Thank you for trying Sticky AMP!!

ইথিওপিয়ার বিধ্বস্ত বিমানের ব্ল্যাকবক্স যাবে ইউরোপে

বিধ্বস্ত ইথিওপীয় উড়োজাহাজের ধ্বংসাবশেষ। ছবি: বিবিসির সৌজন্যে

বিধ্বস্ত ইথিওপিয়ান এয়ারলাইনসের উড়োজাহাজটির দুটি ব্ল্যাকবক্সের তথ্য বিশ্লেষণের জন্য ইউরোপে পাঠানো হবে। এয়ারলাইনসের মুখপাত্র আশরাত বেগোশো বার্তা সংস্থা এএফপিকে আজ বুধবার এ তথ্য জানান।

আশরাত বেগোশো বলেন, ‘আমরা এগুলো ইউরোপে পাঠাতে যাচ্ছি। তবে কোন দেশে পাঠানো হবে, তা এখনো নিশ্চিত নয়। আমরা এখনো কোনো দেশ বাছাই করিনি।’

এর আগে এয়ারলাইনসটি জানিয়েছিল ব্ল্যাকবক্সের ডেটা বিশ্লেষণ করার মতো যন্ত্রপাতি ইথিওপিয়ার নেই।

ইথিওপিয়ার রাজধানী আদ্দিস আবাবা থেকে গত রোববার ইথিওপিয়ান এয়ারলাইনসের বোয়িং ৭৩৭ ম্যাক্স সিরিজের একটি বিমান উড্ডয়নের কয়েক মিনিট পর বিধ্বস্ত হয়। এতে যাত্রী এবং ক্রুসহ ১৫৭ জন নিহত হন। এ ছাড়া গত বছরের অক্টোবরে লায়ন এয়ারের একই মডেলের একটি উড়োজাহাজ ইন্দোনেশিয়ায় বিধ্বস্ত হয়। এতে ১৮৯ আরোহী নিহত হন।

উড়োজাহাজে যে ব্ল্যাকবক্সে ফ্লাইটের ডেটা এবং ককপিটের সঙ্গে কথোপকথনের তথ্য সংরক্ষিত থাকে, ওই ব্ল্যাকবক্স থেকেই জানা যাবে কী কারণে ইথিওপিয়ান এয়ারলাইনসের বিমানটি বিধ্বস্ত হয়েছে। এটা পাইলটের ভুলে, না কারিগরি কোনো কারণ, নাকি দুইয়ে মিলে এ দুর্ঘটনা ঘটেছে, তা-ও জানা যাবে ব্ল্যাকবক্সের তথ্য থেকে।

এদিকে ইথিওপিয়ান এয়ারলাইনসের প্রধান নির্বাহী টিউয়েওল্ড গ্যাব্রিমারিয়াম সাংবাদিকদের বলেছিলেন, পাইলট বলেছিলেন, তিনি অসুবিধায় পড়েছেন। তিনি ফিরে আসতে চান। তাঁকে ক্লিয়ারেন্স দেওয়া হয়েছিল। ওই ফ্লাইটের সময় আবহাওয়াও ভালো ছিল।

সাম্প্রতিক এ দুর্ঘটনার পর নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে, যা যুক্তরাষ্ট্রের উড়োজাহাজ নির্মাতা প্রতিষ্ঠান বোয়িংয়ের ভবিষ্যৎ পরিকল্পনাকে সংকটের মধ্যে ফেলে দিচ্ছে। এরই মধ্যে যাত্রী নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে নিজেদের আকাশসীমায় যুক্তরাষ্ট্রের তৈরি এই উড়োজাহাজ নিষিদ্ধ করার ঘোষণা দিয়েছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ), ভারত, মিসর, গ্রিস, সিঙ্গাপুর, চীন, ইন্দোনেশিয়া, মালয়েশিয়া, নিউজিল্যান্ড, কুয়েত, ওমান, সংযুক্ত আরব আমিরাত, নামিবিয়া, সার্বিয়া, দক্ষিণ কোরিয়া, অস্ট্রেলিয়া, ফ্রান্স, জার্মানি ও যুক্তরাজ্য।

যুক্তরাষ্ট্রের বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ অবশ্য বলছে, বোয়িংয়ের এই মডেল নিরাপদ নয়-এই সিদ্ধান্ত নেওয়ার সময় এখনো আসেনি। এটি উড্ডয়নের জন্য নিরাপদ।