Thank you for trying Sticky AMP!!

বিশ্বের প্রায় ৩ কোটি মানুষ করোনা থেকে সুস্থ

করোনাভাইরাস

বিশ্বে করোনাভাইরাস থেকে সেরে ওঠা মানুষের সংখ্যা প্রায় ৩ কোটি। যুক্তরাষ্ট্রের জনস হপকিনস ইউনিভার্সিটির তথ্য অনুযায়ী, আজ বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ সময় সকাল ৯টা নাগাদ বিশ্বে করোনা থেকে সেরে ওঠা মোট মানুষের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২ কোটি ৯৯ লাখ ৮৮ হাজার ৫৩৩ জন।

যুক্তরাষ্ট্রের জনস হপকিনস ইউনিভার্সিটির তথ্য অনুযায়ী, আজ বাংলাদেশ সময় সকাল ৯টা নাগাদ বিশ্বে করোনা সংক্রমিত শনাক্ত রোগীর সংখ্যা ৪ কোটি ৪৪ লাখ ৩১৮ জন।

গত বুধবার একই সময় নাগাদ বিশ্বে করোনা সংক্রমিত শনাক্ত রোগীর সংখ্যা ছিল ৪ কোটি ৩৮ লাখ ৯৫ হাজার ৯৬৮ জন। আগের দিন মঙ্গলবার একই সময় নাগাদ এই সংখ্যা ছিল ৪ কোটি ৩৪ লাখ ৩৮ হাজার ৪৩ জন।

জনস হপকিনস ইউনিভার্সিটির তথ্য অনুযায়ী, আজ বাংলাদেশ সময় সকাল ৯টা নাগাদ বিশ্বে করোনায় মোট মারা গেছেন ১১ লাখ ৭৩ হাজার ২৭০ জন।

গতকাল বুধবার একই সময় নাগাদ বিশ্বে করোনায় মোট মারা গিয়েছিলেন ১১ লাখ ৬৫ হাজার ৪৫৫ জন। আগের দিন মঙ্গলবার একই সময় নাগাদ এই সংখ্যা ছিল ১১ লাখ ৫৮ হাজার ৫৯৬ জন।

যুক্তরাষ্ট্র, ইউরোপসহ বিশ্বের বিভিন্ন অঞ্চলে নতুন করে করোনার সংক্রমণ বাড়ছে। সংক্রমণের দ্বিতীয় ধাক্কা ঠেকাতে ইউরোপের বিভিন্ন দেশ ইতিমধ্যে বিধিনিষেধ আরোপ করেছে।

বিশ্বে করোনায় সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত দেশ যুক্তরাষ্ট্র। দেশটিতে করোনায় সংক্রমিত শনাক্ত রোগীর সংখ্যা ৮৮ লাখ ৫৫ হাজার ১৮২ জন। মারা গেছে প্রায় ২ লাখ ২৭ হাজার ৬৭৩ জন।

ক্ষতিগ্রস্ত দেশের তালিকায় ভারতের অবস্থান দ্বিতীয়। দেশটিতে শনাক্ত রোগীর সংখ্যা ৭৯ লাখ ৯০ হাজার ৩২২ জন। মারা গেছেন প্রায় ১ লাখ ২০ হাজার ১০ জন।

ব্রাজিল আছে তৃতীয় অবস্থানে। দেশটিতে শনাক্ত রোগীর সংখ্যা ৫৪ লাখ ৬৮ হাজার ২৭০ জন। মারা গেছেন ১ লাখ ৫৮ হাজার ৪৫৬ জন।

তালিকায় রাশিয়ার অবস্থান চতুর্থ। ফ্রান্স পঞ্চম। তালিকায় বাংলাদেশের অবস্থান ১৮তম।

গত বছরের ডিসেম্বরে চীনের উহানে প্রথম করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়।

চীনে করোনাভাইরাসে প্রথম রোগীর মৃত্যু হয় চলতি বছরের ৯ জানুয়ারি। তবে তার ঘোষণা আসে ১১ জানুয়ারি।

১৩ জানুয়ারি চীনের বাইরে প্রথম করোনা রোগী শনাক্ত হয় থাইল্যান্ডে। পরে বিভিন্ন দেশে করোনা ছড়িয়ে পড়ে।

করোনার প্রাদুর্ভাবের পরিপ্রেক্ষিতে ৩০ জানুয়ারি বৈশ্বিক স্বাস্থ্য জরুরি অবস্থা ঘোষণা করে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা।

চীনের বাইরে করোনায় প্রথম কোনো রোগীর মৃত্যুর ঘটনা ঘটে ফিলিপাইনে, ২ ফেব্রুয়ারি।

গত ১১ ফেব্রুয়ারি বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা করোনাভাইরাস থেকে সৃষ্ট রোগের নামকরণ করে ‘কোভিড-১৯’।

১১ মার্চ করোনাকে বৈশ্বিক মহামারি ঘোষণা করে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা।

বাংলাদেশ পরিস্থিতি

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের গতকাল বুধবারের তথ্য অনুযায়ী, গতকাল পর্যন্ত দেশে মোট নিশ্চিত আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৪ লাখ ৩ হাজার ৭৯। দেশে করোনায় মোট ৫ হাজার ৮৬১ জনের মৃত্যুর তথ্য নিশ্চিত করেছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। গতকাল পর্যন্ত মোট শনাক্ত রোগীর সংখ্যা বিবেচনায় দেশে করোনায় মৃত্যুর হার ১ দশমিক ৪৫ শতাংশ। আর সুস্থ হওয়ার হার ৭৯ দশমিক ৩২ শতাংশ।

গত ৮ মার্চ দেশে প্রথম করোনায় আক্রান্ত রোগী শনাক্তের খবর জানায় সরকার। শুরুর দিকে রোগী শনাক্তের হার কম ছিল। ক্রমে রোগী বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে পরীক্ষার বিপরীতে রোগী শনাক্তের হারও বাড়তে থাকে। মে মাসের শেষ সপ্তাহ থেকে রোগী শনাক্তের হার ২০ শতাংশের ওপরে চলে যায়। আগস্টের তৃতীয় সপ্তাহ পর্যন্ত শনাক্তের হার ২০ শতাংশের ওপরে ছিল। এরপর থেকে সেটি কমতে শুরু করেছিল। কিন্তু সেপ্টেম্বরের দ্বিতীয় সপ্তাহ থেকে এখন পর্যন্ত শনাক্তের হার অনেকটা এক জায়গাতেই আটকে আছে।