Thank you for trying Sticky AMP!!

গোলাপগঞ্জ সোসাইটির বার্ষিক বনভোজন

বনভোজনে বক্তব্য দিচ্ছেন অতিথিরা

আনন্দঘন পরিবেশের মধ্য দিয়ে ৭ জুলাই নিউইয়র্ক গোলাপগঞ্জ সোসাইটির বার্ষিক বনভোজন সম্পন্ন হয়েছে। গ্রীষ্মের মনোরম আবহাওয়ায় কুইন্স করোনা পার্কে বিপুলসংখ্যক গোলাপগঞ্জবাসী, কমিউনিটির নেতৃবৃন্দ ও বিশিষ্টজনের অংশগ্রহণে বনভোজন হয়ে উঠেছিল আনন্দময়।
বনভোজনের দিন সকাল ১০টায় দলে দলে লোকজন জড়ো হতে থাকেন করোনা পার্কে। অন্য অঙ্গরাজ্যের গোলাপগঞ্জবাসীও এই বনভোজনে যোগ দেন। সংগঠনের বনভোজন কমিটির আহ্বায়ক এবাদ চৌধুরী শুরুতেই সবাইকে স্বাগত জানান। ভারপ্রাপ্ত সভাপতি শেখ আতিকুল ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক হেলিম আহমেদ, সমন্বয়ক সেলিনা চৌধুরী, সাবেরা চৌধুরী বনভোজনের যোগ দেওয়ার জন্য সবাইকে আমন্ত্রণ জানান।
শুরুতেই সংগঠনের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি সদ্যপ্রয়াত শেরওয়ান আহমেদ চৌধুরীকে স্মরণ করা হয়। বনভোজনে অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জালালাবাদ অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি বদরুল হোসেন খান, অ্যাডভোকেট শেখ আখতারুল ইসলাম, এমাদ আহমেদ চৌধুরী, ফয়জুর রহমান ফটিক, মঞ্জুর আহমেদ চৌধুরী, জুনেদ খান, দিনার চৌধুরী, আবুল কালাম চৌধুরী, হান্নান চৌধুরী, মঈনুল ইসলাম, আব্দুল অদুদ চৌধুরী কামরান, আব্দুল মুমিত চৌধুরী উমেল, বশীর উদ্দিন, সৈয়দ মফিজ উদ্দিন, এনাম আহমেদ, রাফাত চৌধুরী, শাহেদ আহমেদ চৌধুরী, নূর উদ্দিন, আবু আশরাফ চৌধুরী, গৌস খান, রেশাদ চৌধুরী, আলম চৌধুরী, এনাম আহমেদ, আকসার চৌধুরী, বাবু চৌধুরী, মঞ্জুরা চৌধুরী, নজমুল ইসলাম চৌধুরী, মাহফুজ চৌধুরী শুভ, বেলাল আহমেদ চৌধুরী, মইনুল হক প্রমুখ।
প্রীতি সম্মিলনীতে সিলেটের অগ্রসর এলাকা হিসেবে গোলাপগঞ্জের প্রবাসীরা নিজেদের ইতিহাস ঐতিহ্য নিয়ে কথা বলেন। গোলাপগঞ্জের ঐতিহ্য সমুন্নত রেখে প্রবাসে থেকেও দেশের স্বজনদের জন্য কিছু করা নিয়ে নিজেদের মধ্যে মতবিনিময় করেন তাঁরা।

গোলাপগঞ্জ সোসাইটির সদস্যরা আড্ডায় মেতে উঠেছেন

দিনব্যাপী ছিল নানা ধরনের খেলাধুলার আয়োজন। শিশু-কিশোর ও নারীরা যোগ দেন এসব আনন্দঘন ক্রীড়া প্রতিযোগিতায়। ছিল সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন। অবধারিতভাবেই ছিল ভোজ পর্ব। পুরো বনভোজনকে যারা বিভিন্নভাবে সহযোগিতা করেছেন তাদের মধ্যে ক্রিসেন্ট ইনস্যুরেন্সের স্বত্বাধিকারী কবির চৌধুরী, জাতীয় পার্টি নেতা আব্দুন নুর ভূঁইয়া ও আব্দুর রহমান, আওয়ামী লীগ নেতা আব্দুর রহীম বাদশাহ, কমিউনিটি নেতা আতাউর রহমান সেলিমকে কৃতজ্ঞতা ও ধন্যবাদ জানানো হয়। উপস্থিত সুধীজনের মধ্য থেকে অনেকেই অর্থ দিয়ে সহযোগিতা করেন। র‌্যাফেল ড্র ছিল বনভোজনের অন্যতম আকর্ষণ। এতে যারা সহযোগিতা করেছেন, তাদেরও ধন্যবাদ জানান সংগঠনের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি।