Thank you for trying Sticky AMP!!

ইয়েমেনে সৌদি জোটের হামলায় ২৬৪ হুতি বিদ্রোহী নিহত

ইয়েমেনে ২০১৪ সাল থেকে সরকার ও হুতি বিদ্রোহীদের মধ্যে লড়াই চলছে।

ইয়েমেনের কৌশলগত শহর মারিবের আশপাশে সৌদি নেতৃত্বাধীন সামরিক জোট–সমর্থিত সরকারি বাহিনীর সঙ্গে লড়াইয়ে গত তিন দিনে ২৬৪ হুতি বিদ্রোহী নিহত হয়েছে। স্থানীয় সময় গতকাল রোববার জোটের পক্ষ থেকে এ দাবি করা হয়। খবর কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল-জাজিরার।

ইয়েমেনের জ্বালানি তেলসমৃদ্ধ উত্তরাঞ্চলের বেশির ভাগ এলাকা এখন হুতি বিদ্রোহীদের নিয়ন্ত্রণে। আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত ইয়েমেন সরকারের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে শুধু মারিব। মারিবের নিয়ন্ত্রণ নিতে সেখানে সাম্প্রতিক দিনগুলোয় দুই পক্ষের মধ্যে লড়াই চলছে। এর আগেও শত শত বিদ্রোহী হত্যার দাবি করে জোট বাহিনী।

আল-জাজিরা জানিয়েছে, জোট বাহিনীর সঙ্গে লড়াইয়ে নিহত হুতি বিদ্রোহীদের সংখ্যা তাদের একার পক্ষে যাচাই করা সম্ভব হয়নি। এ ছাড়া ইরান–সমর্থিত হুতি বিদ্রোহীরাও সাধারণত তাদের নিহত যোদ্ধাদের সংখ্যা নিয়ে কখনো মন্তব্য করে না।  

সৌদি আরবের সরকারি বার্তা সংস্থা সৌদি প্রেস এজেন্সি (এসপিএ) সৌদি জোটকে উদ্ধৃত করে জানিয়েছে, গত ৭২ ঘণ্টার অভিযানে ৩৬টি সামরিক বাহন ধ্বংস করা হয়েছে এবং ২৬৪ জনের বেশি নিহত হয়েছে।

সৌদি জোটের হামলাগুলো হয়েছে মারিব থেকে ৫০ কিলোমিটার দক্ষিণের আল-জাওবা এবং ৩০ কিলোমিটার উত্তর-পশ্চিমের আল-কাসসারা এলাকায়।

জোট বাহিনী দুই সপ্তাহ ধরে মারিবের আশপাশে প্রায় প্রতিদিনই বিমান হামলা চালাচ্ছে। গত সপ্তাহে সৌদি নেতৃত্বাধীন জোট দাবি করে, মারিবের দক্ষিণে ১৬০ জন হুতি বিদ্রোহীকে হত্যা করেছে তারা।

মারিবের দখল নিতে গত ফেব্রুয়ারিতে জোরালো অভিযান শুরু করে হুতিরা। এরপর পরিস্থিতি কিছুটা শান্ত হলেও গত সেপ্টেম্বর থেকে তা আবার জোরদার হয়।

২০১৪ সাল থেকে ইয়েমেনে সরকার ও হুতি বিদ্রোহীদের মধ্যে লড়াই চলছে। তখন রাজধানী সানা দখল করে মানসুর হাদি সরকারকে ক্ষমতাচ্যুত করে হুতি বিদ্রোহীরা। পরে ২০১৫ সালের মার্চে হাদি সরকারকে আবারও ক্ষমতায় আনতে দেশটিতে সামরিক হস্তক্ষেপ করে সৌদির নেতৃত্বাধীন সামরিক জোট।

দেশটিতে কয়েক বছর ধরে চলা গৃহযুদ্ধে হাজার হাজার মানুষের মৃত্যু হয়েছে। বাস্তুচ্যুত হয়েছে কয়েক লাখ মানুষ। ইয়েমেন পরিস্থিতিকে বিশ্বের সবচেয়ে শোচনীয় মানবিক সংকট বলে উল্লেখ করেছে জাতিসংঘ।