Thank you for trying Sticky AMP!!

সন্ত্রাসী কাজে অর্থায়ন, হাফিজ সাঈদের ৫ বছর কারাদণ্ড

হাফিজ সাঈদ। এএফপি ফাইল ছবি

ভারতের মুম্বাই শহরে সন্ত্রাসী হামলার হোতা হিসেবে অভিযুক্ত হাফিজ সাঈদকে সাড়ে পাঁচ বছর কারাদণ্ড দিয়েছেন পাকিস্তানের একটি আদালত। দুটি পৃথক সন্ত্রাসী ঘটনায় জড়িত থাকার দায়ে এ দণ্ড দেওয়া হলো তাঁকে। সাঈদের আইনজীবী আজ বুধবার এ তথ্য জানিয়েছেন। বার্তা সংস্থা এএফপি ও পাকিস্তানের ‘ডন’-এর প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

হাফিজ সাঈদের আইনজীবী ইমরান গিল বলেন, একটি নিষিদ্ধঘোষিত সন্ত্রাসী দলের সঙ্গে সম্পৃক্ততা এবং অবৈধ সম্পদ থাকার দায়ে এ দণ্ড হয়।

সাঈদকে ২০০৮ সালের নভেম্বর মাসে ভয়াবহ সন্ত্রাসী হামলার পরিকল্পনাকারী হিসেবে অভিযুক্ত করে ভারত। ১০ জন সশস্ত্র সন্ত্রাসী রাইফেল ও গ্রেনেড দিয়ে ওই হামলা চালায়। ওই হামলায় ১৬৬ জন নিহত হন।

জঙ্গি সংগঠন লস্কর-ই-তৈয়বার প্রতিষ্ঠাতা হিসেবে পরিচিত সাঈদ। তিনি জামাত-উদ-দাওয়ার প্রধান। ২০০৮ সালে মুম্বাই হামলার পর তাঁকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদ। তবে সাঈদ মুম্বাই হামলার সঙ্গে তাঁর সম্পৃক্ততার অভিযোগ বরাবরই অস্বীকার করে আসছেন। আন্তর্জাতিক চাপের মুখে অবশেষে হাফিজ সাঈদের বিরুদ্ধে মামলা করে পাকিস্তান।
পাকিস্তানের পঞ্জাব পুলিশের সন্ত্রাস দমন বিভাগের তরফে দায়ের করা এফআইআরে হাফিজ সাঈদের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসবাদে অর্থ জোগান দেওয়া, আর্থিক তছরুপের অভিযোগ আনা হয়েছে।

২০১৭ সালে সন্ত্রাসবাদ আইনে হাফিজ সাঈদ এবং তাঁর চারজন সঙ্গীকে আটক করে পাকিস্তান সরকার। তবে ১১ মাস পরে তাঁদের আটক করে রাখার মেয়াদ বাড়াতে অস্বীকার করে মুক্তি দেয় পঞ্জাবের বিচার বিভাগীয় পর্যালোচনা-সংক্রান্ত বোর্ড।

সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে অর্থায়ন বন্ধে ব্যর্থতার অভিযোগে অর্থ পাচার পর্যবেক্ষণ সংস্থা ফিন্যান্সিয়াল অ্যাকশন টাস্ক ফোর্সের (এফএটিএফ) কালো তালিকাভুক্ত হওয়ার পথে আছে পাকিস্তান। আর ঠিক সেই সময়েই হাফিজের এই দণ্ড হলো।