Thank you for trying Sticky AMP!!

জোর করে বন্ধ্যাত্বকরণ নিয়ে পেরুর আদালতে শুনানি  

আলবার্তো ফুজিমোরি

পেরুর কারাবন্দী সাবেক প্রেসিডেন্ট আলবার্তো ফুজিমোরির (৮২) বিরুদ্ধে ইতিমধ্যেই জোর করে হাজার হাজার মানুষকে বন্ধ্যাত্বকরণের অভিযোগ আনা হয়েছিল। এ নিয়ে স্থানীয় সময় সোমবার আদালতে একটি শুনানি অনুষ্ঠিত হয়েছে। দেশটির হাজার হাজার নারী অভিযোগ করে আসছেন, তাঁদের জোর করে বন্ধ্যাত্ব করা হয়েছে। আর ফুজিমোরির পক্ষ থেকে দাবি করা হচ্ছে, সম্মতির ভিত্তিতেই জন্মনিরোধের এই পদ্ধতি অবলম্বন করা হয়েছে।  

পেরুর স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্যমতে, জন্মনিয়ন্ত্রণ কর্মসূচির অংশ হিসেবে ফুজিমোরির প্রশাসন ১৯৯৬ সাল থেকে ২০০০ সাল পর্যন্ত ২ লাখ ৭০ হাজারের বেশি নারী ও ২২ হাজার পুরুষকে বন্ধ্যাত্ব করেছে। প্রেসিডেন্ট ফুজিমোরির সংশ্লিষ্ট স্বাস্থ্য কর্মকর্তারা দাবি করে আসছেন, তাঁরা অনুমতি ছাড়া কারও বন্ধ্যাত্ব করেনি। তবে হাজার হাজার নারী বলেছেন, তাঁদের বিভ্রান্ত করা হয়েছে, লাঞ্ছিত করা হয়েছে, ব্ল্যাকমেল করা হয়েছে অথবা বন্ধ্যাত্ব হতে বাধ্য করা হয়েছে।

যেসব নারী এই বন্ধ্যাত্বের বিপক্ষে বলছেন, তাঁরা সাধারণত দরিদ্র ও ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠী অঞ্চলের মানুষ। তাঁদের মধ্যে অনেকে বলেছেন, তাঁদের প্রথম ভাষা কেচুয়া। তাঁদের অনেকেরই স্প্যানিশ ভাষা জানা নেই বা থাকলেও খুবই কম। এর ফলে স্প্যানিশ ভাষায় লিখিত বন্ধ্যাত্ব–সংশ্লিষ্ট নথি তাঁরা বুঝতে পারতেন না। এতে তাঁরা স্বাস্থ্যকর্মীদের চাপে পড়ে না বুঝেই ওই সব নথিতে স্বাক্ষর করেছেন।

আইনজীবীরা আলবার্তো ফুজিমোরি, তৎকালীন স্বাস্থ্যমন্ত্রী ও এই কর্মসূচির সঙ্গে সম্পৃক্ত অন্য কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের আশা করছেন। ১৯৯০ থেকে ২০০০ সাল পর্যন্ত পেরুর ক্ষমতায় ছিলেন ফুজিমোরি। মানবাধিকার লঙ্ঘনের দায়ে তিনি ২৫ বছরের জেল খাটছেন।