Thank you for trying Sticky AMP!!

কাশ্মীর বিষয়ে পাকিস্তানকে সমর্থন দিচ্ছে ৫৮ দেশ: ইমরান

ইমরান খানের দাবি, কাশ্মীর প্রশ্নে ৫৮টি দেশ পাকিস্তানের সঙ্গে যোগ দিয়েছে। ছবি: রয়টার্সের ফাইল ছবি

পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের দাবি, কাশ্মীর ইস্যুতে জাতিসংঘের মানবাধিকার কাউন্সিলের ৫৮টি দেশ পাকিস্তানের সঙ্গে যোগ দিয়েছে। তিনি জানান, রাজ্যে আরোপিত নিষেধাজ্ঞা তুলে নিয়ে কাশ্মীরিদের অধিকার রক্ষার দাবিতে ভারতের ওপর চাপ সৃষ্টি করতে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে দেশগুলো।

ইমরান খান গতকাল বৃহস্পতিবার এক টুইট বার্তায় জানিয়েছেন, ‘১০ সেপ্টেম্বর মানবাধিকার কাউন্সিলে পাকিস্তানের পক্ষে যোগদানকারী ৫৮টি দেশকে সাধুবাদ জানাচ্ছি। ভারতের শক্তি প্রয়োগ বন্ধ করা, অবরোধ দেওয়া, অন্যান্য নিষেধাজ্ঞা অপসারণ, কাশ্মীরিদের অধিকারকে সম্মান করা এবং জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের (ইউএনএসসি) প্রস্তাবের মাধ্যমে কাশ্মীর বিরোধের সমাধানের জন্য আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের দাবিকে জোরালো করা হচ্ছে।’

দ্বিতীয় এক টুইটে ইমরান খান বলেন, ‘ইউএনএসসির প্রস্তাব, আন্তর্জাতিক আইন এবং দ্বিপক্ষীয় চুক্তির সঙ্গে মিল রেখে কাশ্মীর বিরোধের শান্তিপূর্ণ সমাধানের জন্য মানবাধিকার কাউন্সিলে ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) আহ্বানকে স্বাগত জানাই।’

টাইমস অব ইন্ডিয়া এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, এর আগে মঙ্গলবার জেনেভায় অনুষ্ঠিত জাতিসংঘের মানবাধিকার পরিষদের (ইউএনএইচআরসি) বৈঠকে পাকিস্তানের অভিযোগ দৃঢ়তার সঙ্গে প্রত্যাখ্যান করেছে ভারত। তারা জানায়, ‘বৈশ্বিক সন্ত্রাসবাদের কেন্দ্রস্থল’ থেকে জম্মু ও কাশ্মীর সম্পর্কে একটি ‘মনগড়া আখ্যান’ এসেছে। অভিযোগকারী দেশটি ‘বিকল্প কূটনীতির’ রূপ হিসেবে সীমান্ত সন্ত্রাসবাদ পন্থা অবলম্বন করছে।

ভারত আরও জানায়, জম্মু ও কাশ্মীর সম্পর্কে আইনি সিদ্ধান্তের ব্যাপারে পাকিস্তানের পায়ের নিচ থেকে মাটি সরে গেছে। ক্রমাগত আন্তসীমান্ত সন্ত্রাসবাদে মদদ দেওয়া ও মানবাধিকার লঙ্ঘনের জঘন্য রেকর্ডটিই তাদের বিরুদ্ধে সাক্ষ্য দেবে।

পাকিস্তানের এই প্রোপাগান্ডা প্রত্যাখ্যান করে ভারত বলেছে, পাকিস্তান আঞ্চলিক উচ্চাভিলাষকে এগিয়ে নিয়ে যেতে দুরভিসন্ধি আঁটছে। ফোরাম রাজনীতিকরণ ও মেরুকরণ করার উদ্দেশ্যে ইসলামাবাদ এহেন ‘মিথ্যা, বানোয়াট বিবরণীসহ মনগড়া বিবৃতি’ পেশ করেছে।

পাকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী শাহ মেহমুদ কুরেশি দাবি করেন, ভারত সংবিধানের ৩৭০ ধারা বাতিল করে জম্মু-কাশ্মীরকে ‘এই গ্রহের সবচেয়ে বড় কারাগারে’ রূপান্তর করেছে। রাজ্যে ‘মানবাধিকারকে পদদলিত করা হচ্ছে’ বলে মন্তব্য করেন তিনি। তাঁর এ কথার পরিপ্রেক্ষিতে ভারত পরবর্তী সময়ে ইউএনএইচআরসির বৈঠকে এসব মন্তব্য করে।