Thank you for trying Sticky AMP!!

জাকির নায়েক নিয়ে কাতারের সাফাই

জাকির নায়েক

পলাতক ধর্মপ্রচারক জাকির নায়েককে বিশ্বকাপ দেখতে আমন্ত্রণ জানায়নি কাতার। বিশ্বকাপের আয়োজক দেশ এ তথ্য ভারতকে আগেই জানিয়ে দিয়েছে। কূটনৈতিক মাধ্যমে ভারতকে তারা জানিয়েছে, জাকির নায়েক কাতারে গিয়ে থাকলে তা তিনি করেছেন নিজের উদ্যোগেই। সরকারিভাবে তাঁকে আমন্ত্রণ জানানো হয়নি।

জাকির নায়েককে কাতার আমন্ত্রণ জানিয়েছে এবং বিশ্বকাপ চলাকালে সে দেশের বেশ কয়েকটি স্থানে তিনি ধর্মসংক্রান্ত ভাষণ দেবেন—এমন খবর কাতারের সংবাদমাধ্যম আল আরবিয়া নিউজ জানিয়েছিল। তাদের খবরের সূত্র ছিল রাষ্ট্রনিয়ন্ত্রিত স্পোর্টস চ্যানেল আলকাস। সেই খবর জানাজানি হওয়ায় ভারত আনুষ্ঠানিকভাবে কাতারের কাছে তার সত্যাসত্য জানতে চেয়েছিল। কাতারকে এ কথাও ভারত জানিয়েছিল, ওই পলাতক অপরাধীকে সরকারিভাবে আমন্ত্রণ জানানো হলে ভারত বিশ্বকাপের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে কোনো প্রতিনিধি পাঠাবে না।

সরকারি সূত্রের খবর, কাতার তার পরেই কূটনৈতিক মাধ্যমে নায়েককে আমন্ত্রণ না জানানোর কথা ভারতকে জানায়। উদ্বোধনী আসরে ভারতের প্রতিনিধিত্ব করেছিলেন উপরাষ্ট্রপতি জগদীপ ধনকড়। ২০ নভেম্বর উদ্বোধন অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে পরের দিন উপরাষ্ট্রপতি দেশে ফিরে আসেন। সরকারি সূত্রের খবর, জাকির নায়েককে সেদিন মাননীয় অতিথিদের জন্য নির্ধারিত জায়গায় দেখা যায়নি। স্টেডিয়ামের অন্যত্রও তাঁর উপস্থিতির কথা কেউ জানে না।

কাতারে জাকির নায়েকের যাওয়ার খবরটি প্রকাশ্যে আসে গোয়ার বিজেপি নেতা ও মুখপাত্র স্যাভিও রডরিগেসের দাবি জানাজানি হওয়ায়। গত মঙ্গলবার তিনি কেন্দ্রীয় সরকার, ভারতের ফুটবল ফেডারেশন এবং সাধারণ ফুটবলপ্রিয় মানুষের উদ্দেশে এক বার্তায় বলেন, কাতার জাকির নায়েককে বিশ্বকাপ ফুটবল দেখতে আমন্ত্রণ জানিয়েছে। এ কারণে ভারতের উচিত এই বিশ্বকাপ বয়কট করা। তিনি বলেন, গোটা পৃথিবী যখন সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে লড়াই করছে, জাকির নায়েক তখন ঘৃণা ছড়াতে ব্যস্ত। ভারতের চোখে তিনি অপরাধী।

বিজেপি নেতার দাবির পরই কাতারের রাজধানী দোহা থেকে সংবাদ সংস্থা জানায়, জাকিরের উপস্থিতি নিয়ে কাতার তার অভিমত আগেই ভারতকে জানিয়েছে। ভারতকে কাতার এ কথাও বলেছে, জাকির নায়েককে আমন্ত্রণ জানানোর মতো ভুল খবর তৃতীয় কোনো মহল থেকে ইচ্ছাকৃতভাবে ছড়ানো হচ্ছে, যাতে কাতার-ভারত সুসম্পর্ক নষ্ট হয়।

Also Read: জাকির নায়েককে আমন্ত্রণ জানানোয় বিশ্বকাপ বয়কট করার আরজি বিজেপি নেতার

জাকির নায়েক দেশত্যাগী হন ২০১৬ সালে। সেই বছরেই তাঁর বিরুদ্ধে অর্থ পাচারসহ বিভিন্ন দেশবিরোধী কাজ ও ধর্মের নামে ঘৃণা ছড়ানোর গুরুতর অভিযোগ আনা হয়। জাকির তখন থেকেই দেশত্যাগী। সেই থেকে তিনি প্রধানত মালয়েশিয়ায় থাকেন।

তাঁকে দেশে ফেরত পাঠানোর জন্য মালয়েশিয়ার কাছে ভারত আনুষ্ঠানিকভাবে অনুরোধও জানিয়েছে। ভারতের অভিযোগ, অর্থ পাচার ছাড়াও ২০২০ সালের দিল্লি দাঙ্গায় তাঁর উসকানি ছিল। ইন্টারপোল যাতে তাঁর বিরুদ্ধে ‘রেড কর্নার নোটিশ’ জারি করে, সে জন্যও ভারত উদ্যোগী। গত মার্চ মাসে জাকির নায়েকের প্রতিষ্ঠা করা সংগঠন ‘ইসলামিক রিসার্চ ফাউন্ডেশন’কে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় পাঁচ বছরের জন্য নিষিদ্ধ ঘোষণা করে। ঘৃণাভাষণের জন্য যুক্তরাজ্য ও কানাডা তাঁকে নিষিদ্ধ করেছে।