Thank you for trying Sticky AMP!!

মৌসম, অভিজিৎ, বদরুদ্দোজার ভাগ্য পরীক্ষা কাল

মৌসম বেনজির নূর, অভিজিৎ মুখার্জি, বদরুদ্দোজা খান । ছবি: প্রথম আলো

পশ্চিমবঙ্গের পাঁচ আসনে কাল মঙ্গলবার লোকসভার ভোট নেওয়া হবে। এসব আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন সদ্য তৃণমূলে যোগ দেওয়া কংগ্রেস সাংসদ মৌসম বেনজির নূর, কংগ্রেস সাংসদ ও সাবেক রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখার্জির ছেলে অভিজিৎ মুখার্জি ও বদরুদ্দোজা খানের মতো শক্তিমান প্রার্থীরা। সব প্রার্থীকেই প্রবল প্রতিদ্বন্দ্বিতার মুখে পড়তে হয়েছে।

ভারতের লোকসভা নির্বাচনের দুই দফার ভোট গ্রহণ সম্পন্ন হয়েছে। কাল তৃতীয় দফার ভোট। কাল ভারতের ১৪টি রাজ্যের ১১৫টি আসনে নেওয়া হবে ভোট। পশ্চিমবঙ্গের মুর্শিদাবাদ, জঙ্গিপুর, মালদহ উত্তর, মালদহ দক্ষিণ এবং দক্ষিণ দিনাজপুরের বালুরঘাট আসনে ভোট নেওয়া হবে। এর আগে প্রথম দফায় ১১ এপ্রিল পশ্চিমবঙ্গে কোচবিহার ও আলিপুরদুয়ার এবং দ্বিতীয় দফায় ১৮ এপ্রিল দার্জিলিং, রায়গঞ্জ ও জলপাইগুড়ি আসনে ভোট নেওয়া হয়।

সাংসদ মৌসম বেনজির নূর লড়ছেন মালদহ উত্তরে। মালদহ দক্ষিণে রয়েছেন কংগ্রেস সাংসদ আবু হাসেম খান চৌধুরী। জঙ্গিপুরে আছেন কংগ্রেস সাংসদ অভিজিৎ মুখার্জি। বালুরঘাটে আছেন তৃণমূলের নাট্যকর্মী ও সাংসদ অর্পিতা ঘোষ। মুর্শিদাবাদে আছেন বামফ্রন্টের সিপিএম সাংসদ বদরুদ্দোজা খান। পাঁচ আসনের তিনটিতে কংগ্রেস, একটি তৃণমূল এবং একটিতে বাম দল সিপিএম ক্ষমতায় রয়েছে।

মালদহ দক্ষিণে ভারতের প্রয়াত রেলমন্ত্রী ও কংগ্রেস নেতা এ বি এ গণি খান চৌধুরীর ছোট ভাই আবু হাসেম খান চৌধুরীর সঙ্গে আছেন তৃণমূলের স্থানীয় চিকিৎসক মোয়াজ্জেম হোসেন এবং বিজেপির শ্রীরূপা মিত্র চৌধুরী। মালদা উত্তরে বেনজির মৌসমের প্রতিদ্বন্দ্বী হলেন কংগ্রেসের ঈশা খান চৌধুরী, বামফ্রন্টের বিশ্বনাথ ঘোষ এবং বিজেপির খগেন মুর্মু। জঙ্গিপুরে অভিজিৎ মুখার্জির বিরুদ্ধে লড়ছেন তৃণমূলের খলিলুর রহমান, বামফ্রন্টের জুলফিকার আলী এবং বিজেপির মাহফুজা খাতুন। মুর্শিদাবাদ আসনে বদরুদ্দোজা খানের সঙ্গে ভোটযুদ্ধে আছেন তৃণমূলের আবু তাহের, কংগ্রেসের আবু হেনা এবং বিজেপির হুমায়ুন কবির। আর বালুরঘাট আসনে অর্পিতা ঘোষের প্রতিদ্বন্দ্বীরা হলেন কংগ্রেসের আবদুল সাদেক সরকার, বামফ্রন্টের রণেন বর্মণ এবং বিজেপির সুকান্ত মজুমদার।

এবারের পশ্চিমবঙ্গের এই পাঁচ আসনের নির্বাচনে নিরাপত্তা আরও জোরদার করা হয়েছে। দ্বিতীয় দফার নির্বাচনে রায়গঞ্জে সংঘর্ষের পর এবার পাঁচ আসনেই নিরাপত্তা জোরদার করেছে নির্বাচন কমিশন। সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে, ৯৩ শতাংশ বুথেই কেন্দ্রীয় বাহিনী নিয়োগ করা হবে। মোট নিয়োগ হচ্ছে ৩২৪ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী। আরও থাকছে সশস্ত্র পুলিশ এবং বুথের বাইরে লাঠিধারী পুলিশ।