Thank you for trying Sticky AMP!!

কৃষ্ণাঙ্গ হত্যায় আটলান্টায় বিক্ষোভ, সিএনএন কার্যালয় ভাঙচুর

আটলান্টায় সিএনএনের প্রধান কার্যালয়ের জানালা ও লোগো ভাঙচুর করেন বিক্ষোভকারীরা। ছবি: রয়টার্স

মিনেসোটা অঙ্গরাজ্যের মিনেপোলিস শহরে পুলিশের নির্যাতনে জর্জ ফ্লয়েড (৪৬) নামের এক কৃষ্ণাঙ্গের মৃত্যুর প্রতিবাদে আটলান্টায় বিক্ষোভ হয়েছে। ২৯ মে এ সময় আটলান্টায় সিএনএনের প্রধান কার্যালয় ভাঙচুর ও পুলিশের গাড়িয়ে আগুন ধরিয়ে দেন বিক্ষোভকারীরা। আটলান্টা ছাড়াও আমেরিকার অন্যান্য শহরেও জর্জ ফ্লয়েড হত্যার প্রতিবাদে বিক্ষোভ হয়েছে।

জানা গেছে, বিক্ষোভকারীরা পুলিশের কয়েকটা গাড়ি ভাঙচুর, জাতীয় পতাকায় আগুন এবং আটলান্টায় একটি রেস্টুরেন্টে ভাঙচুর চালিয়েছেন। একই সময়ে অন্য আরেকটি বিক্ষোভকারী দল স্থানীয় লিনক্স মলেও বিক্ষোভ করে।

জর্জ ফ্লয়েডকে হত্যার বিচারের দাবিতে বিক্ষোভের সময় মিনেসোটা, নিউইয়র্ক এবং আটলান্টায় পুলিশের সঙ্গে বিক্ষোভকারীদের সংঘর্ষ হয়েছে। লস অ্যাঞ্জেলস থেকে শুরু করে নিউইয়র্কেও শুরুর দিকে বিক্ষোভকারীরা শান্তিপূর্ণভাবে নিজেদের দাবি তুলে ধরেছেন। তবে সিএনএনের প্রধান কার্যালয়ের সামনে পুলিশের গাড়িতে অগ্নিসংযোগ করেন বিক্ষোভকারীরা। এ সময় পুলিশের কয়েকটি গাড়ি ও আমেরিকার জাতীয় পতাকা পুড়িয়ে দেওয়া হয়। পরে আটলান্টায় সিএনএনের প্রধান কার্যালয়ের জানালা ও লোগো ভাঙচুর করেন বিক্ষোভকারীরা।

এদিকে বিক্ষোভকারীরা জমায়েত হতেই হোয়াইট হাউস লকডাউন করে দেওয়া হয়। পরিস্থিতি বিবেচনা করে মিনেসোটার গভর্নর কারফিউ জারি করেন। ২৮ মে রাতে পুলিশ কাঁদানে গ্যাস নিক্ষেপ করলে পুলিশ স্টেশনে পেট্রোল ঢেলে দিয়ে আগুন লাগিয়ে দেন বিক্ষোভকারীরা। বিক্ষোভকারীদের ফিরে যেতে সিটি অব আটলান্টার মেয়র কেইশা ল্যান্স বটমস বক্তব্য দেন।

আটলান্টায় সিএনএনের প্রধান কার্যালয়ের কাছে পুলিশের গাড়িতে আগুন ধরিয়ে দিয়েছেন বিক্ষোভকারীরা। ছবি: রয়টার্স

বিক্ষোভকারীদের দাবি, পুলিশ কারও সঙ্গে এমন নির্মম আচরণ করতে পারে না। সেই সঙ্গে আমেরিকায় বসবাসরত কৃষ্ণাঙ্গদের ওপর এ ধরনের নিপীড়ন বন্ধ করতে হবে।

এ ঘটনায় মিনেসোটা গভর্নর টিম ওয়ালেজ পরিস্থিতি বিবেচনা করে সাময়িকভাবে কারফিউ জারি করেছেন। কেউ রাত আটটার পর রাস্তায় বের হলে কিংবা জনপরিসরে থাকলে জেল ও এক হাজার ডলার জরিমানা করা হতে পারে।

এদিকে জর্জ ফ্লয়েড হত্যার ঘটনায় মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছেন, নিহতের পরিবারের সঙ্গে তিনি কথা বলবেন। মিনেসোটায় বিক্ষোভ তিনি মেনে নেবেন না।