Thank you for trying Sticky AMP!!

ইরানের সঙ্গে বাণিজ্যে ইউরোপীয় দেশগুলোকে যুক্তরাষ্ট্র ছাড় দেবে না

ইরানের জ্বালানি খাতে ইউরোপীয় কোম্পানিগুলো ব্যাপক বিনিয়োগ রয়েছে। ছবি: এএফপি

ইউরোপিয়ান কোম্পানিগুলোকে ইরানের বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞা থেকে ছাড় দেওয়ার জন্য ইউরোপীয় ইউনিয়নের উচ্চপর্যায়ের অনুরোধ যুক্তরাষ্ট্র প্রত্যাখ্যান করেছে। আজ সোমবার বিবিসি অনলাইনের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।

ইউরোপিয়ান রাষ্ট্রগুলোর কাছে এক চিঠিতে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পেও বলেন, যুক্তরাষ্ট্র অনুরোধ প্রত্যাখ্যান করেছে। কারণ, দেশটি ইরানের ওপর সর্বোচ্চ চাপ প্রয়োগ করতে চায়।

চিঠিতে বলা হয়, ছাড় শুধু তখনই মঞ্জুর করা হবে, যখন তা যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তার জন্য লাভজনক হবে।

ইইউ আশঙ্কা করে, ওয়াশিংটনের নতুন নিষেধাজ্ঞাগুলোর কারণে কোটি কোটি ডলারের বাণিজ্য ঝুঁকিতে পড়তে পারে। ইউরোপীয় কোম্পানিগুলো ইরানের জ্বালানি খাতে ব্যাপকভাবে বিনিয়োগ করেছে।

এনবিসির বরাতে বিবিসি জানায়, চিঠিতে বলা হয়েছে, ‘আমরা ইরানের শাসকদের ওপর নজিরবিহীন অর্থনৈতিক চাপ প্রয়োগ করতে চাই।’ এতে আরও বলা হয়েছে খুব বিশেষ পরিস্থিতির সৃষ্টি না হলে যুক্তরাষ্ট্র তার অবস্থান থেকে সরে আসবে না। চিঠিতে যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্যমন্ত্রী স্টিভেন ম্যনুচিনের স্বাক্ষরও আছে।

২০১৫ সালে যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, ফ্রান্স, চীন, রাশিয়া ও জার্মানি পারমাণবিক চুক্তি করেছিল ইরানের সঙ্গে। বারাক ওবামা তখন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ছিলেন। চুক্তির মূল বিষয় ছিল ইরান পরমাণু কার্যক্রম বন্ধ রাখবে এবং আন্তর্জাতিক পরমাণু শক্তি কমিশন ইরানের যেকোনো পরমাণু স্থাপনায় যেকোনো সময় পরিদর্শন করতে পারবে। অর্থাৎ ইরান যাতে পারমাণবিক অস্ত্র তৈরি করতে না পারে, সে জন্য আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় ইরানকে নজরদারির মধ্যে রাখতে পারবে। এর বিনিময়ে ইরানের ওপর থেকে অর্থনৈতিক অবরোধ তুলে নেওয়া হয়েছিল।

কিন্তু ডোনাল্ড ট্রাম্প আমেরিকার পক্ষ থেকে আবার নতুন করে অর্থনৈতিক অবরোধ আরোপ করেছেন ইরানের ওপর। গত মে মাসে ইরানের সঙ্গে পারমাণবিক চুক্তি থেকে যুক্তরাষ্ট্র নিজেদের প্রত্যাহার করে নেন। ইরানের সঙ্গে পরমাণু চুক্তি থেকে যুক্তরাষ্ট্র যাতে সরে না যায়, সে জন্য ব্রিটেন, ফ্রান্স ও জার্মানি ট্রাম্পকে বোঝানোর চেষ্টা করছিলেন, তবে তারা ব্যর্থ হয়।