Thank you for trying Sticky AMP!!

অবৈধ অভিবাসীদের তাড়াতে শিগগিরই বড় অভিযান: ট্রাম্প

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। ছবি: এএফপি

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছেন, তাঁর দেশে বসবাসরত অবৈধ অভিবাসীদের তাড়াতে শিগগিরই অভিযান শুরু হবে। গত শুক্রবার হোয়াইট হাউসে সাংবাদিকদের তিনি এ তথ্য জানান। তবে ট্রাম্পের এই ঘোষণায় উদ্বিগ্ন না হয়ে সতর্ক থাকার জন্য অভিবাসীদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে অভিবাসীদের নিয়ে কাজ করা সংগঠনগুলো।

প্রথম থেকেই অভিবাসনীতির প্রশ্নে কঠোর ট্রাম্প। ২০২০ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনেও অভিবাসন বিষয়ে নিজের কঠোর অবস্থানের কথা তুলে নির্বাচনী বৈতরণি পার হওয়ার চেষ্টায় ট্রাম্প। যদিও অবৈধ

অভিবাসীদের তাড়াতে ট্রাম্প প্রশাসন বড় ধরনের অভিযানের পরিকল্পনা নেয় গত মাসে। তবে অভিযানের দিনক্ষণ ফাঁস হয়ে যাওয়ার পর তা স্থগিত করা হয়। গত সোমবার ট্রাম্প বলেছিলেন, ৪ জুলাইয়ের পর ওই অভিযান শুরু হচ্ছে। শুক্রবার সেই অভিযানের বিষয়ে আবারও কথা বললেন ট্রাম্প। তিনি বলেন, ‘তাঁরা (অভিবাসন কর্মকর্তারা) শিগগিরই শুরু করবেন। তবে এটাকে আমরা অভিযান বলতে চাই না। বছরের পর বছর ধরে যাঁরা অবৈধভাবে (যুক্তরাষ্ট্রে) এসেছেন, আমরা তাঁদের বিতাড়ন করছি।’

তবে গত মাসে মার্কিন অভিবাসন ও শুল্ক বাহিনী (আইসিই) জানায়, দেশের দক্ষিণ–পশ্চিম সীমান্ত দিয়ে যুক্তরাষ্ট্রে আসতে চাওয়া অভিবাসনপ্রত্যাশীদের নিরুৎসাহিত করতেই সম্প্রতি পৌঁছানো কাগজপত্রহীন অভিবাসীদের লক্ষ্য করেই এই অভিযান চালানো হবে।

এক বিবৃতিতে আইসিই জানায়, অপরাধের সঙ্গে জড়িত, এমন লোকদের গ্রেপ্তার করাই তাদের লক্ষ্য। তবে কোনো অভিবাসী যদি যুক্তরাষ্ট্রের কোনো আইন লঙ্ঘন করেন, তাহলে তাঁকেও গ্রেপ্তার করা হবে।

তবে অতীতে আইসিইর পরিচালিত অভিযানের সরকারি নথির তথ্যের বরাত দিয়ে অভিবাসীদের অধিকার নিয়ে কাজ করা সংগঠনগুলো বলেছে, অপরাধীদের ধরার কথা বলা হলেও কর্মকর্তারা ‘নির্বিচারে’ কাগজপত্রহীন অভিবাসীদের গ্রেপ্তারের ঘটনা বেশি ঘটেছে। অভিবাসনবিষয়ক সংগঠনগুলো বলেছে, প্রশাসনের এ রকম হুমকি অভিবাসী সম্প্রদায় ও যুক্তরাষ্ট্রের অর্থনীতির জন্য ক্ষতিকর। কারণ, অভিযানের সময় তুলে নিয়ে যাওয়ার ভয়ে অনেক প্রাপ্তবয়স্কই কাজে যেতে চান না। পরিবার থেকে বিচ্ছিন্ন হওয়ার ঝুঁকির কারণে শিশুদেরও স্কুলে পাঠান না অনেক মা–বাবা।

অভিবাসীদের বিরুদ্ধে নিরাপত্তা বাহিনীর অভিযান চালানোর বিষয়ে বার্তা পাঠানোসহ বিভিন্ন কাজে সহায়তা করে নিউ মেক্সিকোর সংগঠন সোমোস উন পুয়েবলো উনিদোর। সংগঠনটির সংগঠক এলসা লোপেজ বলেন, ‘ট্রাম্পের ঘোষণার পরপরই নয়, আমাদের সব সময়ই প্রস্তুত থাকতে হবে। কেননা প্রতিদিনই গ্রেপ্তার হচ্ছে।’

যুক্তরাষ্ট্রের দক্ষিণ–পশ্চিম সীমান্তে ১৩ বছরের মধ্যে মে মাসে সবচেয়ে বেশি অভিবাসনপ্রত্যাশীকে আটক করে মার্কিন প্রশাসন। সীমান্তে এই বিরাটসংখ্যক অভিবাসীর এই চাপ দেখে ট্রাম্প প্রশাসন অবৈধ অভিবাসনবিরোধী অভিযান চালাতে উঠেপড়ে লেগেছে।