Thank you for trying Sticky AMP!!

দুর্নীতির মামলায় আর্জেন্টিনার ভাইস প্রেসিডেন্টের ৬ বছরের কারাদণ্ড

আর্জেন্টিনার ভাইস প্রেসিডেন্ট ক্রিস্টিনা ফার্নান্দেজ দে কির্চনার

দুর্নীতির মামলায় আর্জেন্টিনার ভাইস প্রেসিডেন্ট ক্রিস্টিনা ফার্নান্দেজ দে কির্চনারের ছয় বছরের কারাদণ্ড হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার দেশটির একটি আদালত এই রায় ঘোষণা করেন। খবর বিবিসির।

৬৯ বছর বয়সী ফার্নান্দেজকে প্রশাসনিক জালিয়াতির দায়ে দোষী সাব্যস্ত করা হয়েছে। আর্জেন্টিনার ইতিহাসে এই প্রথম দায়িত্বে থাকা অবস্থায় কোনো ভাইস প্রেসিডেন্ট অপরাধের দায়ে দোষী সাব্যস্ত হলেন।

সাজা হলেও ফার্নান্দেজকে এখন কারাগারে যেতে হচ্ছে না। কারণ, সরকারি পদবলে তিনি কিছুটা দায়মুক্তি পেয়ে থাকেন। এখন এই মামলা নিয়ে দীর্ঘ আপিলের প্রক্রিয়া শুরু হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

আদালত ফার্নান্দেজকে আজীবনের জন্য সরকারি পদে নিষিদ্ধও করেছেন। তবে উচ্চ আদালতে মামলার মীমাংসা না হওয়া পর্যন্ত তিনি ভাইস প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব চালিয়ে যেতে পারবেন।

ফার্নান্দেজ দুই মেয়াদে আর্জেন্টিনার প্রেসিডেন্ট ছিলেন। কৌঁসুলিরা বলেছেন, ২০০৭ থেকে ২০১৫ সাল পর্যন্ত আর্জেন্টিনার প্রেসিডেন্ট থাকাকালে ফার্নান্দেজ একটি অবৈধ অংশীদারত্বে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন। তখন তিনি একটি স্কিম গঠন করেছিলেন। স্কিমের আওতায় ঘুষের বিনিময়ে তিনি তাঁর এক বন্ধুকে লাভজনক সরকারি কাজ পাইয়ে দিয়েছিলেন।

ফার্নান্দেজ বলেছেন, তাঁর বিরুদ্ধে আনা অভিযোগগুলো রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। রায়ের পর তিনি নিজেকে ‘বিচারিক মাফিয়ার’ শিকার হিসেবে বর্ণনা করেছেন।

রায় ঘোষণার আগে ফার্নান্দেজ অভিযোগ করেন, তাঁর বিপক্ষের কৌঁসুলিরা মিথ্যা বলছেন। তাঁকে অপবাদ দিচ্ছেন।

কৌঁসুলিরা আদালতে ফার্নান্দেজের ১২ বছরের কারাদণ্ড চেয়েছিলেন। তবে বিচারক তাঁকে ৬ বছরের কারাদণ্ড দেন।

মামলায় একটি নির্মাণপ্রতিষ্ঠানের স্বত্বাধিকারী লাজারো বায়েজকে স্কিমটির প্রধান সুবিধাভোগী হিসেবে অভিযুক্ত করা হয়। তাঁকেও ৬ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। অর্থ পাচারের অপর একটি মামলায় এই ব্যবসায়ীকে গত বছর ১২ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়।

ফার্নান্দেজকে যে মামলায় সাজা দেওয়া হয়েছে, সেটিতে আরও ১১ জনকে বিচারের মুখোমুখি করা হয়েছিল। তাঁদের মধ্যে সাতজন দোষী সাব্যস্ত হন। তাঁদের সাড়ে তিন থেকে ছয় বছর পর্যন্ত কারাদণ্ড হয়েছে। তিনজন ছাড়া পেয়েছেন। একজনের বিরুদ্ধে মামলা খারিজ হয়েছে।

বিবিসি বলছে, ফার্নান্দেজ দেশটির উচ্চ আদালতে আপিল করবেন বলে ধারণা করা হচ্ছে। এই আপিল নিষ্পত্তি হতে দীর্ঘ সময় লাগতে পারে। আপিল নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত তিনি মুক্তভাবে চলাচল করতে পারবেন। মেয়াদ অনুযায়ী, স্বপদেও বহাল থাকতে পারবেন। এই সুযোগ কাজে লাগিয়ে ফার্নান্দেজ ২০২৩ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন বলে ধারণা করা হচ্ছে।

Also Read: ভাইস প্রেসিডেন্টকে হত্যাচেষ্টার পর আর্জেন্টিনায় ফুটবল ম্যাচ স্থগিত