Thank you for trying Sticky AMP!!

এবার 'এশিয়ান লাইভস ম্যাটার' আন্দোলন

স্বপ্নের মতো এক নগরী নিউইয়র্ক। আলো ঝলমল এই নগরী রাতেও মোহনীয়। কিন্তু এখন যেন বিষাদের প্রতিমা। প্রথমে মহামারি করোনার ছোবল, এরপর জর্জ ফ্লয়েডের মৃত্যুর পর ঘনিয়ে ওঠা আন্দোলন। যে আন্দোলন শেষ হলো এনওয়াইপিডির সংস্কারের মধ্য দিয়ে। ব্ল্যাক লাইভস ম্যাটারের পর এখন ঘনিয়ে উঠেছে এশিয়ান লাইভস ম্যাটার আন্দোলন। এখন এই নগরী পরিণত হয়েছে এক ত্রাসের নগরীতে। এখানে প্রতিদিন গুলিতে মানুষের মৃত্যু হচ্ছে। প্রতিনিয়ত ঘটছে সহিংসতা। রাস্তাঘাট আর নিরাপদ নেই।

এদিকে কাজকর্ম বন্ধ থাকলেও বেকার ভাতা ছিল। জুলাই মাসের পর সেটাও বন্ধ হয়ে যাচ্ছে। কর্মহীন মানুষ চুরি করছে। বেপরোয়া হয়ে উঠেছে। সামাজিক দূরত্ব থেকে মানুষের মধ্যে যে হতাশা সৃষ্টি হয়েছে তার কারণে মানুষের মধ্যে উচ্ছৃঙ্খলভাব চলে এসেছে। সেক্সুয়াল ডিসটেনস থেকে যে ডিপ্রেশন তৈরি হয় এও অন্যতম ভয়াবহ হোম ভায়োলেন্সের কারণ। অর্থনৈতিক মন্দা এবং সামাজিক ও সেক্সুয়াল দূরত্ব থেকে মানুষের মনে যে বিবমিষা সৃষ্টি হচ্ছে, তার থেকে ঘটছে বিভিন্ন ধরনের দুর্ঘটনা। সমাজবিজ্ঞানী ও মনোবিজ্ঞানীরা বিষয়গুলো নিয়ে কাজ করে চলেছেন। বিভিন্ন বয়সী মানুষের মনে এর প্রতিক্রিয়াও ভিন্ন।

অর্থনৈতিক নিশ্চয়তা না থাকলেই মানুষ নানা ধরনের অপরাধ করবে, চুরি করবে। ভিক্ষাবৃত্তি বাড়বে। বিশাল একটা অংশ কাজ হারাচ্ছেন। বেকার ভাতা দেওয়া শেষ হবে এ মাসেই। এখনো রিপাবলিকান আর ডেমোক্রেটিক দলের টানাপোড়েন চলেছে। আজ কালের মধ্যে সিদ্ধান্ত আসবে বেকার ভাতা আবার কেমন হারে হতে পারে। তবে মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনকে সামনে রেখে কোনো হঠকারী সিদ্ধান্ত আসবে না, এমনটি আশা করা যায়।