Thank you for trying Sticky AMP!!

কোভিড-১৯ র‍্যাপিড টেস্ট কিট বিতর্ক

আধুনিক চিকিৎসা ব্যবস্থায় ল্যাবরেটরি টেস্টিংয়ের মাধ্যমে রোগের প্রাথমিক শনাক্তকরণ বা রোগ নির্ণয়ও অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। তবে তার জন্য সময়মতো সঠিক টেস্ট রেজাল্ট আসা প্রয়োজন। এতে রোগীর সময়, অর্থ যেমন সাশ্রয় হয়, তেমনি ভবিষ্যৎ অসুস্থতার আশঙ্কাও কমে আসে।
এখন বিশ্বব্যাপী চলছে কোভিড-১৯ মহামারি। দেশে দেশে মৃত্যুর সংখ্যা যত বাড়ছে, ততই সঠিক সময়ে কী কী করা যেত এবং কেন তা করা হয়নি তা নিয়ে বিতর্ক বাড়ছে। লকডাউন, আন্তর্জাতিক সীমানা বন্ধ, সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা, ঘরবন্দী থাকা, ঘন ঘন হাত ধোয়া, মাস্ক পরা— এসবের বাইরে আরও একটা আলোচিত বিষয় হলো টেস্টিং। কোভিড-১৯ টেস্টিং।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তথ্য অনুযায়ী, যত বেশি টেস্ট করা যায়, মহামারি নিয়ন্ত্রণ তত সহজ হয়। কিন্তু কোন পদ্ধতিতে এই টেস্ট হওয়া উচিত? আরটিপিসিআর (RTPCR) পদ্ধতিতে ভাইরাসের আরএনএ শনাক্ত করে, না কি রক্তের নমুনা নিয়ে সেরোলজি/ডট ব্লট পদ্ধতিতে আক্রান্ত রোগীর দেহে যে সুনির্দিষ্ট ইমিউন রেসপন্সে জন্ম নেওয়া আইজিএম (IgM) ও আইজিজি (IgG) অ্যান্টিবডি নির্ণয় করে?
আরটিপিসিআর পদ্ধতিতে কোভিড-১৯ ভাইরাসের কাঠামোর মধ্যে সংরক্ষিত আরএনএ বা নিউক্লিক অ্যাসিডের কোনো এক বিশেষ অংশ শনাক্ত করা হয়। সাধারণভাবে ধারণা করা হয়, ওই বিশেষ অংশের গঠন অন্য সব ভাইরাস থেকে আলাদা। তাই এই ফলাফল নির্ভুল এবং সঠিক হতে বাধ্য। ব্যাপারটা হয়তো ঠিক। তাই যারা আরটিপিসিআর পদ্ধতিতে এবং একমাত্র এই পদ্ধতিতে শনাক্তকরণের কথা বলেন, তাঁরা যে বৈজ্ঞানিক ভিত্তির বিশুদ্ধতম অবস্থানে আছেন, তাতে সন্দেহ নেই। কিন্তু এই বক্তব্যের পরই জুড়ে দেওয়া হচ্ছে—সব ধরনের ক্লিনিক্যাল সিদ্ধান্ত এই পদ্ধতিতে প্রাপ্ত ফলাফলের ওপর ভিত্তি করেই নিতে হবে। এই অংশটুকু নিয়েই সৃষ্টি হয়েছে সংশয় ও জটিলতা দেশে ও দেশের বাইরে।

প্রথমত কী সেই ক্লিনিক্যাল সিদ্ধান্ত?
১. ব্যবস্থা পত্র দেওয়া: এখন পর্যন্ত এই রোগের কোনো যথাযথ ওষুধ বের হয়নি। গণমাধ্যমে প্রকাশিত তথ্য অনুযায়ী, ‘ক্লোরকুইন’, ‘রেমডিসিভির’ বা অন্য যেসব ওষুধ ভাইরাস বা অন্য কোনো অণুজীবের জীবনচক্রে অপরিহার্য কোনো প্রোটিন অথবা এনজাইমকে টার্গেট করে তৈরি করা হয়েছে, তার প্রায় সবই ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালে আশা জাগাতে পারেনি বা ব্যর্থ হয়েছে।
মার্চের শেষ সপ্তাহে ইক্যানসার জার্নালে প্রকাশিত প্রতিবেদন অনুযায়ী, এই রোগে আক্রান্তদের অনেক সময় স্টেরয়েড দেওয়া হয় অত্যধিক ইমিইউন রেসপন্স ঠেকাতে। এটিও অবশ্য ব্রডস্পেকট্রাম চিকিৎসা পদ্ধতি, টার্গেটেড নয়। এরিথ্রোমাইসিন দেওয়া হয় নিউমোনিয়ার প্রকোপ কমাতে। অক্সিজেন থেরাপি কোনোভাবেই জিন/আরএনএ সম্পর্কিত নয়।
সম্প্রতি ল্যানসেটে প্রকাশিত প্রতিবেদনে জানানো হয়, যারা acute respiratory distress syndrome (ARDS) বা কোনো ভাইরাল ইনফেকশনের কারণে thromboprophylaxis এ ভোগেন, তাঁদের ক্ষেত্রে অ্যান্টিকোয়েগুল্যান্ট থেরাপি দেওয়ার বিধান রয়েছে। কিন্তু সেখানেও রক্তে D-dimer-এর মাত্রা নির্ণায়ক হয়ে থাকে (2), ভাইরাল RNA নয়। কাজেই ব্যবস্থাপত্রে RTPCR পদ্ধতিতে প্রাপ্ত ফলাফলের কি কোনো বাড়তি ভূমিকা আছে?
২. সেবকদের সুরক্ষা: চিকিৎসাসেবায় যারা প্রত্যক্ষভাবে জড়িত, তাঁদের সুরক্ষা দেওয়াও ক্লিনিক্যাল সিদ্ধান্ত হতে পারে। এ ক্ষেত্রে মূল লক্ষ্য, তাঁরা যাতে কোনো রোগীর সংস্পর্শে এসে কোনোভাবে সংক্রমিত না হন, বা কোনো কারণে হাসপাতালের কোনো বিশেষ বিভাগ বন্ধ না হয়, তা নিশ্চিত করা। এ ক্ষেত্রে দ্রুত ফলাফল হাতে আসা খুবই জরুরি। হাসপাতালে সেবা নিতে আসা কোনো রোগীই যেন বাড়তি ঝুঁকির মুখে না পড়েন অথবা বাড়তি ঝুঁকির সৃষ্টি না করেন, তা নিশ্চিত করা প্রয়োজন। RTPCR ফলাফল পেতে কয়েক ঘণ্টা থেকে শুরু করে কয়েক দিন বা সপ্তাহ পর্যন্ত লেগে যায়। এত সময় অপেক্ষা করতে হলে সেবা লাইন দীর্ঘ হবে এবং দেরিতে আসার কারণে ফলাফল তার গুরুত্ব হারাবে, ব্যাহত হবে স্বাস্থ্যসেবা।
৩. আগে থেকেই দীর্ঘমেয়াদি রোগে ভোগা রোগী: কোভিড-১৯ মহামারির কারণে যারা হৃদ্‌রোগ, উচ্চরক্তচাপ, ডায়াবেটিস, কিডনি জটিলতা, হাঁপানি প্রভৃতি রোগে ভুগছেন, তাঁরা যদি শ্বাসকষ্টে ভোগেন, বা তাঁদের জরুরি চিকিৎসাসেবা নেওয়ার প্রয়োজন পড়লে তাদেরও কি কোভিড-১৯ টেস্ট বাধ্যতামূলক? তাদেরও কি সেই RTPCR ল্যাব হয়েই আসতে হবে? এই ফলাফল যেহেতু দ্রুত আসে না, তাই নন-কোভিড-১৯ রোগীদের জরুরি চিকিৎসাসেবা কীভাবে নিশ্চিত হবে? কোভিড-১৯ আক্রান্ত না হয়েও কিন্তু এর কারণে বহু মানুষ মারা যাবে। বিকল্প পথ কি দেখা দরকার নয়?
৪. উপসর্গহীন রোগীদের ক্ষেত্রে: যেসব রোগী উপসর্গহীন, যারা নিজেরাও জানেন না তাঁরা কোভিড-১৯ ভাইরাস বহন করছেন কি না, তাঁদের ক্ষেত্রে আরটিপিসিআর পদ্ধতির দীর্ঘসূত্রতা জটিলতা বাড়াতে পারে। বিশেষত শিল্প কারখানায় উৎপাদন চালুর লক্ষ্যে গণ পরীক্ষা খুবই জরুরি। কিন্তু আরটিপিসিআরের ক্ষেত্রে নমুনা সংগ্রহ থেকে শুরু করে নানা ধাপের জটিলতা সে ক্ষেত্রে সহায়ক নয়।
এ ছাড়া ব্যয়বহুল টেস্ট কিট, বিশেষায়িত ল্যাব বা ইকুইপমেন্ট স্বল্পতা, দক্ষ টেকনিশিয়ানের অভাব, স্যাম্পল ট্রান্সপোর্টেশনে স্যাম্পল নষ্ট হওয়াসহ নানা অসুবিধা তো রয়েছেই।
র‍্যাপিড ডিটেকশন কিট কি আরটিপিসিআর পদ্ধতির এই সব সীমাবদ্ধতা দূর করতে সক্ষম?
প্রথমে জানা দরকার র‍্যাপিড ডিটেকশন কিট কি? ঘরে বসে আঙুলের ডগা থেকে রক্ত নিয়ে স্ট্রিপ দিয়ে ডায়াবেটিসের পরীক্ষা করার পদ্ধতির নাম কে না জানে এখন। কোভিড-১৯ টেস্টে IgG/IgM নির্ণয়ের মাধ্যমে এই ধরনের এক পদ্ধতির যাচাই-বাছাই চলছে দেশে দেশে।
IgG/IgM বা র‍্যাপিড ডিটেকশন পদ্ধতিতে সরাসরি ভাইরাসের RNA/বা জিনের উপস্থিতি নির্ণয় করা হয় না। বরং ওই ভাইরাস বা তার কাঠামোর কোনো অংশের (অ্যান্টিজেন) প্রভাবে মানবদেহের ইমিউন সিস্টেম সক্রিয় হয়ে যে ইমিউনোগ্লোবিউলিন বা IgG/IgM তৈরি হয়ে রক্তে সঞ্চালিত হয়, তার উপস্থিত নির্ণয় করা হয়। এই কিটের নির্দিষ্ট স্থানে অ্যান্টি- IgG/IgM বা এক বিশেষ ধরনের সুনির্দিষ্ট প্রোটিন আগে থেকে রাখা থাকে। কোনো ভাইরাস বা এই ক্ষেত্রে কোভিড-১৯ দেহে প্রবেশের পর রক্তে যে IgG/IgM তৈরি হয়, শুধু সেই IgG/IgM অ্যান্টি- IgG/IgM-এর সঙ্গে সংযুক্ত হয়। বিশেষ প্রক্রিয়ায় এই সংযুক্ত যৌগ দৃশ্যমান ব্যান্ড বা ডট তৈরি করে (প্রেগনেন্সি টেস্ট কিটের মতো)।
বাংলাদেশের গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের গবেষক দল যে কিট তৈরি করেছেন, তা দিয়ে, তাঁদের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, IgG/IgM-এর পাশাপাশি রক্তে প্রবাহিত সেই ভাইরাস প্রোটিনও (অ্যান্টিজেন) ডিটেক্ট করা সম্ভব। অর্থাৎ, RTPCR-এ RNA থেকে ডিএনএ তৈরি করা হয় ল্যাবে, এবং সেই ডিএনএ শনাক্ত করা হয়। কিন্তু গণস্বাস্থ্যের কিটে ভাইরাসের RNA থেকে দেহের অভ্যন্তরে যে প্রোটিন তৈরি করে সেই প্রোটিন এবং প্রোটিনের প্রভাবে যে IgG/IgM তৈরি হয়, তা শনাক্ত করা হয়। পার্থক্য কি খুব বেশি?
তবে এখানে তাত্ত্বিকভাবে স্পেসিফিটির সমস্যা থেকে যেতে পারে। এবং কিছু কিছু ক্ষেত্রে IgG/IgM টেস্ট ফলাফল RTPCR পদ্ধতিতে প্রাপ্ত ফলাফলের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ নাও হতে পারে। সেই সব জটিল বিষয় এই পরিসরে উপস্থাপন না করে কিছু বাস্তবতা নিয়ে কথা বলা যেতে পারে।
১. এখনো পর্যন্ত আক্রান্তদের অধিকাংশ ভালো হয়ে যাচ্ছেন, এবং এই হার ৮০ শতাংশ। অর্থাৎ, আশি শতাংশ রোগী কোভিড-১৯-কে পরাস্ত করতে পারছেন। পরিষ্কার করে বললে তাদের দেহের ইমিউন সিস্টেমে তৈরি IgG/IgM সুনির্দিষ্টভাবে নিষ্ক্রিয় করতে পেরেছে কোভিড-১৯-কে। তাই IgG/IgM কিট যৌক্তিকভাবে প্রথমত ৮০ শতাংশ রোগীর দেহে ভাইরাস প্রবেশ করেছিল কি না বা ভাইরাস কেউ বহন করছে কি না, তা বলে দিতে পারে।
২. বাকি যে ২০ শতাংশ লোক মারা গেছেন বা মারা যাচ্ছেন তাদের একটা বড় অংশ (দেশ ভেদে ৫০ থেকে ৮০ ভাগ বা তার ওপর) অন্যান্য রোগ যেমন ডায়াবেটিস, উচ্চরক্তচাপ, কিডনি জটিলতা, কার্ডিওভাসকুলার ডিজিজ থাকার কারণে মারা গেছেন, মারা যাচ্ছেন। এদের দেহ যে স্পেসিফিক IgG/IgM তৈরি করতে পারেনি তা কিন্তু নয়, বরং এদের দেহ থেকে নেওয়া রক্তের নমুনা ব্যবহার করলেও পজিটিভ ফলাফল আসার সম্ভাবনা বেশি।
৩. বাকি যে অংশ, অর্থাৎ যাদের কোনো কোমরবিডিটিএস ছিল না শুধু তারা যদি কেউ কোভিড-১৯-এ মারা যান সেই ক্ষেত্রে ধারণা করা যেতে পারে যে, তাঁদের দেহে পর্যাপ্ত IgG/IgM তৈরি হয়নি। এদের সংখ্যা খুবই নগণ্য; হতে পারে ৫ শতাংশ বা তারও কম। এই IgG/IgM কিট যদি উচ্চমানের হয়, তবে তা কমপক্ষে ৯৫ শতাংশ বা তদূর্ধ্ব ক্ষেত্রে ভালো ফলাফল দেওয়ার সম্ভাবনা আছে। জনস হপকিন্সের তথ্য অনুযায়ী, সেলেক্স (Cellex test) র‍্যাপিড ডিটেকশন কিটের স্পেসিফিসিটি এবং সেনসিটিভিটি দেখানো হয়েছে যথাক্রমে ৯৫.৬% ও ৯৩.৮%।

সীমাবদ্ধতা
সীমাবদ্ধতার কথা বলা হচ্ছে। হ্যাঁ, রক্তে IgG/IgM-এর উপস্থিতি দেহে ভাইরাস প্রবেশের সঙ্গে সঙ্গেই হয় না। অপেক্ষার সময় চার থেকে দশ দিন পর্যন্ত হতে পারে। ভাইরাস মারা যাওয়ার পরও রক্তে IgG/IgM থেকে যাওয়ার সম্ভাবনা অনেক বেশি। কোভিড-১৯-এর উপসর্গ যেমন জ্বর, কাশি, ঘন ঘন শ্বাসপ্রশ্বাস ও শ্বাসকষ্ট, জটিল ক্ষেত্রে নিউমোনিয়া, উচ্চ রক্তচাপ সৃষ্টি বা কিডনি সমস্যার মতো বিষয়গুলোও বিবেচনায় আনতে হবে।
RTPCR কিটের মাধ্যমে শরীরে যে ভাইরাস রয়েছে, তার শতভাগ নিশ্চয়তা দেয় তা কিন্তু নয়। এই পদ্ধতির সমস্যা ভিন্ন জায়গায়। দেহের প্রবেশপথ, তা নাসারন্ধ্র হোক বা গল-গহ্বর হোক, কিছুদিন অবস্থানের পর ভাইরাস নেমে যেতে পারে ফুসফুসে। কাজেই দেহে প্রবেশের ৫/৬ দিনের মধ্যে স্যাম্পল সংগ্রহ না করলে ফলস নেগেটিভ ফলাফল আসতে পারে, যদি না ফুসফুস বা দেহ অভ্যন্তর থেকে নমুনা সংগ্রহ করা হয়।
এই পদ্ধতিতে সেনসিটিভিটি অনেক বেশি হলেও স্পেসিফিভিটির সমস্যা থেকেই যায়। কারণ, নভেল করোনাভাইরাসের জেনোম কাঠামোর সঙ্গে অন্য অনেক ভাইরাসের মিল রয়েছে। তা ছাড়া মিউটেশনের ফলে জেনোম কাঠামো পরিবর্তিত হলে ফলস নেগেটিভ ফল আসতে পারে।
পরিশেষে একটা কথা বলা যায়, কোনো টেস্ট কিটই সীমাবদ্ধতার বাইরে নয়। হাসপাতালের জরুরি সেবা থেকে শুরু করে সরাসরি সেবা প্রদানকারী যেকোনো বিভাগ বা সংস্থা বা ব্যক্তিকে nCOVID-১৯ থেকে দূরে রাখতে পারে র‍্যাপিড ডিটেকশন কিট। এই ধরনের কিট রোগীর উপসর্গের সঙ্গে মিলিয়ে IgG/IgM পজিটিভ ব্যক্তিকে তাৎক্ষণিকভাবে অন্য রোগী থেকে আলাদা করে যথাযথ চিকিৎসা সেবা দেওয়ার পক্ষে সহায়ক হতে পারে। গণস্বাস্থ্য বা অন্য কোনো প্রতিষ্ঠান, যারা এই কিটের বাজারজাত করতে আগ্রহী, তাদের উদ্যোগকে স্বার্থ সংঘাতের বাইরে গিয়ে একটা নিবিষ্ট প্রক্রিয়া বা ট্রায়ালের মাধ্যমে দ্রুত যাচাই করে দেখা যেতেই পারে।

লেখক: কানাডাপ্রবাসী বায়োকেমিস্ট এবং প্রাক্তন জাপান সোসাইটি ফর দ্য প্রমোশন অব সায়েন্স (জেএসপিএস) ফেলো।