Thank you for trying Sticky AMP!!

গাজায় হাসপাতালে হামলায় নিষিদ্ধ অস্ত্র ব্যবহার করেছে ইসরায়েল: ফিলিস্তিনি মন্ত্রী

হিউম্যান রাইটস ওয়াচ বলেছে, সাদা ফসফরাসের ব্যবহার বেসামরিক নাগরিকদের গুরুতর ও দীর্ঘমেয়াদি স্বাস্থ্যগত ঝুঁকিতে ফেলছে

ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকার বিভিন্ন হাসপাতালে হামলা চালাচ্ছে ইসরায়েলি বাহিনী। এতে হতাহতের ঘটনা ঘটেছে। এরই মধ্যে উপত্যকাটির আল–শিফা হাসপাতালে হামলা চালাতে ইসরায়েল মারাত্মক রাসায়নিক সাদা ফসফরাস ব্যবহার করেছে বলে অভিযোগ করেছেন ফিলিস্তিনের স্বাস্থ্যমন্ত্রী মাই আল–কাইলা।

ইসরায়েল অধিকৃত পশ্চিম তীরের রামাল্লায় এক সংবাদ সম্মেলনে মাই আল–কাইলা বলেন, ‘এটি আন্তর্জাতিকভাবে নিষিদ্ধ একটি অস্ত্র। আমরা ভাবছি, আল–শিফা হাসপাতালে সাদা ফসফরাস দিয়ে হামলার জন্য ইসরায়েলকে জবাবদিহির আওতায় আনার দায়িত্ব কার।’

গাজায় ইসরায়েল ‘গণহত্যা’ চালাচ্ছে অভিযোগ করে ফিলিস্তিনের স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ‘গাজার হাসপাতালগুলোয় ভর্তি রোগীদের ভাগ্যে এখন অনিবার্য মৃত্যু। আর আমরা এর জন্য ইসরায়েল, জাতিসংঘ ও আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে দায়ী করব।’

Also Read: হামাসের হামলায় নিহতের সংখ্যা কমিয়ে আনল ইসরায়েল

গত ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে হামলা চালায় ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস। এর পর থেকে উপত্যকাটিতে অব্যাহত হামলা চালিয়ে যাচ্ছে ইসরায়েল বাহিনী। এতে প্রাণহানি ১১ হাজার ছাড়িয়েছে। গত মাসেও গাজা ও লেবাননে সাদা ফসফরাস ব্যবহারের অভিযোগ উঠেছিলে ইসরায়েলের বিরুদ্ধে। তবে সেই অভিযোগ নাকচ করে দেয় ইসরায়েল বাহিনী।

Also Read: সদ্যোজাত অপরিণত সন্তান নিয়ে আতঙ্কে গাজার মায়েরা

সাদা ফসফরাস অত্যন্ত দাহ্য রাসায়নিক। অক্সিজেনের সংস্পর্শে এলে তা জ্বলে ওঠে। সাদা ফসফরাস ঘন সাদা ধোঁয়া তৈরি করে। বিশেষ করে জনবহুল এলাকায় এ রাসায়নিক যখন অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করা হয়, তখন তা অত্যন্ত বিপজ্জনক হয়ে ওঠে। ২০০৮-০৯ সালেও গাজায় সাদা ফসফরাস ব্যবহার করে হামলা চালিয়েছিল ইসরায়েল।

Also Read: গাজায় প্রতি ১০ মিনিটে নিহত হচ্ছে একটি শিশু: বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা