Thank you for trying Sticky AMP!!

সংক্রমণ কমছে পশ্চিমবঙ্গে, ১৬ নভেম্বরে খুলছে স্কুল, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়

করোনাভাইরাস

পূজার সময় ভারতের পশ্চিমবঙ্গে করোনায় শনাক্ত ও মৃত্যুহার কম ছিল। কিন্তু পূজা শেষ হওয়ার তিন-চার দিন পর হঠাৎ সংক্রমণ ও মৃত্যু কিছুটা বেড়ে যায়। এখন অবশ্য সেটা নিম্নমুখী। ২৪ ঘণ্টায় আগের দিনের তুলনায় শনাক্ত ১৮৪ জন কমেছে। এ সময় ১৭ জেলায় করোনায় কারও মৃত্যু হয়নি।

গতকাল সোমবার সন্ধ্যা ৬টায় শেষ হওয়া সবশেষ ২৪ ঘণ্টার হিসাব দিয়ে রাজ্য স্বাস্থ্য দপ্তরের করোনা বুলেটিনে বলা হয়েছে, এই রাজ্যে নতুন করে ৮০৫ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। মারা গেছেন ১১ জন। এখন পর্যন্ত রাজ্যে করোনা শনাক্ত হয়েছে ১৫ লাখ ৮৭ হাজার ২৬০ জনের। করোনায় মোট মৃত্যুর সংখ্যা ১৯ হাজার ৬৬।

গতদিন পরীক্ষার বিপরীতে শনাক্তের হার ছিল ২.৭৭। কলকাতায় ২২৯ জনের করোনা শনাক্ত হয়। মারা যান তিনজন। কলকাতা ছাড়া উত্তর চব্বিশ পরগনায় তিন, নদীয়ায় দুই এবং বাঁকুড়া, পশ্চিম বর্ধমান ও দক্ষিণ চব্বিশ পরগনায় একজন করে মারা গেছেন। এদিন রাজ্যের ২৩ জেলার মধ্যে ১৭টি জেলা ছিল মৃত্যুহীন।

করোনার সংক্রমণ ঠেকাতে রাজ্য দপ্তর নতুন করে রাজ্যের ১৯৯টি এলাকাকে দূষিত জোন হিসেবে ঘোষণা করেছে। এসব এলাকায় করোনা প্রতিরোধে প্রয়োজনীয় পর্যাপ্ত ব্যবস্থা নিয়েছে রাজ্য স্বাস্থ্য দপ্তর।

এদিকে শিলিগুড়িতে রাজ্যের প্রশাসনিক বৈঠকে যোগ দিয়ে গতকাল সোমবার পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ঘোষণা দিয়েছেন, আগামী ১৬ নভেম্বর থেকে রাজ্যের সব স্কুল, কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয় খুলে দেওয়া হবে। করোনার কারণে গত বছরের ১৬ মার্চ থেকে রাজ্যের সব স্কুল–কলেজ বন্ধ।

সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে সোমবারই রাজ্যের মুখ্য সচিব হরে কৃষ্ণ দ্বিবেদীকে নির্দেশ দেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা। দীর্ঘ ২০ মাস ধরে বন্ধ বন্ধ থাকায় যথাযথ স্বাস্থ্যবিধি মানাসহ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখারও ব্যবস্থা নিতে বলেন তিনি।

ইতিমধ্যে রাজ্যের সবচেয়ে বড় উৎসব শারদীয় দুর্গাপূজা শেষ হয়েছে। লক্ষ্মীপূজাও হয়ে গেছে। সামনে রয়েছে কালীপূজা, ছটপূজা, ভাইফোঁটা ও জগদ্ধাত্রী পূজা। পূজা শেষ হওয়ার পর সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়ার কথা আগেই জানিয়েছিল রাজ্য সরকার।