Thank you for trying Sticky AMP!!

গিলগিট–বালটিস্তানের নতুন মুখ্যমন্ত্রী

খালিদ খুরশিদ খান

গিলগিট-বালটিস্তানে সংসদ গতকাল সোমবার পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফের খালিদ খুরশিদ খানকে মুখ্যমন্ত্রী এবং পাকিস্তান পিপলস পার্টির আমজাদ হুসেনকে বিরোধী দলের নেতা নির্বাচিত করেছে। সম্প্রতি ভারতের বিরোধিতা ও প্রতিবাদ সত্ত্বেও পাকিস্তান তাদের নিয়ন্ত্রিত আজাদ কাশ্মীরের গিলগিট-বালটিস্তানকে বিশেষ প্রদেশের মর্যাদা দেওয়ার ঘোষণা দেয়। সাংবিধানিক বৈধতা পেলে এটি হবে পাকিস্তানের পঞ্চম প্রদেশ। ডনের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

গিলগিট-বালটিস্তানে মুখ্যমন্ত্রী নির্বাচিত করার জন্য অনুষ্ঠিত বিধানসভা অধিবেশনটির সভাপতিত্ব করেন স্পিকার আমজাদ হুসেন জায়েদি।

খুরশিদ খান পিটিআই-মজলিস ওয়াহাদাত-ই-মুসলামিন জোটের হয়ে এবং আমজাদ হুসেন জেইউআই-এফ, পিপিপি এবং পিএমএল-এনের প্রার্থী হিসেবে যথাক্রমে ২২ ও ৯ ভোট পেয়েছেন।

জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম-ফজল আইনপ্রণেতা রেহমত খালিক  বলেন, তাঁর দল নবনির্বাচিত সরকারের প্রতিটি আইনি ও সাংবিধানিক পদক্ষেপকে সমর্থন করবে।

বিএনএফ-নাজির বিধায়ক মুখ্যমন্ত্রী ও বিরোধী নেতাকে অভিনন্দন জানিয়ে বলেন, সরকারের বিরুদ্ধে গঠনমূলক সমালোচনা অব্যাহত থাকবে।

স্পিকার জায়েদি ঘোষণা বলেন, বিধানসভায় ক্ষমতাসীন ও বিরোধী দলের সদস্যদের উপযুক্ত সময় দেওয়া হবে।

বিরোধী দলের আমজান হুসেন বিধানসভা অধিবেশনটির সব সদস্যকে অভিনন্দন জানান। তবে তিনি ক্ষমতাসীন পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফের নির্বাচন ঘিরে প্রশ্ন তোলেন। তিনি বলেন, দুই দল সমান ভোট পেলেও পরিকল্পনা অনুযায়ী, পিটিআইকে সরকার গঠন করতে দেওয়া হয়েছে।

পলিটিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের মাধ্যমে পিটিআই গিলগিট-বালটিস্তানে সরকার গঠন করেছে।

মুখ্যমন্ত্রী খালিদ খুরশিদ খান বলেন, গিলগিট-বালটিস্তানের মানুষ যেসব সমস্যার মুখোমুখি হচ্ছে, তা সমাধান করার জন্য প্রতিটি পদক্ষেপ নেওয়া হবে। গিলগিট-বালটিস্তানকে পাকিস্তানের সঙ্গে যুক্ত করা একটি ঐতিহাসিক পদক্ষেপ। পিটিআই এ পদক্ষেপ নিয়েছে। প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান এখানে পর্যটনের প্রচার করতে চান।

গিলগিট-বালটিস্তানের পাশে চীন ও আফগানিস্তানের সীমান্ত রয়েছে। গিলগিট-বালটিস্তানকে পাকিস্তানের পঞ্চম প্রদেশ ঘোষণা করা হয়েছে। ভারত ও পাকিস্তানের সম্পর্কের ক্ষেত্রে এই সিদ্ধান্তকে গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছে। দেশটি দীর্ঘদিন ধরেই গিলগিট-বালটিস্তানকে আলাদা অঞ্চল হিসেবে প্রাধান্য দিয়ে আসছে। এই অংশের আলাদা মুখ্যমন্ত্রী এবং রাজ্যের প্রশাসনিক সরকারও রয়েছে।

আজাদ কাশ্মীর সীমান্তের এই ভূখণ্ডকে সরাসরি প্রদেশ হিসেবে ঘোষণা করলে পাকিস্তানের অন্যান্য প্রদেশ থেকে অনেক মানুষের যাতায়াত বেড়ে যাবে এবং অন্যান্য অঞ্চল থেকে সেখানে মানুষের আসার সম্ভাবনাও বেড়ে যাবে।

গিলগিট-বালটিস্তান অঞ্চলটি বৃহত্তর কাশ্মীরের অংশ। ব্রিটিশদের কাছ থেকে স্বাধীনতার পর কাশ্মীরকে নিজেদের বলে দাবি করে আসছে ভারত ও পাকিস্তান। ১৯৪৭ সালের পর ভূস্বর্গ হিসেবে পরিচিত কাশ্মীর নিয়ে লড়াই বাধলে কাশ্মীরের একটি অংশ পাকিস্তানের নিয়ন্ত্রণে এবং আরেকটি অংশ ভারতের নিয়ন্ত্রণে চলে যায়। গিলগিট-বালটিস্তান মূল কাশ্মীরের অংশই ছিল।