্রকল্পের উদ্বোধন ও শিলান্যাস করেন তিনি। আসামেও ছিল প্রধানমন্ত্রীর বেশ কয়েকটি কর্মসূচি। এরপর সন্ধ্যায় ত্রিপুরা সফর শেষ করে দিল্লি উড়ে যায় মোদির বিশেষ বিমান।

আসাম, অরুণাচল প্রদেশ ও ত্রিপুরা—তিন জায়গাতেই নাগরিকত্ব বিলের প্রতিবাদে বিক্ষোভ চলে। আসামে এদিন মোদির সফর উপলক্ষে পালিত হয় ১২ ঘণ্টার হরতাল। সরকারি বিধিনিষেধ উপেক্ষা করে কালো পতাকা দেখানোর পাশাপাশি পোড়ানো হয় মোদির কুশপুতুল। প্রতিবাদ হয় অরুণাচল প্রদেশেও। বাংলাদেশ, পাকিস্তান ও আফগানিস্তানের সংখ্যালঘু শরণার্থীদের নাগরিকত্ব প্রদানে ভারত সরকারের উদ্যোগের বিরোধিতাই ছিল বিক্ষোভের মূল সুর। তবে ত্রিপুরায় প্রদেশ কংগ্রেসের ডাকে কালো বেলুন উড়িয়ে প্রতিশ্রুতি খেলাপের অভিযোগে বিক্ষোভ দেখানো হয়। প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি বীরজিত সিনহা প্রথম আলোকে বলেন, ‘১১ মাস আগে বিধানসভা ভোটের আগে দেওয়া কোনো প্রতিশ্রুতিই রাখেননি মোদি। তাই জনগণ ক্ষুব্ধ।’

বিরোধিতার মধ্যেই তিন জায়গাতেই সরকারি সফরে এসে তিনটি জনসভায় ভাষণ দেন মোদি। তাঁর ভাষণজুড়ে ছিল নিজের সরকারের সাফল্যের পাশাপাশি কংগ্রেস ও অন্য বিরোধীদের বিরুদ্ধে বিদ্রূপ। নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল নিয়েও বিরোধীরা বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছে বলে অভিযোগ করেন মোদি। ত্রিপুরায় তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশের সহযোগিতায় চট্টগ্রাম ও আশুগঞ্জ বন্দর ব্যবহার করে ত্রিপুরা হয়ে উঠতে চলেছে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার বাণিজ্যিক হাব। গোমতী নদীতে ড্রেজিং করে জাহাজ চালানো হবে। পাল্টে যাবে ত্রিপুরার চেহারা।’