Thank you for trying Sticky AMP!!

ট্রাম্পের সঙ্গে লেগে গেছে ইমরানের

ইমরান খান ও ডোনাল্ড ট্রাম্প

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের লেগে গেছে।

গতকাল সোমবার ট্রাম্প ও ইমরান পরস্পরকে টুইটারে ট্রল করেছেন। একজন আরেকজনকে কটূক্তি করতে একটুও ছাড়েননি।

উদ্ভূত পরিস্থিতিতে যুক্তরাষ্ট্র ও পাকিস্তানের মধ্যে সম্পর্কের আরও অবনতি হতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

গত রোববার ফক্স নিউজকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে ট্রাম্প অভিযোগ করেন, অ্যাবোটাবাদের একটি বাড়িতে আল-কায়েদার নেতা ওসামা বিন লাদেনকে লুকিয়ে রেখেছিল পাকিস্তান। দেশটির সামরিক একাডেমির কাছেই একটি চমৎকার বাড়িতে ছিলেন লাদেন। আর পাকিস্তানের সবাই তা জানত।

যুক্তরাষ্ট্রের জন্য কিছু না করায় পাকিস্তানকে ভর্ৎসনা করেন ট্রাম্প। তিনি বলেন, পাকিস্তানকে শত শত কোটি ডলার সহায়তা দিয়ে আসছিল যুক্তরাষ্ট্র। আর সেই পাকিস্তানই লাদেনকে নিরাপদে লুকিয়ে থাকতে সাহায্য করেছিল। তারা পাকিস্তানকে আর কোনো অর্থ দেবে না। কারণ, পাকিস্তান যুক্তরাষ্ট্রের জন্য কিচ্ছু করেনি। কানাকড়িও করেনি।

ট্রাম্পের অভিযোগের জবাব দিতে সময় নেননি ইমরান। গতকাল টুইটারে তিনি ট্রাম্পকে একহাত নেন। এরপরই দুজনের মধ্যে টুইটারে পাল্টাপাল্টি তর্কযুদ্ধ চলে।

ইমরান বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের ব্যর্থতার জন্য পাকিস্তানকে বলির পাঠা না বানিয়ে ওয়াশিংটনের উচিত আফগানিস্তানে আগের চেয়ে তালেবান এখন কেন শক্তিশালী, তার কারণ খতিয়ে দেখা।

আরেক টুইটে ইমরান বলেন, নাইন/ইলেভেন-পরবর্তী যুক্তরাষ্ট্রের সন্ত্রাসবাদবিরোধী যুদ্ধে অংশ নেওয়ায় পাকিস্তানের ৭৫ হাজার লোক হতাহত হয়েছে। ১২৩ বিলিয়ন ডলারের বেশি ক্ষতি হয়েছে। আর মার্কিন সহায়তা ছিল মাত্র ২০ বিলিয়ন ডলার।

পৃথক টুইটে ইমরান পাকিস্তানের ক্ষয়ক্ষতির বিবরণ দিয়ে প্রশ্ন করেন, আর একটা মিত্রের নামও কি ট্রাম্প বলতে পারবেন, যে এত ত্যাগ স্বীকার করেছে?

ইমরানের একের পর এক টুইটের কয়েক ঘণ্টার মাথায় ট্রাম্পও টুইটারে ঝাঁপিয়ে পড়েন। এক টুইটে তিনি বলেন, বহু আগেই লাদেনের ধরা পড়া উচিত ছিল। পাকিস্তানকে যুক্তরাষ্ট্র বিলিয়ন বিলিয়ন ডলার দিয়েছে। কিন্তু পাকিস্তান কখনোই বলেনি যে লাদেন তাদের ওখানেই আছেন।

আরেক টুইটে ট্রাম্প বলেন, ‘আমরা পাকিস্তানকে আর অর্থ দেব না। কারণ, তারা অর্থ নিয়ে আমাদের জন্য কিছুই করেনি। লাদেনের ঘটনা তার বড় উদাহরণ। আফগানিস্তান আরেকটি উদাহরণ।’