Thank you for trying Sticky AMP!!

করাচিতে দাবদাহে ৬৫ জনের মৃত্যু

গরমে স্বস্তি দিতে ড. রুথ কে এম পফো সিভিল হাসপাতাল প্রাঙ্গণে শীতল পানিতে গোসলের ব্যবস্থা করা হয়েছে। করাচি, পাকিস্তান, ২০ মে, ২০১৮। ছবি: রয়টার্স

পাকিস্তানের দক্ষিণাঞ্চলীয় শহর করাচিতে গত তিন দিনের প্রচণ্ড দাবদাহে ৬৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। আজ মঙ্গলবার দেশটির সমাজকল্যাণ-বিষয়ক একটি সংস্থা এ তথ্য জানায় বলে রয়টার্সের খবরে জানানো হয়। তবে এ বিষয়ে সরকারের কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি।

করাচির ওপর দিয়ে এখন দাবদাহ বয়ে যাচ্ছে। এর সঙ্গে যুক্ত হয়েছে ঘন ঘন বিদ্যুৎ-বিভ্রাট। তাই রমজান মাসে সারা দিন না খেয়ে থাকা লোকজনকে বেশ কঠিন সময় পার করতে হচ্ছে। স্থানীয় গণমাধ্যমের খবরে বলা হয়, গতকাল সোমবার করাচির তাপমাত্রা ছিল ৪৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

এদহি ফাউন্ডেশন নামের সমাজকল্যাণ-বিষয়ক এই সংস্থা মর্গ ও অ্যাম্বুলেন্স সার্ভিস পরিচালনা করে। সংস্থাটির পরিচালনাকারী ফয়সাল এদহি রয়টার্সকে বলেন, ‘গত তিন দিনে ৬৫ জন নিহত হয়েছে। এসব মরদেহ আমাদের মর্গে রাখা হয়েছে। মৃত ব্যক্তিদের এলাকার চিকিৎসকেরা জানিয়েছেন, হিট স্ট্রোকে তাদের মৃত্যু হয়েছে।’ তবে এ ব্যাপারে সরকারের মুখপাত্রের বক্তব্য নিতে পারেনি রয়টার্স।

রোদের আঁচ থেকে বাঁচাতে সন্তানের মাথায় তোয়ালে জড়িয়েছেন মা। করাচি, পাকিস্তান, ২১ মে, ২০১৮। ছবি: রয়টার্স

কিন্তু সিন্ধু প্রদেশের স্বাস্থ্যসচিব ফয়জুল্লাহ পিচুহো পাকিস্তানের ইংরেজি দৈনিক ডনকে জানান, হিট স্ট্রোকে কারও মৃত্যু হয়নি। তিনি বলেন, ‘কেবল চিকিৎসক ও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ বলতে পারবে এই মৃত্যু হিট স্ট্রোকে, না অন্য কোনো কারণে হয়েছে। আমি হিট স্ট্রোকে মৃত্যুর বিষয়টি প্রত্যাখ্যান করছি।’

এদহি বলেন, মর্গে আনা নিহত ব্যক্তিদের বেশির ভাগ কারখানার শ্রমিক। তাঁরা করাচির লানধি ও কোরাঙ্গি এলাকা থেকে আসা। তাঁদের টেক্সটাইল কারখানায় হিটার ও বয়লারকে ঘিরে আট-নয় ঘণ্টা কাজ করতে হয়।

২০১৫ সালেও দেশটিতে দাবদাহে অন্তত ১ হাজার ৩০০ জনের মৃত্যু হয়েছিল।