Thank you for trying Sticky AMP!!

সিএএ-এনআরসি বাতিল না হওয়া পর্যন্ত তৃণমূলের আন্দোলন চলবে

বেহালায় আয়োজিত প্রতিবাদ মিছিল ও সমাবেশে নেতৃত্ব দেন তৃণমূল কংগ্রেসের মহাসচিব ও শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়। ছবি: ভাস্কর মুখার্জি

সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন (সিএএ), জাতীয় নাগরিক নিবন্ধন (এনআরসি) ও জাতীয় জনসংখ্যা নিবন্ধন (এনপিআর) বাতিলের দাবিতে তৃণমূল কংগ্রেসের ডাকে পশ্চিমবঙ্গের ২৯৪টি বিধানসভা কেন্দ্রে প্রতিবাদ সমাবেশ ও মিছিল হয়েছে। এ সময় প্রতিটি সমাবেশ থেকে সিএএ, এনআরসি ও এনপিআর বাতিলের দাবি জানানো হয়।

আজ শনিবার অনুষ্ঠিত এসব সমাবেশে বক্তারা বলেন, এসব আইন বাতিল না করা হলে তৃণমূল চরম আন্দোলন গড়ে তুলবে। জীবন দিয়ে হলেও এই আইন বাতিল করা হবে। ভারত যেমন ধর্মনিরপেক্ষ রাষ্ট্র, বাংলাও তেমনি ধর্মনিরপেক্ষ রাজ্য। যুগ যুগ ধরে এই রাজ্যে ধর্মনিরপেক্ষতা লালিত হয়েছে। বাংলার মানুষ ধর্ম নিয়ে রাজনীতি চায় না। তাই যত দিন আইন বাতিল না হবে, তত দিন তৃণমূল আন্দোলন চালিয়ে যাবে।

কলকাতার বেহালায় আয়োজিত প্রতিবাদ মিছিল ও সমাবেশে নেতৃত্ব দেন তৃণমূলের মহাসচিব ও শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়। দমদমে নেতৃত্ব দেন মন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য, খিদিরপুরে মন্ত্রী ও কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিম, রাসবিহারীতে মন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়, চুঁচুড়ায় বিধায়ক অসিত মজুমদার, হাওড়ায় মন্ত্রী অরূপ রায়, জোড়াসাঁকোতে বিধায়ক স্মিতা বকসী, লেক টাউনে মন্ত্রী সুজিত বসু, দার্জিলিংয়ে জনমুক্তি মোর্চা নেতা বিনয় তামাং প্রমুখ।

তৃণমূলের আন্দোলনের পরিপ্রেক্ষিতে বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ বলেছেন, তৃণমূলের মদদে রাজ্যজুড়ে অরাজকতা সৃষ্টি হয়েছে। আন্দোলনের নামে সরকারি সম্পত্তি নষ্ট করা হচ্ছে। বাংলাদেশ, পাকিস্তান ও আফগানিস্তান থেকে যেসব সংখ্যালঘু নির্যাতনের শিকার হয়ে এ দেশে এসেছেন, তাঁদের নাগরিকত্ব দেওয়ার জন্যই এই আইন পাস করা হয়েছে। এই আইনের কারণে কোনো ভারতীয় নাগরিকের নাগরিকত্ব যাবে না। তাঁরা ভারতীয়ই থাকবেন।

এদিকে সিএএ ও এনআরসি নিয়ে আন্দোলনে কর্ণাটকে নিহত দুই আন্দোলনকারীর পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানাতে তৃণমূল কংগ্রেসের নেতা ও সাবেক রেলমন্ত্রী দীনেশ ত্রিবেদীর নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধিদল আজ বেঙ্গালুরুতে যায়। পরে নিহত দুই আন্দোলনকারীর পরিবারের হাতে ৫ লাখ রুপি করে মোট ১০ লাখ রুপি তুলে দেয় তারা। ১৯ ডিসেম্বর আন্দোলন করতে গিয়ে ওই দুই আন্দোলনকারী নিহত হন।

অন্যদিকে, কংগ্রেসের রাজ্য সভাপতি সোমেন মিত্র বলেছেন, ‘আমরাও সিএএ, এনআরসি ও এনপিআরের বিরুদ্ধে আন্দোলন করছি। বাতিলের দাবি তুলেছি। তবে আমরা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মতো নই। ওরা দিনে রাস্তায় নেমে আন্দোলন করছে আর রাতে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করে কলকাতার পুলিশ কমিশনারকে ছাড়িয়ে আনছে।’