Thank you for trying Sticky AMP!!

হত্যার উদ্দেশ্য নিয়েই গিয়েছিল সেনাবাহিনী : নাগাল্যান্ড পুলিশের এফআইআর

মিয়ানমার সীমান্ত থেকে ভারতের নাগাল্যান্ড দেখা যায়

ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের নাগাল্যান্ড রাজ্যে সেনাবাহিনীর ২১ প্যারা স্পেশাল ফোর্সের বিরুদ্ধে এফআইআর করেছে সেখানকার পুলিশ। এফআইআরে রাজ্য পুলিশ অভিযোগ তুলে বলেছে, এলাকাবাসীকে হতাহত করার উদ্দেশ্যেই দলটি সেখানে গিয়েছিল। খবর এনডিটিভির।

এনডিটিভির খবরে বলা হয়েছে, পুলিশ বলছে, সেনাবাহিনীর সদস্যরা সন্ত্রাসবিরোধী অভিযানে যাওয়ার আগে পুলিশকে বিষয়টি জানাননি কিংবা তাঁরা পুলিশকে সঙ্গে নিয়ে যাননি।

রাজ্য পুলিশের এফআইআরের বরাত দিয়ে এনডিটিভির খবরে আরও জানানো হয়, এফআইআরের কপিতে বলা হয়েছে, নিরাপত্তা বাহিনী অভিযানে যাওয়ার সময় পুলিশের কোনো সহায়তার জন্য থানায় কিছু জানায়নি। এতে এটা স্পষ্ট যে নিরাপত্তা বাহিনীর উদ্দেশ্য ছিল সাধারণ এলাকাবাসীকে হতাহত করা।

ওই এএফআইআরে আরও উল্লেখ করা হয়, স্থানীয় সময় বেলা সাড়ে তিনটার দিকে কয়লাখনির শ্রমিকেরা কাজ শেষে একটি গাড়িতে করে তিরু থেকে অটিং গ্রামে ফিরছিলেন। তিরু ও অটিং গ্রামের মধ্যবর্তী লংখাও এলাকায় পৌঁছানোর পর সেনাবাহিনী কোনো উসকানি ছাড়াই তাঁদের ওপর নির্বিচার গুলি ছোড়ে। এতে অনেকে হতাহত হন।

নাগাল্যান্ড পুলিশ তাদের প্রাথমিক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, গুলির শব্দ শুনে গ্রামবাসী ঘটনাস্থলে যান। সেখানে তাঁরা সেনাবাহিনীর সদস্যদের লাশগুলো অন্য আরেকটি ট্রাকে তুলে নিয়ে যেতে দেখেন। বিভিন্ন সূত্র বলছে, একটি ত্রিপলের নিচে লাশগুলো খুঁজে পাওয়া যায়। এতে গ্রামবাসী ক্ষুব্ধ হন। পরে সহিংসতা শুরু হয়।

নাগাল্যান্ডের রাজধানী কোহিমা থেকে ৩৫০ কিলোমিটার উত্তরে অরুণাচল প্রদেশ এবং মিয়ানমারের সীমান্তবর্তী মোন জেলায় সেনাবাহিনীর ২১ প্যারা স্পেশাল ফোর্সের নির্বিচার গুলিতে রাজ্যের স্থানীয় জাতিগোষ্ঠীর অন্তত ১৪ জন ও নিরাপত্তা বাহিনীর ১ সদস্য নিহত হয়েছেন। বাহিনীর দাবি, তাদের গুলিতে ভুলক্রমে এ প্রাণহানির ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনার পর নাগাল্যান্ডে ব্যাপক উত্তেজনা বিরাজ করছে।

এই ঘটনার জেরে বাহিনীর অন্তত তিনটি গাড়ি জ্বালিয়ে দিয়েছেন স্থানীয় লোকজন। সেখানকার কয়েকজন বাসিন্দা প্রথম আলোকে জানিয়েছেন, সাধারণ মানুষের প্রাণহানির পর ওই এলাকায় ব্যাপক উত্তেজনা বিরাজ করছে। ঘটনার পরপর সেখানে নিরাপত্তা বাহিনীর টহল জোরদার করেছে প্রশাসন। ঘটনার গুজব ছড়ানো এড়াতে মোন জেলায় মোবাইল ইন্টারনেট ও এসএমএস সেবা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।

নাগাল্যান্ডে বিদ্রোহী গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে পাল্টা অভিযানের সময় প্রায়ই নিরীহ গ্রামবাসী সেনাসদস্যদের লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত হন বলে অভিযোগ স্থানীয় লোকজনের। সেনাসদস্যরা তেমন একটি অভিযানের সময় নাগাল্যান্ডের মন জেলায় মিয়ানমার সীমান্ত লাগোয়া গ্রাম অটিংয়ে হতাহতের এ ঘটনা ঘটে। এক ঊর্ধ্বতন পুলিশ কর্মকর্তা এ কথা জানিয়েছেন। সূত্র বলেছে, ওই ট্রাকে কোনো অস্ত্র বা গোলাবারুদ ছিল না।