Thank you for trying Sticky AMP!!

করোনাভাইরাস সংক্রমণের দিকে নজর মার্কিন গোয়েন্দাদের

করোনাভাইরাস মোকাবিলায় বিভিন্ন দেশের গৃহীত পদক্ষেপ, ভাইরাসটির সংক্রমণ ও এটি মোকাবিলায় বিভিন্ন দেশের সরকারের সক্ষমতার বিষয়টির দিকে নজর রাখছে মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থাগুলো। ছবি: রয়টার্স

বিশ্বের প্রায় ৫০টি দেশে করোনাভাইরাস ছড়িয়ে পড়েছে। এ অবস্থায় করোনাভাইরাস মোকাবিলায় বিভিন্ন দেশের গৃহীত পদক্ষেপ, ভাইরাসটির সংক্রমণ ও এটি মোকাবিলায় বিভিন্ন দেশের সরকারের সক্ষমতার বিষয়টির দিকে নজর রাখছে মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থাগুলো। সংশ্লিষ্ট সূত্রের বরাত দিয়ে আজ শুক্রবার তথ্যটি জানিয়েছে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি।

এনডিটিভির খবরে বলা হয়, মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থাগুলো করোনাভাইরাস মোকাবিলায় ভারতের সক্ষমতা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। এখন পর্যন্ত ভারতে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত গুটিকয়েক ব্যক্তি শনাক্ত হয়েছে। এর মধ্যে সবাই চিকিৎসা নিয়ে সুস্থ হয়েছে। তারপরও মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থাগুলো মূলত জনসংখ্যার ঘনত্বের বিচারেই ভারত নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে।

কোভিড-১৯ নামের এ করোনাভাইরাস মোকাবিলায় সক্ষমতা রয়েছে কি না, সে বিবেচনা থেকে যুক্তরাষ্ট্র নজর রেখেছে ইরানের দিকেও। ইরানের উপস্বাস্থ্যমন্ত্রী নিজেই তাঁর করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার খবরটি জানিয়েছিলেন। দেশটিতে এরই মধ্যে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে ৩৪ জন মারা গেছে। আক্রান্তের সংখ্যা চার শ ছুঁইছুঁই। আজই খবর এসেছে যে দেশটির ভাইস প্রেসিডেন্টও আতঙ্ক জাগানিয়া এ ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন।

গত মঙ্গলবার ইরানের বিষয়ে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পেও উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেন, করোনাভাইরাসের সংক্রমণের বিষয়ে তেহরান তথ্য গোপন করছে মর্মে যুক্তরাষ্ট্রের সংশয় রয়েছে। এর সংক্রমণ ঠেকাতে ইরানের সক্ষমতাতেও ঘাটতি রয়েছে বলে মার্কিন সরকারের আরেকটি সূত্র উল্লেখ করেছে।

এ–সম্পর্কিত আরেকটি সূত্রের বরাত দিয়ে এনডিটিভি বলেছে, ভাইরাসটির সংক্রমণ ঠেকাতে আরও কিছু উন্নয়নশীল দেশের সরকারের সক্ষমতা নিয়ে যুক্তরাষ্ট্র উদ্বিগ্ন। এ নিয়ে দেশটির গোয়েন্দা সংস্থাগুলো প্রতিনিয়ত তথ্য সংগ্রহ করছে এবং তা সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে অবহিত করছে।

মার্কিন প্রতিনিধি পরিষদের ইন্টেলিজেন্স কমিটির এক কর্মকর্তা বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে বলেন, গুপ্তচর সংস্থাগুলো করোনাভাইরাস–সম্পর্কিত বিভিন্ন তথ্য হাউস ইনটেলিজেন্স কমিটির সামনে তুলে ধরেছে। প্রতিদিনই এ–সম্পর্কিত বিভিন্ন তথ্য কমিটির সামনে তুলে ধরা হচ্ছে। জাতীয় নিরাপত্তা ও অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে এর গুরুতর প্রভাব বিবেচনায় এ কমিটি করোনাভাইরাস মোকাবিলায় বৈশ্বিক উদ্যোগ গ্রহণের চেষ্টার পাশাপাশি বিশ্বের বিভিন্ন দেশের সরকারের এ ক্ষেত্রে গৃহীত পদক্ষেপের দিকে নজর রাখছে।

করোনাভাইরাস ছড়িয়ে পড়ার কারণে সৃষ্ট পরিস্থিতিতে যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিনিধি পরিষদ ও সিনেটের ইন্টেলিজেন্স কমিটির সঙ্গে দেশটির গোয়েন্দা ও গুপ্তচর সংস্থাগুলো কাজ করছে। এগুলো একই সঙ্গে সেন্টারস ফর ডিজিজ কন্ট্রোলসহ (সিডিসি) মার্কিন স্বাস্থ্য সংস্থাগুলোর সঙ্গেও কাজ করছে। এমনকি এ–সম্পর্কিত তথ্য পেতে ছদ্মবেশে কর্মী নিয়োগ থেকে শুরু করে আড়িপাতার কাজও করা হচ্ছে।