Thank you for trying Sticky AMP!!

পাকিস্তানে শিশুকে ধর্ষণ-হত্যা, প্রচণ্ড বিক্ষোভ

জয়নাব। ছবি: টুইটার থেকে নেওয়া

পাকিস্তানের পাঞ্জাব প্রদেশের কাসুরে সাত বছরের এক শিশুকে ধর্ষণ ও হত্যা করার প্রতিবাদে বিক্ষোভে নেমেছে জনতা। বিক্ষোভে এখন পর্যন্ত দুজনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। আজ বৃহস্পতিবার দেশটির বিভিন্ন অঞ্চলে দ্বিতীয় দিনের মতো বিক্ষোভ চলছে।

নিখোঁজ হওয়ার এক দিন পর গত মঙ্গলবার একটি আবর্জনার স্তূপ থেকে উদ্ধার করা হয় ছোট্ট জয়নাবের লাশ। শিশুটিকে ধর্ষণের পর শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয়। এ ঘটনার পর বিক্ষোভে ফেটে পড়ে মানুষ। তাদের অভিযোগ, শহরটিতে শিশু ধর্ষণ ও হত্যার ঘটনা বেড়ে গেলেও প্রশাসন কোনো ভূমিকা রাখছে না। এমনকি জয়নাবের ঘটনায়ও প্রশাসন গড়িমসি করে। গত বুধবার শুরু হওয়া বিক্ষোভে জনতার ওপর পুলিশ গুলি চালালে দুজন নিহত হয়।

পুলিশ বলছে, কাসুরে গত দুই বছরে এ রকম ১২টি হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। এদের মধ্যে পাঁচজনের হত্যার ঘটনায় একজনকেই সন্দেহ করছে পুলিশ। এ পর্যন্ত ৯০ জন সন্দেহভাজনের ডিএনএ নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে।

জয়নাবের লাশ পাওয়ার পর বিক্ষোভরত জনতা। ছবি: বিবিসির সৌজন্যে।

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমেও জয়নাব হত্যার ঘটনা ব্যাপক সাড়া ফেলেছে। ‘হ্যাশট্যাগ জাস্টিস ফর জয়নাব’ লিখে প্রতিক্রিয়া জানাচ্ছেন জনপ্রিয় চলচ্চিত্র ও ক্রিকেট তারকারা। তাঁরা হত্যাকারীকে অবিলম্বে গ্রেপ্তার করার দাবি জানিয়েছেন। পুলিশের সহযোগিতায় সেনাবাহিনীর হস্তক্ষেপেরও দাবি জানান তাঁরা।

অভিনেত্রী মাহিরা খান, পাকিস্তান সরকারের উদ্দেশে এক টুইটে লেখেন, ‘খুঁজে বের করুন খুনিকে। ওকে খুঁজে পেতে যা করা দরকার তাই করুন। আল্লাহর দোহাই লাগে একটা দৃষ্টান্ত স্থাপন করুন। এমন উদাহরণ তৈরি করুন যেন ভবিষ্যতে এ ধরনের কাজ করার কথা কেউ ভাবতেও না পারে।’

মোহাম্মদ আমির টুইটারে ‘হ্যাশট্যাগ জাস্টিস ফর জয়নাব’ লিখে বলেন, আমার হৃদয় ভেঙে গেছে। নিঃসঙ্গ ও ঘৃণ্য মনে হচ্ছে। আমরা কোন সমাজে বাস করছি। শিশুটির মা-বাবার প্রতি সমবেদনা।

কোরআন শিখতে যাওয়ার পথে নিখোঁজ হয় জয়নাব। তার লাশ পাওয়া যায় বাড়ি থেকে ২০ কিলোমিটার দূরে। জয়নাবের পরিবারের দাবি, মেয়ে নিখোঁজ হওয়ার পরই পুলিশকে জানান তাঁরা। কিন্তু কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। সিসিটিভি ফুটেজ থাকা সত্ত্বেও পুলিশ দোষী ব্যক্তিকে ধরতে পারছে না। সিসিটিভি ফুটেজে দেখা যায়, এক ব্যক্তি জয়নাবকে হাত ধরে নিয়ে যাচ্ছে। তবে ওই ব্যক্তির চেহারা বোঝা যাচ্ছে না। ফুটেজ দেখে পুলিশ ওই ব্যক্তির প্রতিকৃতি এঁকেছে।