Thank you for trying Sticky AMP!!

কাশ্মীর নিয়ে ভারত বিশ্বকে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করছে: পাকিস্তান

পাকিস্তানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র জাহিদ হাফেজ চৌধুরী

ভারতনিয়ন্ত্রিত কাশ্মীর পরিস্থিতি সম্পর্কে নয়াদিল্লি বিশ্বকে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করছে বলে অভিযোগ তুলেছে পাকিস্তান। আজ মঙ্গলবার দ্য ডন অনলাইনের প্রতিবেদনে এই তথ্য জানানো হয়।

পাকিস্তানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় গতকাল সোমবার কাশ্মীর ইস্যুতে ভারতের বিরুদ্ধে এই অভিযোগ করে।

পাকিস্তানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ভাষ্য, বিদেশি কূটনীতিকদের ভারতনিয়ন্ত্রিত কাশ্মীর পরিদর্শনে নিয়ে নয়াদিল্লি সেখানকার পরিস্থিতি সম্পর্কে মিথ্যা ও বিভ্রান্তিকর তথ্য উপস্থাপনের চেষ্টা করছে।

নয়াদিল্লিতে নিযুক্ত বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রদূতদের কাশ্মীর উপত্যকা পরিদর্শনে নিতে ভারত সরকারের আয়োজন সম্পর্কে মন্তব্য করেন পাকিস্তানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র জাহিদ হাফেজ চৌধুরী। এই আয়োজন বিশ্ব সম্প্রদায়কে বিভ্রান্ত করার ভারতীয় প্রচেষ্টার অংশ বলে মন্তব্য করেন তিনি।

ইউরোপ ও উপসাগরীয় অঞ্চলের দেশগুলোর একদল কূটনীতিককে জম্মু-কাশ্মীরে নিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনা করছে ভারত। ১৭ থেকে ১৮ ফেব্রুয়ারি বিদেশি কূটনীতিকদের এই সফর হওয়ার কথা রয়েছে।

এই সফরের মাধ্যমে বিদেশি কূটনীতিকদের কাশ্মীরের বর্তমান পরিস্থিতি সম্পর্কে ধারণা দিতে চায়। পাকিস্তানের ভাষ্য, কাশ্মীরে স্বাভাবিক পরিস্থিতি বিরাজ করছে—এমন একটা ধারণা বিদেশি কূটনীতিকদের দিতে চায় ভারত।

২০১৯ সালের আগস্টে জম্মু-কাশ্মীরের বিশেষ সাংবিধানিক মর্যাদা রদ করে ভারতের সরকার। একই সঙ্গে জম্মু-কাশ্মীর রাজ্যের মর্যাদা কেড়ে নেওয়া হয়। জম্মু-কাশ্মীর ভেঙে দ্বিখণ্ডিত করে কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের অন্তর্ভুক্ত করা হয়। সেই সময় থেকেই অঞ্চলটিতে কঠোর বিধিনিষেধ বলবৎ রয়েছে বলে বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশিত খবরে বলা হচ্ছে।

ডন বলছে, উপত্যকায় প্রায় ১৮ মাস ধরে ফোর-জি ইন্টারনেট সেবা নিষিদ্ধ ছিল। এই সেবা ফের চালুর পর এখন উপত্যকায় বিদেশি কূটনীতিকদের নিয়ে যাচ্ছে ভারত সরকার।

২০১৯ সালের আগস্টের পর এখন পর্যন্ত দুই দফায় বিদেশি কূটনীতিকদের কাশ্মীর পরিদর্শনের সুযোগ দেওয়া হয়েছে বলে জানায় ডন। গত বছরের জানুয়ারি ও ফেব্রুয়ারিতে উপত্যকায় গিয়েছিলেন বিদেশি কূটনীতিকেরা।

ডন বলছে, এই সফরগুলো অত্যন্ত নিয়ন্ত্রিতভাবে হয়। ফলে প্রকৃত পরিস্থিতি সম্পর্ক স্বাধীনভাবে বিচার-বিবেচনা করার মতো সুযোগ কম থাকে।