Thank you for trying Sticky AMP!!

চার দিনের মধ্যে দুবার আটক

নিউইয়র্ক পুলিশ বিভাগের (এনওয়াইপিডি) পুলিশ কর্মকর্তা রাসেল ইব্রাহাম (২৭) চার দিনের ব্যবধানে দুইবার গ্রেপ্তার হয়েছেন । তিনি বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত আমেরিকান।

পুলিশ সূত্রে জানা যায়, রাসেল তাঁর সাবেক প্রেমিকাকে (২৩) ছুরি দিয়ে আঘাত করার অভিযোগে গত ৩১ জুলাই গ্রেপ্তার হন। এবার ওয়ালগ্রিন থেকে চুরির অভিযোগে দ্বিতীয়বারের মতো তাঁকে ৩ আগস্ট আটক করা হয়।

পুলিশ জানিয়েছে, রাসেল ইব্রাহামের বিরুদ্ধে দক্ষিণ ওজোন পার্কের ওয়ালগ্রিন ফার্মেসি থেকে ১০টি মডেল গাড়ি, গুরু নন্দ এসেনশিয়াল অয়েল, ফস্টার গ্রান্ট সানগ্লাস, পোশাক ও দুটি এভরি ম্যান জ্যাক ডিওডোরেন্ট চুরির অভিযোগ পাওয়া গেছে। এরই পরিপ্রেক্ষিতে রাত আনুমানিক আড়াইটায় তাকে আটক করা হয়।

পুলিশ জানিয়েছে,রাসেল এর আগে তার ২৩ বছর বয়সী সাবেক প্রেমিকাকে গত ১৬ জুলাই রান্নাঘরে ছুরি দিয়ে আঘাত করে। এতে ওই নারী বাম হাতে আঘাত পান। তারপর ওই নারীর হাতে সার্জারি করা হয়। এই অভিযোগে রাসেলকে ৩১ জুলাই গ্রেপ্তার করা হয়, পরে চুরির অভিযোগে আবার ৩ আগস্ট আটক করা হয়।

২০১৭ সালে কুইন্সের ১০৯ পুলিশ স্টেশনে এক দুর্বৃত্ত আগুন দেওয়ার চেষ্টা করলে রাসেল ইব্রাহামের সাহসিকতায় সেটি ভেস্তে যায়। পরবর্তীতে ওই বীরত্বের জন্য পুলিশ কর্তৃক তাকে সম্মানিত করা হয়। বর্তমানে তাকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে বলে পুলিশ কর্মকর্তারা জানিয়েছেন।

এদিকে, স্ত্রীকে মারধরের অভিযোগে মো. রহমান (৪৩) নামের নিউইয়র্ক পুলিশের (এনওয়াইপিডি) এক কর্মকর্তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গ্রেপ্তার মো. রহমান প্রবাসী বাংলাদেশি।
পুলিশ জানায়, ২ জুলাই বিকেলে কুইন্সের করোনা এলাকায় হরেস হার্ডিং এক্সপ্রেসওয়ে এবং ১০৮ স্ট্রিটের কাছাকাছি পুলিশ কর্মকর্তা মো. রহমান সন্তানের সঙ্গে দেখা করার বিষয়ে তর্ক-বিতর্ক করার একপর্যায়ে তার স্ত্রীকে বুকে ঘুষি মারেন এবং তাকে মাটিতে মেরে ফেলে দেন।

এরপর মাটিতে পড়া অবস্থায় আবারও রহমান তার স্ত্রীকে মাথা ও ঘাড়ে ঘুষি মারেন। রহমানের স্ত্রী পরের দিন হাসপাতালে ভর্তি হন। পরে পুলিশ রহমানের লোকেশন চিহ্নিত করে ৩ আগস্ট তাকে গ্রেপ্তার করে হাজতে নিয়ে যায়।

এর আগে মাথায় বন্দুক ঠেকিয়ে হত্যার হুমকি দেওয়ার অভিযোগে গ্রেপ্তার হয়েছিলেন বাংলাদেশি পুলিশ অফিসার। গত ১৫ মে রাতে কুইন্সের নিজ বাসা থেকে সজল রায়কে (৩০) গ্রেপ্তার করে নিউইয়র্ক পুলিশ।

বিগত কয়েক মাস ধরে বিভিন্ন অভিযোগে আরও কয়েকজন বাংলাদেশি পুলিশ অফিসার গ্রেপ্তার হয়েছেন। নিউইয়র্ক নগরে এসব ঘটনায় বিব্রত বাংলাদেশি কমিউনিটি।