কাশ্মীর সমস্যার মধ্যস্থতায় মোদি সাহায্য চেয়েছিলেন: ট্রাম্প
প্রথমবারের মতো মুখোমুখি বৈঠক করলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান। বৈঠকে ট্রাম্প বলেন, কাশ্মীর সমস্যার মধ্যস্থতা করতে ভারতে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি তাঁকে প্রস্তাব দিয়েছেন। ট্রাম্পও সে প্রস্তাবে আগ্রহ প্রকাশ করেছেন। গতকাল সোমবার হোয়াইট হাউসে বৈঠক করেন এই দুই নেতা।
বৈঠকে আফগানিস্তানে যুদ্ধ অবসানের লক্ষ্যে দুই দেশ যৌথভাবে চেষ্টা চালাবে বলেও জানান তাঁরা। বিবিসি অনলাইনের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।
ট্রাম্প জানান, ভারত–পাকিস্তানের মধ্যে ৭০ বছর ধরে চলা কাশ্মীর সমস্যা অবসানের লক্ষ্যে মধ্যস্থতাকারী হিসেবে থাকতে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির প্রস্তাব গ্রহণ করেছেন তিনি। তিনি বলেন, ‘যদি সাহায্য করতে পারি, তবে মধ্যস্থতাকারী হতেই পছন্দ করব। আমার যদি এখানে কোনো ভূমিকা থাকে, তাহলে আমাকে জানাবেন।’
গত শনিবার তিন দিনের সরকারি সফরে ওয়াশিংটন পৌঁছান ইমরান খান। দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক উন্নয়নই এ সফরের প্রধান লক্ষ্য। এর আগে গত বছরের শুরুর দিকে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে সন্ত্রাস দমন নিয়ে মিথ্যা বলার অভিযোগ করে দেশটিতে সাহায্য কমিয়েছিলেন ট্রাম্প। এর প্রতিক্রিয়ায় ইমরান খানও বিরূপ মন্তব্য করেছিলেন। তবে এবার ট্রাম্প পাকিস্তান সরকারের প্রশংসা করার পাশাপাশি ইমরান খানের নেতৃত্বেরও প্রশংসা করেন।
বৈঠকে আফগানিস্তান যুদ্ধের বিষয়ে ট্রাম্প বলেন, রাজনৈতিক আলোচনার মাধ্যমে পাকিস্তান আফগানিস্থানে মার্কিন সৈন্য প্রত্যাহারে সাহায্য করেছে। মার্কিন প্রেসিডেন্ট বলেন, চাইলে ১০ দিনেই আফগানিস্থান যুদ্ধে জিতে যেতে পারে যুক্তরাষ্ট্র। তবে লাখ লাখ মানুষ হত্যা করতে চান না তিনি। আফগান শান্তিপ্রক্রিয়ায় অগ্রগতি সাধনের জন্য এবং পাকিস্তানের অভ্যন্তরে চরমপন্থীদের বিরুদ্ধে দমন অভিযান চালানোর জন্য পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রীর ওপর চাপ প্রয়োগ করতে চেয়েছিলেন তিনি।
ইমরান খান বলেন, আফগানিস্তানে কোনো সামরিক সমাধান নেই। যদি সামরিক বাহিনী নিয়ে যাওয়া হয়, লাখ লাখ মানুষ মারা পড়বে।
আরও পড়ুন
-
শিশু পাচার ও নির্যাতনের অভিযোগে মিল্টন সমাদ্দারের বিরুদ্ধে আরও দুই মামলা
-
তাপপ্রবাহে যশোরে মহাসড়কের বিটুমিন গলার ঘটনা তদন্তে দুদক
-
যুক্তরাষ্ট্রে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে বিক্ষোভ দমনে যা করছে পুলিশ
-
মুঠোফোন কানে পার হচ্ছিলেন রেললাইন, ট্রেনের ধাক্কায় প্রাণ গেল যুবকের
-
আমাকে উৎখাত করলে পরবর্তীতে কে আসবে, প্রশ্ন প্রধানমন্ত্রীর