Thank you for trying Sticky AMP!!

ইরানের প্রেসিডেন্ট হিসেবে ইব্রাহিম রাইসির অভিষেক

ইরানের নতুন প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসি।

ইরানের প্রেসিডেন্ট হিসেবে ইব্রাহিম রাইসির অভিষেক হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার এ অভিষেক হয়। বার্তা সংস্থা এএফপির প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।

প্রেসিডেন্ট হিসেবে রাইসির অভিষেক নিয়ে ইরানের সর্বোচ্চ ধর্মীয় নেতা আয়াতুল্লা আলী খামেনি একটি ডিক্রি জারি করেছেন। ডিক্রিতে বলা হয়, জনগণের পছন্দের ভিত্তিতে জ্ঞানী, অদম্য, অভিজ্ঞ ও জনপ্রিয় ইব্রাহিম রাইসিকে ইরানের প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব দিয়েছেন তিনি।

অভিষেকের মধ্য দিয়ে মধ্যপন্থী হাসান রুহানির স্থলাভিষিক্ত হলেন অতিরক্ষণশীল রাইসি।

২০১৫ সালে ছয় বিশ্বশক্তির সঙ্গে ইরানের সম্পাদিত ঐতিহাসিক পরমাণু চুক্তি রুহানির সবচেয়ে বড় অর্জন। এখন এই চুক্তি পুনরুজ্জীবিত করার দায়িত্ব রাইসির কাঁধে। এ ছাড়া তাঁকে ইরানের গভীর অর্থনৈতিক সংকটও মোকাবিলা করতে হবে।

অভিষেকের ভাষণে রাইসি বলেন, তাঁর নেতৃত্বাধীন ইরানের নতুন সরকার যুক্তরাষ্ট্রের নিপীড়নমূলক নিষেধাজ্ঞার প্রত্যাহার চাইবে। তবে বিদেশিদের ইচ্ছায় ইরানিদের জীবনযাত্রায় কোনো বদল আনবে না তাঁর সরকার।

অভিষেকের পর কাল বৃহস্পতিবার পার্লামেন্টে শপথ নেবেন রাইসি।

রাইসি এমন এক সময় ইরানের প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব নিলেন, যখন মধ্যপ্রাচ্যে নতুন করে উত্তেজনা দেখা দিয়েছে।

গত বৃহস্পতিবার ওমান উপকূলে এমভি মার্সার স্ট্রিট নামে ইসরায়েল পরিচালিত একটি তেলের জাহাজে হামলা হয়। এ হামলায় জাহাজটির দুই নাবিকের মৃত্যু হয়। মারা যাওয়া নাবিকদের একজন যুক্তরাজ্যের, অপরজন রোমানিয়ার নাগরিক।

জাহাজে হামলার জন্য ইরানকে দায়ী করেছে ইসরায়েল, যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্য। জাহাজে হামলার জন্য ইরানকে উপযুক্ত জবাব দেওয়ারও হুমকি দিয়েছে দেশগুলো। তবে জাহাজে হামলায় সংশ্লিষ্টতার কথা অস্বীকার করেছে ইরান। তারা অভিযোগকে ভিত্তিহীন বলে অভিহিত করেছে।

ইসরায়েল পরিচালিত জাহাজে হামলার ঘটনার পর এখন আবার ওমান উপসাগরে পানামার পতাকাবাহী একটি ট্যাংকার ছিনতাইয়ের খবর এসেছে। ট্যাংকারটিকে ইরানের দিকে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে বলে জানায় নৌযানের অবস্থানসংক্রান্ত তথ্য সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান লয়েডস লিস্ট মেরিটাইম ইন্টেলিজেন্স।

গত জুনে ইরানে প্রেসিডেন্ট নির্বাচন হয়। সর্বোচ্চ ধর্মীয় নেতা আয়াতুল্লা আলী খামেনির সমর্থন নিয়ে এই নির্বাচনে জয়ী হন রাইসি। রাইসির জয়ের পথ সুগম করতে কয়েকজন শক্তিশালী প্রার্থীকে নির্বাচনে অযোগ্য ঘোষণা করা হয় বলে অভিযোগ ওঠে। ফলে নির্বাচন প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ হয়নি। নির্বাচনে ভোটও পড়ে কম।

রাইসি একজন সাবেক বিচারপতি। মানবাধিকার ইস্যুতে তাঁর অতীত নিয়ে পশ্চিমারা সমালোচনা করে আসছে। ইরানের শীর্ষস্থানীয় যে কয়েকজনের ওপর যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞা রয়েছে, তাঁদের মধ্যে রাইসি অন্যতম।