Thank you for trying Sticky AMP!!

উদ্দেশ্য রাজনৈতিক: ট্রাম্প

ডোনাল্ড ট্রাম্প

রিপাবলিকান-নিয়ন্ত্রিত মার্কিন কংগ্রেসের গোয়েন্দাবিষয়ক কমিটির প্রধান ডেভিন নুনেসের তৈরি সাড়ে তিন পাতার একটি নথি প্রকাশ নিয়ে ওয়াশিংটনে এখন তুলকালাম কাণ্ড চলছে। ‘নুনেস মেমো’ নামে পরিচিত বিতর্কিত এই নথি গত শুক্রবার প্রকাশ করা হয়েছে। এই নথির মোদ্দা কথা, ২০১৬ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ট্রাম্প শিবিরের সঙ্গে রাশিয়ার আঁতাত নিয়ে বিশেষ কৌঁসুলি রবার্ট মুলার যে তদন্ত করছেন, তা আদ্যোপান্ত রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত এবং ট্রাম্পের প্রতি বিদ্বেষপ্রসূত। সে অভিযোগে ট্রাম্প এখনই মুলারের পদচ্যুতি দাবি করেননি, তবে এই নথি সেই উদ্দেশ্যে একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ—এ কথা এখন অনেকেই বলছেন।

এই নথিতে বলা হয়েছে, ২০১৬ সালের অক্টোবর মাসে ট্রাম্পের প্রচার শিবিরের সদস্য কার্টার পেজের ওপর নজরদারি করার জন্য ফাইসা নামে পরিচিত বিশেষ গোয়েন্দা আদালতের অনুমতি গ্রহণের সময় এফবিআই যে তথ্য ব্যবহার করে, তা যে ট্রাম্পের প্রতি বিদ্বেষপ্রসূত, সে কথা আদালতকে জানানো হয়নি। সে তথ্যের উৎস ছিল সাবেক ব্রিটিশ গোয়েন্দা ক্রিস্টোফার স্টিলের তৈরি তথাকথিত ‘স্টিল ডসিয়ার’। শুরুতে এই ডসিয়ার প্রস্তুতের জন্য স্টিলকে দায়িত্ব দেন ট্রাম্পবিরোধী একদল রিপাবলিকান, পরে এর অর্থায়ন আসে নির্বাচনে ট্রাম্পের প্রতিদ্বন্দ্বী ডেমোক্রেটিক পার্টির হিলারি ক্লিনটনের শিবির থেকে। স্টিল একসময় নাকি বলেছিলেন, তিনি চান না ট্রাম্প প্রেসিডেন্ট হোন। কিন্তু ফাইসা আদালতের বিচারককে সে কথা জানানো হয়নি। এতএব এই তথ্য গোপন করার দায় এফবিআইয়ের, তাদের ওপর ভরসা করা যায় না।

নুনেস মেমোতে দায়িত্ব পালনে ব্যর্থতার জন্য যেসব এফবিআই ও বিচার বিভাগীয় কর্মকর্তার নাম উল্লেখ করা হয়েছে, তাঁদের অন্যতম হলেন চলতি ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল রড রোজেনস্টাইন। ট্রাম্প বলেছেন, এই মেমো থেকে স্পষ্ট, বিচার বিভাগ ও এফবিআইতে এমন অনেকে আছেন, যাঁদের ব্যবহার ‘জঘন্য’ ও নিন্দনীয়।

এই মেমোতে গোপনীয় তথ্য ব্যবহৃত হয়েছে এবং অনেক ক্ষেত্রে সে তথ্যের বিকৃত ব্যবহার হয়েছে—এই যুক্তিতে এফবিআইপ্রধান ক্রিস্টোফার রে তা প্রকাশের বিরুদ্ধে জোর দাবি করেছিলেন। ট্রাম্প তাতে সম্মত না হলে এফবিআই এক বিবৃতিতে এর প্রকাশ অত্যন্ত ক্ষতিকর বলে উল্লেখ করে।

নুনেস মেমোর বিরুদ্ধে কঠোর ভাষায় নিন্দা করেছে বিরোধী ডেমোক্রেটিক নেতৃত্ব।

এই মেমো প্রকাশের ব্যাপারে ট্রাম্প প্রশাসনের আগ্রহের মূল কারণ, তারা ভেবেছিল এর মাধ্যমে প্রমাণ সম্ভব যে মুলারের তদন্ত পক্ষপাতদুষ্ট, সে কারণে তা বাতিল করা যেতে পারে। কিন্তু বাস্তবে দেখা যাচ্ছে, এই মেমোতেই বলা আছে স্টিল ডসিয়ার প্রস্তুতের দুই বছর আগে থেকেই রাশিয়ার সঙ্গে যোগসাজশ আছে এই সন্দেহে এফবিআই কার্টার পেজের ওপর নজর রেখেছিল।

নুনেস মেমো ব্যবহার করে ট্রাম্প যে রড রোজেন্সটাইনকে পদচ্যুত করতে চান, তাতে কোনো সন্দেহ নেই। তবে তাঁর লক্ষ্য রোজেনস্টাইন নয়, রবার্ট মুলার। সাংবাদিকেরা ট্রাম্পের কাছে জানতে চান রোজেনস্টাইনকে বরখাস্ত করবেন কি না। জবাবে ট্রাম্প বলেন, ‘এর উত্তর আপনারা নিজেরাই ভেবে দেখুন।’