Thank you for trying Sticky AMP!!

লাদাখের বিভিন্ন স্থান থেকেও পিছাচ্ছে ভারত-চীন

শুধু গলওয়ান উপত্যকাই নয়, চীন ও ভারত মুখোমুখি অবস্থান থেকে পিছিয়ে আসার সিদ্ধান্ত নিয়েছে লাদাখের অন্যত্রও। দুই দিনের মধ্যে সেই প্রক্রিয়া শেষ হবে। ভারতের সরকারি ও সামরিক সূত্রে পাওয়া এই খবর বিভিন্ন সংবাদ সংস্থা আজ মঙ্গলবার প্রচার করেছে। দুই দেশের মধ্যে উচ্চপর্যায়ের আলোচনার পর গতকাল সোমবার থেকে উত্তেজনা প্রশমনের এই প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে।

গলওয়ান উপত্যকা থেকে সোমবার চীন প্রায় দুই কিলোমিটার পিছিয়ে যায়। ভারতও পিছিয়ে এসে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখায় একটা ‘বাফার জোন’ তৈরিতে সহায়তা করে। গত ১৫ জুন যেখানে দুই দেশের সেনাবাহিনীর মধ্যে সংঘর্ষ বেধেছিল, সেই ১৪ নম্বর প্যাট্রলিং পয়েন্ট (পিপি) থেকে চীনা সৈন্যদের অবকাঠামো ভেঙে চলে যেতে দেখা গেছে। সেনা সূত্র এই খবর দিয়ে জানিয়েছে, আজ সকালে পিপি ১৪ থেকে প্রায় ৪০ কিলোমিটার দূরে গোগরা ও হট স্প্রিংয়েও চীনা ফৌজ প্রায় দুই কিলোমিটার পিছিয়ে যায়। লাল ফৌজের সাঁজোয়া গাড়িবহরকেও চলে যেতে দেখা গেছে। দুই দেশের সমঝোতা অনুযায়ী ভারতীয় বাহিনীও পিপি ১৪ সহ বিতর্কিত এলাকায় টহলদারি থেকে বিরত থাকছে।

তবে সমঝোতা সত্ত্বেও প্যাংগং লেক থেকে চীন এখনো সরেনি। সরকারি সূত্র মনে করছে, জুলাইয়ের মাঝামাঝি চীন সব কটা জায়গা থেকেই সরে যাবে। তারপর দুই দেশের উচ্চপর্যায়ের কর্তারা আরও একবার পরিস্থিতি পর্যালোচনা করবেন।

সেনা সরানোর মধ্য দিয়ে উত্তেজনা প্রশমিত হলেও ভারত প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখা বরাবর তার উপস্থিতি শিথিল করতে রাজি নয়। এক সরকারি সূত্র এই বিষয়ে আজ প্রথম আলোকে জানায়, কারগিলে টহলদারিতে ঢিলেমি দিয়ে যে ভুল করা হয়েছিল, লাদাখে তা হবে না। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি লাদাখ সফরে সেনাকর্তাদের বিষয়টি স্পষ্ট করে জানিয়েছেন। বাহিনীকে বলা হয়েছে, কোথাও কোনো ঢিলেমি নয়। কাউকে বিশ্বাসের প্রশ্নই ওঠে না।

এই কারণেই সুখোই-৩০ ও মিগ-২৯ যুদ্ধবিমানের পাশাপাশি লাদাখে মার্কিন যুদ্ধ চপার অ্যাপাচে-৬৪ মোতায়েন করা হচ্ছে। অত্যাধুনিক এই যুদ্ধ চপার একসঙ্গে ১২টি লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানতে পারে। পূর্বতন মনমোহন সিং সরকার ২০১০ সালে মোট ২২টি অ্যাপাচে-৬৪ কেনার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল। গত বছর চলে আসে ১৭টি। শেষ ৫টি ইতিমধ্যেই পৌঁছে গেছে পাঞ্জাবের পাঠানকোট বায়ুসেনা ঘাঁটিতে।

ভারতের মানুষের মধ্যে চীনা বিরোধিতা দিন দিন বাড়ছে। চীনা পণ্য বয়কট করার তীব্রতাও বেড়ে চলেছে। পাঞ্জাবের অন্যতম বৃহত্তম সাইকেল প্রস্তুতকারী সংস্থা ‘হিরো সাইকেলস’ এই অবস্থায় চীনের সঙ্গে ৯০০ কোটি রুপির চুক্তি বাতিল করে দিয়েছে। সংস্থার চেয়ারম্যান পঙ্কজ মুঞ্জল এই সিদ্ধান্তের কথা জানিয়ে বলেছেন, তাঁরা জার্মানির সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ হওয়ার কথা ভাবছেন।

চীনের ওপর ক্ষুব্ধ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রও। ভারত সরকার ৫৯টি চীনা অ্যাপ নিষিদ্ধ করার কয়েক দিনের মাথায় যুক্তরাষ্ট্রও বেশ কয়েকটি চীনা সামাজিক অ্যাপ নিষিদ্ধ করতে চলেছে। যুক্তরাষ্ট্রের ‘ফক্স নিউজ’ চ্যানেলকে এই কথা জানিয়েছেন সে দেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পেও।