Thank you for trying Sticky AMP!!

লাইট-ফ্যান চালিয়েই বিদ্যুৎ বিল ১২৮ কোটি!

উত্তর প্রদেশের শামিমের বিদ্যুৎ বিল এসেছে ১২৮ কোটি রুপির বেশি।

কোনো রকমে চলে সংসার। ঘরে বিদ্যুতের সংযোগের বিল প্রতি মাসে ৮০০। অথচ ওই পরিবারেই বিদ্যুতের বিল এসেছে ১২৮ কোটি ৪৫ লাখ ৯৫ হাজার ৪৪৪ রুপি। বিল দিতে না পারায় কেটে দেওয়া হয়েছে সংযোগ।

‘হিন্দুস্তান টাইমস’-এর খবরে বলা হয়েছে, দিল্লি থেকে ৮০ কিলোমিটার দূরে উত্তর প্রদেশের হাপুরের চামরি গ্রামে বাড়ি শামিমের। প্রায় ৭৫ বছর বয়স্ক শামিমের বাড়িতে শুধু লাইট ও ফ্যান ছাড়া আর কিছুই নেই। বিদ্যুৎ ব্যয়ের আর কোনো উপকরণ নেই। প্রতি মাসে বিল আসে ৭০০ কিংবা ৮০০ রুপি। কিন্তু চলতি মাসের বিল দেখে তো তিনি হতবাক। বিল এসেছে ১২৮ কোটি ৪৫ লাখ ৯৫ হাজার ৪৪৪ রুপি। লাইট ও ফ্যান চালানোয় এত বিল কীভাবে হলো, এর উত্তর খুঁজে পাচ্ছেন না শামিম ও তাঁর স্ত্রী৷ এত বিল দেওয়ার ক্ষমতা নেই ওই দম্পতির। এদিকে বিল না দেওয়ায় শামিমের বাড়ির বিদ্যুৎ সংযোগ কেটে দিয়েছে স্থানীয় বিদ্যুৎ বিভাগ।

এ বিষয়ে বিদ্যুৎ দপ্তরে যোগাযোগ করেছেন শামিম ও তাঁর স্ত্রী। শামিম বলেন, ‘বিদ্যুতের লোকজন কেউ আমার কথা শোনেননি। আমরা বিদ্যুৎ বিভাগে যোগাযোগ করেছি। তারা বলেছে বিল পরিশোধ না করলে সংযোগ মিলবে না। তারা আমাকে যে বিল দিয়েছে, তা আমার পুরা এলাকার বিল। আমি এ বিল কীভাবে পরিশোধ করব।’

এ ব্যাপারে বিদ্যুৎ বিভাগের প্রকৌশলী রাম শরণ বলেন, ‘যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে এমন বিল এসেছে। পুরোনো একটি বিল নিয়ে এলে শামিমের বিলের অঙ্ক ঠিক করে দেওয়া হবে৷’

এটা প্রথমবার নয়, এর আগেও অনেকবার ভুল অঙ্কের বিল পাঠানোর অভিযোগ আছে বিদ্যুৎ বিভাগের বিরুদ্ধে গত জানুয়ারি মাসে একই পরিস্থিতির মুখোমুখি হয়েছিলেন কনৌজের বাসিন্দা আবদুল বাসিত। ২৩ কোটি রুপির বিল পাঠানো হয়েছিল তাঁকে। বিপুল অঙ্কের বিদ্যুতের বিল হাতে পেয়ে আত্মহত্যার ঘটনাও ভারতে ঘটেছে। এর আগে মহারাষ্ট্রের ঔরঙ্গাবাদে সবজি বিক্রেতার কাছে ৮ লাখ ৬৪ হাজার রুপির বিদ্যুতের বিল এসেছিল। এরপরই আত্মহত্যা করেছিলেন ওই সবজি বিক্রেতা। এরপর বিদ্যুৎ বিভাগের হিসাব সহকারীকে বরখাস্ত করা হয়েছিল।