Thank you for trying Sticky AMP!!

বৈঠকে বসছেন মোদি-পুতিন

রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন ও ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি

উজবেকিস্তানে চলমান এসসিও আঞ্চলিক সম্মেলনের ফাঁকে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন বৈঠকে অংশ নেবেন। আজ শুক্রবার ওই দ্বিপক্ষীয় বৈঠকে বাণিজ্য ও ভূরাজনীতি নিয়ে আলোচনা হবে। তবে এ সম্মেলনের ফাঁকে চীনের প্রেসিডেন্ট সি চিন পিংয়ের সঙ্গে মোদির কোনো বৈঠক হবে কি না, তা জানা যায়নি। খবর এনডিটিভির।

৮ দেশীয় জোট সাংহাই কো-অপারেশন অর্গানাইজেশনের (এসসিও) সম্মেলনে যোগ দিতে গতকাল বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় সমরখন্দে পৌঁছান মোদি। রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন, চীনের প্রেসিডেন্ট সি চিন পিং এবং অন্য সদস্যদেশের নেতাদের সঙ্গে দলবদ্ধ ছবি তোলার মধ্য দিয়ে আজ আনুষ্ঠানিকভাবে তিনি সম্মেলনে যোগ দেন।

২০২০ সালে লাদাখ সীমান্তে ভারত ও চীনের সেনাদের মধ্যে সংঘর্ষের পর এই প্রথম মোদি ও সি চিন পিং মুখোমুখি হয়েছেন। পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরিফ ও মধ্য এশীয় কয়েকটি দেশের নেতারাও সম্মেলনে যোগ দিয়েছেন।

আজ সম্মেলনের পর নরেন্দ্র মোদি রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বৈঠক করবেন। ক্রেমলিনের পক্ষ থেকে বলা হয়, কৌশলগত স্থিতিশীলতা, এশিয়া প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের পরিস্থিতি এবং জি-২০ ও জাতিসংঘের মধ্যে দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতা নিয়ে দুই নেতা কথা বলবেন।

উজবেকিস্তানের প্রেসিডেন্ট শাভকাত মিরজিয়োয়েভ এবং ইরানের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসির সঙ্গেও বৈঠক করবেন মোদি।

এসসিও সম্মেলনের ফাঁকে চীনের প্রেসিডেন্ট সি চিন পিংয়ের সঙ্গে মোদির কোনো বৈঠক হবে কি না, তা নিয়ে ভারতীয় পররাষ্ট্রসচিব বিনয় কোয়াত্রার কাছে জানতে চেয়েছিল এনডিটিভি। তিনি বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রীর দ্বিপক্ষীয় বৈঠকের সময়সূচি প্রকাশিত হলে আপনারা সবকিছু জানতে পারবেন।’

করোনা মহামারির কারণে দুই বছর পর এবার প্রথম সম্মেলনটি সশরীর অনুষ্ঠিত হচ্ছে। এসসিও সম্মেলনে দুটি অধিবেশন থাকবে। একটি অধিবেশনে শুধুই সদস্যদেশগুলো অংশ নেবে। আর আরেকটি অধিবেশনে পর্যবেক্ষক ও সভাপতি দেশের আমন্ত্রিত বিশেষ অতিথিরা উপস্থিত থাকতে পারবেন।

২০০১ সালে এসসিও গঠিত হয়। সংগঠনটির আট পূর্ণাঙ্গ সদস্যদেশের মধ্যে ছয়টি দেশ এর প্রতিষ্ঠাতা সদস্য। এগুলো হলো চীন, কাজাখস্তান, কিরগিজস্তান, রাশিয়া, তাজিকিস্তান ও উজবেকিস্তান। ২০১৭ সালে ভারত ও পাকিস্তান পূর্ণাঙ্গ সদস্যদেশ হিসেবে সংস্থায় যোগ দেয়।