Thank you for trying Sticky AMP!!

শনিবার ব্রিটিশ বিমানবাহিনীর চারটি টাইফুন এফজিআরফোরএস যুদ্ধবিমান ব্যবহার করে হুতিদের ব্যবহৃত কয়েকটি দূরপাল্লার ড্রোনকে লক্ষ্যবস্তু করা হয়েছে,

হুতিদের বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্র–যুক্তরাজ্যের হামলা উত্তেজনা বাড়াবে: ইরান

ইয়েমেনের বিদ্রোহী গোষ্ঠী হুতিদের বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যের নতুন করে হামলা চালানোর নিন্দা জানিয়েছে ইরান। তাদের ভাষ্য, এই দুই দেশ এ অঞ্চলে ‘উত্তেজনা ও সংকট’ বাড়াতে চাইছে।

গতকাল শনিবার হুতিদের ১৮টি স্থাপনা ও সরঞ্জামকে হামলার লক্ষ্যবস্তু করা হয়েছে। সপ্তাহজুড়ে লোহিত সাগরে চলাচলকারী জাহাজের ওপর ইরান-সমর্থিত হুতি বিদ্রোহীদের কয়েক দফা হামলার পরিপ্রেক্ষিতে নতুন এ হামলা হলো।

ইরানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র নাসের কানানি এক বিবৃতিতে বলেন, ‘এ ধরনের হামলার মধ্য দিয়ে যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্য এ অঞ্চলে উত্তেজনা ও সংকট বাড়াতে চাইছে। পাশাপাশি যুদ্ধ ও অস্থিতিশীলতা তৈরির সুযোগ বাড়াচ্ছে।’

Also Read: লোহিত সাগরে হুতিদের হামলা কি পশ্চিমারা ঠেকাতে পারবে

কানানি আরও বলেন, ‘এ ধরনের স্বেচ্ছাচারী ও আক্রমণাত্মক সামরিক অভিযান চালিয়ে আগ্রাসনকারী দেশগুলো এ অঞ্চলে নিরাপত্তাহীনতা ও অস্থিতিশীলতা বাড়ানো ছাড়া অন্য কিছুই অর্জন করবে না।’

পাশাাপাশি তিনি গাজায় ইসরায়েলের প্রাণঘাতী অভিযান বন্ধে ‘অবিলম্বে ও কার্যকর পদক্ষেপ’ নিতে ব্যর্থ হওয়ার জন্য যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যের নিন্দা জানান।

লোহিত সাগর পণ্য ও জ্বালানি তেল পরিবহনের জন্য বিশ্বের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ বাণিজ্যপথ। হুতিরা বলছে, চলমান যুদ্ধে ফিলিস্তিনিদের সমর্থন জানাতে তারা লোহিত সাগরে ইসরায়েলের সঙ্গে যোগসূত্র থাকা জাহাজে হামলা চালাচ্ছে।

গত ৭ অক্টোবর ফিলিস্তিনের সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাস ইসরায়েলের দক্ষিণাঞ্চলে হামলা চালায়। এর পর থেকে ইসরায়েল গাজায় নির্বিচার হামলা চালিয়ে যাচ্ছে। ইসরায়েলের দাবি, হামাসের পেছনে ইন্ধন জুগিয়েছে ইরান। তবে ইরান এমন অভিযোগ অস্বীকার করেছে।

গাজা-ইসরায়েল যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকে এ অঞ্চলে উত্তেজনা বেড়েই চলেছে। লেবানন, ইরাক, সিরিয়া ও ইয়েমেনে ইরান-সমর্থিত গোষ্ঠীগুলোও এই যুদ্ধে জড়িয়ে পড়েছে। এতে পুরো অঞ্চলে সহিংসতা ছড়িয়েছে।

হামলার পর এক বিবৃতিতে পেন্টাগনের প্রধান লয়েড অস্টিন বলেন, জীবন বাঁচাতে এবং বিশ্বের গুরুত্বপূর্ণ একটি পানিপথে বাণিজ্যের অবাধ প্রবাহ নিশ্চিত করতে যদি পদক্ষেপ নেওয়ার প্রয়োজন হয়, তবে যুক্তরাষ্ট্র পিছপা হবে না।

অন্যদিকে হুতিদের সামরিক শাখার মুখপাত্র ইয়াহিয়া সারি বলেছেন, গাজায় ‘আগ্রাসন শেষ না হওয়া’ পর্যন্ত এ ধরনের হামলা চলবে।

Also Read: ইয়েমেনে হুতিদের বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যের নতুন হামলা