Thank you for trying Sticky AMP!!

আদালতে নিজেকে নির্দোষ দাবি আকায়েদের

আকায়েদ উল্লাহ

নিউইয়র্ক নগরের ম্যানহাটনে সাবওয়েতে বোমা হামলার অভিযোগে গ্রেপ্তার হওয়া বাংলাদেশি আকায়েদ উল্লাহ নিজেকে নির্দোষ দাবি করেছেন। ডিসেম্বরে ম্যানহাটনে এই বোমা হামলা হয়। ওই হামলার দায়ে আনা সন্ত্রাসবাদের অভিযোগ ১১ জানুয়ারি অস্বীকার করেন আকায়েদ।

এ বিষয়ে বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়, ১১ জানুয়ারি ম্যানহাটনের ফেডারেল আদালতে হাজির করা হয় আকায়েদ উল্লাহকে। বিচারক রিচার্ড সুলিভানের সামনে তাঁকে হাজির করা হলে শুরুতেই হামলার দায় স্বীকার করছেন কিনা প্রশ্ন করা হয় আকায়েদকে। এর উত্তরে আকায়েদ বলেন, ‘এই মুহূর্তে, দোষী নই।’
পুলিশ বলছে, গত ১১ ডিসেম্বর নিউইয়র্ক নগরের একটি পদচারী টানেলে নিজের শরীরে বাঁধা পাইপ বোমা বিস্ফোরণের চেষ্টা করেন আকায়েদ। টাইমস স্কয়ারের কাছে ওই ব্যস্ত টানেলের সঙ্গে নিকটবর্তী পোর্ট অথোরিটি বাস টার্মিনালের সংযোগ রয়েছে। কিন্তু হামলাটি ঠিকভাবে করতে পারেননি আকায়েদ। নিজেই আহত হন। এ ছাড়া আরও তিনজন আহত হন। পরে আকায়েদকে ঘটনাস্থল থেকেই গ্রেপ্তার করা হয়। তাঁকে বর্তমানে ম্যানহাটনের মেট্রোপলিটন কারেকশনাল সেন্টারে আটক রাখা হয়েছে।
১৩ ডিসেম্বর নথিভুক্ত তথ্যে পুলিশ জানায়, আকায়েদ পুলিশের কাছে বলেছেন, তিনি এই কাজ করেছেন ইসলামিক স্টেটের (আইএস) হয়ে। যদিও তাঁর সঙ্গে আইএসের কোনো সরাসরি সংযোগ নেই।
আকায়েদের এই হামলার বিষয়ে গত ডিসেম্বরে বাংলাদেশ পুলিশের কাউন্টার টেররিজম ইউনিটের প্রধান মনিরুল ইসলাম রয়টার্সকে বলেছিলেন, দেশের কোনো জঙ্গীগোষ্ঠীর সঙ্গে আকায়েদের কোনো সম্পর্কের হদিস পাওয়া যায়নি।
আকায়েদের বিরুদ্ধে বিদেশি সন্ত্রাসী সংগঠনকে সমর্থন, গণবিধ্বংসী অস্ত্র বহন, গণপরিবহন ব্যবস্থায় সন্ত্রাসী হামলা পরিচালনার অভিযোগ আনা হয়। এসব অভিযোগে দোষী সাব্যস্ত হলে আকায়েদের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড হতে পারে।
১১ জানুয়ারি আকায়েদকে আদালতে হাজির করে তদন্ত কর্মকর্তারা জানান, আকায়েদ বাংলাদেশ থেকে ২০১১ সালে আমেরিকায় আসেন। ২০১৪ সাল থেকে অনলাইনে আইএসের সমর্থনে বিভিন্ন তথ্য পড়ে নিজে থেকেই কট্টরপন্থার দিকে ঝুঁকে পড়েন। এমনকি আকায়েদের পাসপোর্টেও তাঁর কট্টরবাদী মনোভাবের স্বাক্ষর রয়েছে। তাঁর পাসপোর্টের ওপর লেখা ছিল, ‘ও আমেরিকা, নিজের আগুনেই পুড়ে মরো।’