Thank you for trying Sticky AMP!!

শনিবার থেকে পশ্চিমবঙ্গে করোনার টিকা দেওয়া শুরু

ছবি: এএফপি

আগামী শনিবার থেকে গোটা ভারতের সঙ্গে পশ্চিমবঙ্গেও শুরু হচ্ছে প্রথম দফায় সামনের সারির করোনাযোদ্ধাদের টিকা দেওয়ার কর্মসূচি। ইতিমধ্যে ভারত সরকার অনুমোদিত অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার তৈরি কোভিশিল্ড এবং ভারত বায়োটেকের তৈরি কোভ্যাকসিন টিকা প্রয়োগের অনুমতি দিয়েছে। তবে পশ্চিমবঙ্গে দেওয়া হচ্ছে কোভিশিল্ড। প্রথম দফার সেই টিকাও ইতিমধ্যে এসে গেছে এই রাজ্যে।

এদিকে এই টিকাকরণে যাঁরা অংশ নিতে চান, ইতিমধ্যে তাঁদের নামও অন্তর্ভুক্ত হয়েছে বিভিন্ন জেলার টিকা কেন্দ্রে।

প্রথম দফার টিকার কর্মসূচিতে সামনের সারির অনেক চিকিৎসক ও নার্স অনীহা প্রকাশ করে তাঁদের নাম অন্তর্ভুক্ত করেননি। তাঁদের ভয়, তাঁরা এখনো বুঝতে পারছেন না এই টিকা কতটা নিরাপদ বা এর পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হতে পারে কি না।  

গতকাল বুধবার পর্যন্ত দেখা গেছে, এই রাজ্যে কিছু চিকিৎসক এখনো টিকার জন্য আবেদন করেননি। যদিও স্বাস্থ্য দপ্তর ‘কো-উইন ২০’ ডিজিটাল অ্যাপের মাধ্যমে নাম নথিভুক্তের আবেদন জানালেও এই রাজ্যের ছয়টি এলাকা থেকে টিকা নিতে কোনো ডিজিটাল আবেদন জমা পড়েনি। এই ছয়টি এলাকা হলো উত্তর দিনাজপুর, দক্ষিণ দিনাজপুর, কালিম্পং বীরভূম, বসিরহাট ও ডায়মন্ড হারবার। এখানকার চিকিৎসকেরা কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের অধীনে কর্মরত।

রাজ্যের স্বাস্থ্য অধিকর্তা অজয় চক্রবর্তী গতকাল বুধবার বলেছেন, কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে যুক্ত চিকিৎসকেরা টিকা না নিলে তাঁর দায়িত্ব নেবে না রাজ্য সরকার। তিনি এ কথাও বলেছেন, কিছুসংখ্যক বেসরকারি হাসপাতালের চিকিৎসকেরাও টিকা নেওয়ার আবেদন করেননি।

তবে কলকাতা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ডেপুটি সুপার (নন মেডিকেল) অমিত হাজরা বলেছেন, শনিবার প্রথম দিনে এখানে ৬০০ জন টিকা নেবেন। তিনি এ কথাও বলেছেন, সরকারি ও বেসরকারি চিকিৎসক, নার্স ও স্বাস্থ্যকর্মী, পুলিশ ও পৌরকর্মী মিলিয়ে সবচেয়ে বেশি আবেদন এসেছে কলকাতা জেলা থেকে। আবেদনকারীর সংখ্যা ৮৯ হাজার ৫৩ জন। আর সবচেয়ে কম আবেদন এসেছে কালিম্পং জেলা থেকে।

আবেদনকারীর সংখ্যা ২ হাজার ৭৫৩ জন। যদিও রাজ্য স্বাস্থ্য ভবনের শেষ হিসাব অনুযায়ী এ রাজ্যে ফ্রন্টলাইনের তালিকায় বরাদ্দ রয়েছে ৬ লাখ ৪৪ হাজার ৫০০ ডোজ। তবে তার থেকে প্রথম দফায় আবেদন কম পড়েছে ৪৪ হাজার ৬৭৬টি ডোজের।